হোল্ডার ডুবিয়েছেন খুলনাকে, মত মিরাজের
![](https://tbsnews.net/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/06/miraz_holder.jpg)
১৮তম ওভারের খেলা, জয়ের জন্য চিটাগং কিংসের প্রয়োজন ৩৪ রান। উইকেটে দুই স্পিনার আরাফাত সানি ও আলিস আল ইসলাম। অবস্থা বিবেচনায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার জেসন হোল্ডারের হাতে বল তুলে দেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ওই ওভারে একটি করে চার ও ছক্কা হজম করাসহ ১৩ রান দেন হোল্ডার। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে এখান থেকেই খুলনা ছিটকে গেছে বলে মনে করেন মিরাজ।
বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চিটাগংয়ের বিপক্ষে ২ রানের হারের পর হোল্ডারকে কাঠগড়ায় তোলেন মিরাজ। দলটির অধিনায়ক জানান, এমন একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের কাছ থেকে অমন বোলিং আশা করেননি তিনি। শেষ ওভারে তিন বোলারের বিপক্ষে ১৫ রান 'ডিফেন্ড' না করতে পারলেও পেসার মুশফিক হাসানকে দায় দিতে চান না মিরাজ। তার মতে, হোল্ডারই ডুবিয়েছেন ম্যাচ।
১৮তম ওভারে এক চার ও ছক্কা হজম করার কারণেই শেষ ওভারে হোল্ডারের হাতে বল তুলে দিতে সাহস পাননি মিরাজ। মলিন চেহারায় সংবাদ সম্মেলনে আসা মিরাজ শেষ ওভারের পরিকল্পনা এভাবে ব্যাখ্যা করলেন, 'পরিকল্পনা যেটা ছিল, হোল্ডার এর আগের ওভার যে বোলিং করেছে; চিটাগংয়ের ১৪ বলে রান লাগতো ৩২। ওখানে এক বলে একটা ছক্কা, একটা চার খেয়ে গেছে। ওখানেই ম্যাচটা অনেকটা ছুটে গেছে। একজন অভিজ্ঞ বোলারের বিপক্ষে ওই মুহূর্তে যদি (প্রতিপক্ষ) বোলাররা ছক্কা-চার মেরে দেয়, তাহলে তো এটা আমাদের দলের জন্য কঠিন।'
হোল্ডারকে না দিয়ে মুশফিককে দিয়ে শেষ ওভার করানোর বিষয়ে মিরাজ আরও বলেন, 'ওখান থেকে হাসান (মাহমুদ) বেশি ভালো বোলিং করেছে বলে শেষ ওভারে ১৫-তে গিয়েছে। ওখানে যদি মুশফিককে করাতাম, যদি ১২-১৩ দিয়ে দিতো, শেষ ওভারে তো একই রকম লাগতো ১০–১২। এ জন্য আমি আত্মবিশ্বাস পাচ্ছিলাম না, কারণ ওই দুটি বল ও (হোল্ডার) যেভাবে করেছে, যেখানে করেছে। অন্তত মুশফিক তো এর আগে দুটি ওভার খুবই ভালো করেছে। ওদের যে ভাইটাল ব্যাটসম্যান, তার উইকেটটাও নিয়েছে। তো ওইভাবে চিন্তা করে শেষ ওভারটা ওকে দিয়েছিলাম।'
শেষ বলের পরিকল্পনা জানাতে গিয়েও হোল্ডারকে ম্যাচ হারের দায় দেন মিরাজ। খুলনা অধিনায়ক বলেন, 'আমরা যেটা পরিকল্পনা করেছিলাম, ওকে (মুশফিক) আমি বারবার বলছিলাম তুমি কী চাচ্ছো। কারণ এখানে বোলারের চাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি বল করবো না, বোলার বল করবে। ওকে বারবার আমি বলছিলাম, "কী চাচ্ছো। তুমি যেটা চাচ্ছো, সেটার ওপরই পরিকল্পনা করো, দৃঢ় থাকো।" ও বলছিল, "ভাই আমি ইয়র্কার করবো।" তখন আমি বলি, "ইয়র্কার কোথায় করলে ভালো হবে।" ও বলে "ভাই আমি স্টাম্পেই করবো।" তখন আমি বললাম স্টাম্পেই ইয়র্কার করার চেষ্টা করো।'
'আমি ওকে দোষ দিচ্ছি না। কারণ ও এ রকম চাপের পরিস্থিতিতে খেলেছে, অনেকদিন ইনজুরিতে ছিল। এভাবে এসেছে, ও ভালো বোলিংই করেছে। শেষ ওভারে এমন চাপের অবস্থা, অনেকদিন পর এসে ম্যাচ খেলা অনেক কঠিন। ওর ওই ওভারটা আমি দোষ দিচ্ছি না। আমার কাছে মনে হয় যে হোল্ডারের ওই দুটি বল অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ তার অনেক অভিজ্ঞতা আছে। সে সব জায়গায় টুর্নামেন্ট খেলে বেড়ায়। আমি ওর কাছ থেকে এটা আশা করি না যে দুই বলে এক ছয়, এক চার খেয়ে যাবে। ওখানেই তো আমাদের খেলা অর্ধেক শেষ হয়ে গেছে।' বলেন মিরাজ।