শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের দরপত্র বাতিল
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নিজস্ব অর্থায়নে পূর্বাচলে শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম 'দ্য বোট' নির্মাণের পদক্ষেপ নেওয়া হয় বেশ কয়েক বছর আগে। কার্যক্রম শুরুরও কয়েক বছর হয়ে গেছে। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি কিছুই। উল্টো এখন আরও পিছিয়ে পড়লো স্টেডিয়ামটির নির্মাণ কাজ শুরুর প্রক্রিয়া। স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজের দরপত্র গ্রহণের প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে।
ফারুক আহমেদ বিসিবি সভাপতি হওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার প্রথম বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হলো। কয়েক ঘণ্টাব্যাপী চলা এই সভাতেই দরপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিসিবি সভাপতি জানান, স্টেডিয়ামটি নির্মাণের প্রকল্প অনেক বড় হওয়ায় অনেক বিষয় বিবেচনায় রেখে ধীরে-স্বস্তিতে এগোতে চান তারা।
৩০ আগস্ট দরপত্র গ্রহণের শেষ তারিখ ছিল, এর আগের দিন তা বাতিল করা হলো। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে দীর্ঘ প্রশ্নোত্তর পর্বের শুরুতেই দরপত্র বাতিলের বিষয়টি জানান বিসিবি সভাপতি। পরে এক প্রশ্নের জবাবে ফারুক বলেন, 'আমাদের যে দরপত্র প্রক্রিয়া ছিল, পূর্বাচলে যে স্টেডিয়াম হওয়ার কথা, দরপত্র প্রকিয়ার শেষ দিন ছিল কাল। এটা বাতিল করেছি আমরা সর্বসম্মতিক্রমে।'
দরপত্র প্রক্রিয়া বাতিল করার ব্যাখ্যায় বিসিবি সভাপতি বলেন, 'বাতিল হয়েছে কারণ, আপনারা জানেন এতো বড় প্রকল্পের জন্য মন্ত্রণালয়ের একটা ব্যাপার থাকে। ওখান থেকে আমরা খুব বেশি… হ্যাঁ বা না, কোনোটিই পাইনি। আর যেহেতু সময় নেই, আহামীকালই শেষ দিন, এ জন্য আমাদের এটা করতে হতো (বাতিল)। যদি পরিস্থিতির উন্নতি হয়, যদি আমরা মনে করি, রিভাইজ করে কিছু করা যায় কি না, তাহলে আমরা চেষ্টা করব নতুন করে কিছু করার জন্য।'
নির্মাণ কাজ শুরু না হলেও নকশা, কন্সাল্টেন্সি ফার্ম নিয়োগ বাবদ ইতোমধ্যে বেশ অর্থ ব্যয় হয়েছে। আগামী শনিবার স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে খরচ কমিয়ে আনা সম্ভব কিনা। ফারুক বলেন, 'এই মাঠ আমরা সবাই মিলে দেখতে যাচ্ছি। কারণ যে টাকাটা খরচ হয়েছে, পুরোনো শতভাগ তো পাওয়া যাবে না, কারণ প্রকল্প অনেক বড় ছিল।'
'ওখান থেকে আমরা ছোট করে, যতোটাকা খরচ হয়েছে, কিছু যদি আমরা রিকভারি করতে পারি। ধরুন, খেলার দুটো মাঠ যদি আমরা করতে পারি মূল নকশা ঠিক করে, সেই চেষ্টা করব। কনসালটেন্সি ফার্মকে কিছু টাকা যে দেওয়া হয়েছে, ওখান থেকে যাতে আমরা কিছু রিটার্ন পাই আর কী।' যোগ করেন তিনি। জানা গেছে, স্টেডিয়ামটির নাম বদলে যাবে। নৌকা সদৃশ যে নকশা চূড়ান্ত করা হয়েছিল, সেটাও থাকবে না।