এলপিএলে শুরুটা ভালো হলো না হৃদয়-মুস্তাফিজের
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে দেশে ফিরেই শ্রীলঙ্কা গেছেন বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ ও তাওহিদ হৃদয়। লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের (এলপিএল) উদ্বোধনী দিনেই মাঠে নেমেছিলেন মুস্তাফিজ ও হৃদয়, একই দলে খেলছেন তারা। বাংলাদেশের এই দুই ক্রিকেটারের কেউ-ই বলার মতো পারফরম্যান্স করতে পারেননি। রান পাননি হৃদয়, মুস্তাফিজ ছিলেন বেশ খরুচে।
এলপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে সোমবার পাল্লেকেলেতে মুস্তাফিজ-হৃদয়দের দল ডাম্বুলা সিক্সার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে ক্যান্ডি ফ্যালকন। ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়ে ফ্যালকনকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যাওয়া দাসুন শানাকা জেতেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
আগে ব্যাটিং করে বড় সংগ্রহই গড়ে ডাম্বুলা। মার্ক চাপম্যান ঝড় বইয়ে দেন, ৬১ বলে ৮টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৯১ রানের দুর্বার এক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন নিউজিল্যান্ডের এই অলরাউন্ডার। তার সঙ্গে ঝড় তোলেন চামিন্দু বিক্রমাসিংহেও। লঙ্কান এই অলরাউন্ডার ৪২ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় অপরাজিত ৬২ রান করেন।
পঞ্চম উইকেটে ৯৯ বলে ১৫৪ রানের বিশাল জুটি গড়েন তারা। এ দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৪ উইকেটে ১৭৯ রান তোলে ডাম্বুলা। এই ইনিংসে হৃদয়ের অবদান কেবল ১ রান। প্রথম বলে এক রান নেওয়া বাংলাদেশের ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান পরের বলেই লঙ্কান অলরাউন্ডার শানাকার এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে আউট হন। ৪ ওভারে ২০ রানে ৩টি উইকেট নেন শানাকা। একটি উইকেট পান পাকিস্তানের মোহাম্মদ হাসনাইন।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় দিনেশ চান্দিমালের হাফ সেঞ্চুরির পর জুটি গড়ে ফ্যালকনকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ও শানাকা। ৪০ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৬৫ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন চান্দিমাল। ম্যাথুস ২০ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৭ ও তাণ্ডব চালানো শানাকা ১৫ বলে ৩টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৪৬ রানে অপরাপজিত থাকেন।
ডাম্বুলার বোলারদের মধ্যে মুস্তাফিজের ওপর দিয়ে বেশি ঝড় গেছে। বাংলাদেশের বাঁহাতি এই পেসার ৩ ওভারে ১৪.৬৬ ইকোনমিতে খরচা করেন ৪৪ রান, নিয়েছেন একটি উইকেট। যদিও এলপিএলে অভিষেকে তার শুরুটা ছিল দারুণ। নিজের করা প্রথম ওভারের প্রথম বলেই উইকেট নেওয়া মুস্তাফিজ এই ওভারে দেন মাত্র ৫ রান।
কিন্তু পরের দুই ওভারে তার ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দেন চান্দিমাল ও শানাকা। মুস্তাফিজের দ্বিতীয় ওভারে ২টি চার ও একটি ছক্কা মারেন চান্দিমাল, সব মিলিয়ে রান যায় ১৬। বাংলাদেশ পেসারের করা তৃতীয় ওভারটি আরও খরুচে। এই ওভারে ৩টি ছয় ও একটি চার হজম মুস্তাফিজ খরচা করেন ২৩ রান। তাকে শানাকা ২টি চক্কা ও একটি চার এবং ম্যাথুস একটি ছক্কা মারেন।