শরিফুলকে বোলিংই দিলো না ক্যান্ডি ফ্যালকন্স
দলে তার ভূমিকা বোলারের। তার কাছ থেকে দলের চাওয়া বল হাতে পারফরম্যান্স। সেই হিসেব কষেই লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) জাফনা কিংসের বিপক্ষে শরিফুল ইসলামকে দলে নেয় ক্যান্ডি ফ্যালকন্স। কিন্তু বৃষ্টি বাগড়ায় ছোট দৈর্ঘ্যের ম্যাচে বাংলাদেশের এই পেসারের ওপর ভরসা রাখতে পারেনি দলটি, তাকে দিয়ে বোলিংই করানো হয়নি। ব্যাটিং না পাওয়ায় কেবল ফিল্ডিং করেছেন শরিফুল।
শনিবার রাতে কলম্বোতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ফ্যালকন্সকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে জাফনা। বৃষ্টির কারণে ৭ ওভারে নেমে আসে ম্যাচ। আগে ব্যাটিং করে মোহাম্মদ হারিসের ১৩ বলে ৩০ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৫ উইকেটে ৭৮ রান তোলে ক্যান্ডি। জবাবে অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ব্যাটে ৫.৫ ওভারে (৭ বল হাতে রেখে) জেতে জাফনা।
সর্বশেষ দুটি ম্যাচের পারফরম্যান্সের কারণে শরিফুলে ভসরা পায়নি ক্যান্ডি। এই দুই ম্যাচে খরুচে বোলিং করা বাংলাদেশের এই পেসার কোনো উইকেট পাননি। গল মারভেলসের বিপক্ষে ২ ওভারেই খরচা করেন ২৯ রান। এর আগের ম্যাচে আরও বড় ঝড় যায় শরিফুলের ওপর দিয়ে। ৩ ওভারে দলের সর্বোচ্চ ১৫.৬৬ ইকোনমিতে ৪৭ রান দেন তিনি, থাকেন উইকেটশূন্য।
প্রথম দুই ম্যাচেও যে ভালো বোলিং করতে পেরেছেন শরিফুল, তেমন নয়। ২টি করে উইকেট পেলেও রান খরচায় হিসেবি থাকা হয়নি তার। নিজের প্রথম ম্যাচে কলম্বো স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ২ উইকেট নেন ২৩ বছর বয়সী শরিফুল। ৪ ওভারে খরচা করেন ৪৩ রান। শরিফুলের দলের কেবল একজন বোলার এরচেয়ে বেশি ইকোনমিতে রান দেন।
পরের ম্যাচেও শরিফুলের শিকার ২ উইকেট, এই ম্যাচে তুলনামূলক কম রান দেন তিনি। ৪ ওভারে ৩২ রান দেন শরিফুল, যা তার দলের সেরা ইকোনমি ছিল। চলতি এলপিএলে এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচে তার শিকার ৪ উইকেট। ৫ ম্যাচে ১৩ ওভার বোলিং করা বাঁহাতি এই পেসার রান খরচা করেছেন ১৫১, ইকোনমি ১১.৬১। ১০ ওভারের বেশি বোলিং করা বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইকোনমি শরিফুলের।