নেপালকে হারিয়ে এশিয়া কাপের সেমিতে বাংলাদেশ যুবারা
শঙ্কা নিয়েই অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে লড়ে বাংলাদেশ। জেতার ব্যাপারে প্রত্যয়ী থাকলেও আফগান ভীতি এড়ানোর সুযোগ ছিল না। যদিও আফগানদের হারিয়েই মিশন শুরু করেছে আসরটির বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। পরের ম্যাচেও জারি থাকলো থাকলো বাংলাদেশের শাসন, এবার তাদের শিকার নেপাল। ব্যাটিংটা মনপুত না হলেও সহজ জয়ে আসরের সেমি-ফাইনালে উঠে গেছে বাংলাদেশ।
রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে 'বি' গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই শেষ চারের টিকেট পেল আজিজুল হাকিম তামিমের দল। শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। দুই জয়ে লঙ্কানরাও উঠে গেছে সেমিতে। দুটি করে ম্যাচ হেরে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে আফগানিস্তান ও নেপালের।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে নেপাল। বাংলাদেশের আল ফাহাদ, ইকবাল হোসেন ইমন, রিজান হোসেনদের দারুণ বোলিংয়ের সামনে সুবিধা করতে পারেনি তারা, ৪৫.৪ ওভারে ১৪১ রানে থামে নেপাল। জবাবে ওপেনার জাওয়াদ আবরার ও অধিনায়ক আজিজুল হাকিমের হাফ সেঞ্চুরিতে ১২৮ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশের শুরুটা ভালো ছিল না, স্কোরকার্ডে এক রান যোগ হতেই বিদায় নেন কালাম সিদ্দিকী। শুরুর চাপ কাটিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৯০ রানের জুটি গড়েন জাওয়াদ ও আজিজুল। ৬৫ বলে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৫৯ রান করা জাওয়াদের বিদায়ে চাপে পড়তে হয় বাংলাদেশকে। কারণ পরের বলেই আউট হন মোহাম্মদ শিহাব জেমস। দারুণভাবে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৯১/৩।
দ্রুত দুই উইকেট হারালেও অবশ্য বিপাকে পড়তে হয়নি, চতুর্থ উইকেটে ৪৩ রানের জুটি গড়েন আজিজুল ও ফরিদ হাসান। ১৫ রান করে ফরিদ ফিরলেও দেবাশিষ দেবাকে নিয়ে জয় তুলে নেওয়ার কাজটি সারেন আজিজুল। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ৭২ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় অপরাজিত ৫২ রান করেন। নেপালের লেগ স্পিনার যুবরাজ খাত্রি ৪টি উইকেট নেন, একটি উইকেট পান হেমন্ত ধামি।
এর আগে ব্যাটিং করা নেপালের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন আকাশ ত্রিপাঠি। ২৯ রান করে করেন উত্তম মাগার ও অভিষেক তিওয়ারি। দলটির বাকি ৮ ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। বাংলাদেশের ফাহাদ, ইকবাল ও রিজান ২টি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান সাদ, রাফি ও আজিজুল।