স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশ: কতোটা এগিয়েছে ক্রিকেট?
মিনিট, ঘণ্টা, দিন, মাস এরপর বছর। দশক, যুগ পেরিয়ে সুবর্ণজয়ন্তী। সংখ্যায় ৫০, মধ্যবয়সী সময়কাল। স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশ। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কতটা বয়স বাড়ল বাংলাদেশ ক্রিকেটের? এমন প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট উত্তর পাওয়া কঠিন। দীর্ঘ এই সময়ে মিলেছে অনেক প্রাপ্তিই। আবার আছে লক্ষ্যে পৌঁছাতে না পারার হতাশাও।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের বয়স অবশ্য ৫০ পূর্ণ হয়নি, বাকি এখনও কয়েক বছর। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাস আরেকটু পুরনো হলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পথচলা শুরু ১৯৭৭ সালে। সে বছর বাংলাদেশে আসে ঐতিহাসিক মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)। ঢাকা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম) ওই ম্যাচটিকেই ধরা হয় বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
যদিও ওই ম্যাচের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নিয়ে অনেক আলোচনা আছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের রেকর্ড বলে তারা প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে ১৯৮৬ সালে, এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে। শ্রীলঙ্কার মোরাতুয়াতে গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর নেতৃত্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে নামে বাংলাদেশ। ৪৫ ওভারের সেই ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে ৯৪ রানে অলআউট হওয়া বাংলাদেশ হার মানে ৭ উইকেটে।
এরপর ৩৫ বছর পেরিয়ে গেছে। কয়েকবার অংশগ্রহণের পর ১৯৯৭ সালে আসে মাহেন্দ্রক্ষণ। আইসিসি ট্রফি জেতে বাংলাদেশ, মেলে ওয়ানডে মর্যাদা। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে যা অন্যতম সেরা অর্জন। এরপর যতো সময় গড়িয়েছে, বাংলাদেশের ক্রিকেটে যোগ হয়েছে নানা অর্জন।
দারুণ এক অর্জনে একবিংশ শতাব্দী শুরু হয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের। ২০০০ সালের ২৬ জুন ৯টি টেস্ট খেলুড়ে দেশের ভোটে ক্রিকেটের অভিজাত ফরম্যাটের দশম সদস্য হিসেবে যোগ দেয় বাংলাদেশ। ওয়ানডের পাশাপাশি শুরু হয় সাদা পোশাকের পথচলা। টেস্ট মর্যাদার তিন বছরের মাথায়ই প্রথম জয়ের স্বাদ পেতে পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু মুলতানে আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই ম্যাচে জেতা হয়নি বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ দমে থাকেনি। টেস্ট জয়ের স্বাদ কেমন হয়, ২০০৫ সালে বুঝতে পারে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট জয় পায় হাবিবুল বাশারের নেতৃত্বাধীন দলটি। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে যা স্বর্ণাক্ষরে লেখা।
১৯৯৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারানো বাংলাদেশের ২০০৩ বিশ্বকাপ মিশন ছিল হতাশায় মোড়ানো। শূন্য হাতে দেশে ফিরতে হয় বাংলাদেশকে। ২০০৭ বিশ্বকাপে বলার মতো সাফল্য মেলে। পোর্ট অব স্পেনে ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দেয় হাবিবুল বাশারের দল। এরপর বারমুডার বিপক্ষেও জেতে বাংলাদেশ। দুটি জয়ে খুশি মনেই দেশে ফেরে বাংলাদেশ।
২০১০ সালে চীনের গুয়াংজুতে অনুষ্ঠিত হয় এশিয়ান গেমস। আসরটির ইতিহাসে ওই বছর বাংলাদেশ সেরা সাফল্য পায়। ফাইনালে আফগানিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে স্বর্ণপদক জেতে বাংলাদেশ। ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক হয় বাংলাদেশ। ঘরের মাঠের দলটি তিনটি ম্যাচও জেতে, যদিও নকআউট পর্বে যাওয়া হয়নি।
২০১২ এশিয়া কাপে দুর্দান্ত এক বাংলাদেশের দেখা মেলে। ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে দুই পরাশক্তি ভারত ও পাকিস্তানকে হারিয়ে আসরটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠে মুশফিকুর রহিমের দল। কিন্তু ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাত্র ২ রানের জন্য স্বপ্নভঙ্গ হয় বাংলাদেশের। দুই বছর পর ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এককভাবে আয়োজক করে বাংলাদেশ। আয়োজক হিসেবে প্রশংসা কুড়ালেও মাঠের পারফরম্যান্স অবশ্য ভালো ছিল না বাংলাদেশের।
২০১৫ বিশ্বকাপে চমক দেখায় বাংলাদেশ, প্রথমবারের মতো ওঠে কোয়ার্টার ফাইনালে। বিশ্বকাপ থেকে ফিরে ঘরের মাঠে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জিতে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ। পরের দুই বছরে ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া ও ইংলান্ডের মতো আদি টেস্ট খেলুড়ে দলের বিপক্ষে একটি করে ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ।
২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও ছড়ি ঘোরায় বাংলাদেশ, দারুণ পারফরম্যান্সে প্রথমবারের মতো আসরটির সেমি-ফাইনালে ওঠে মাশরাফিবাহিনী। ২০১৮ এশিয়া কাপে আবারও স্বপ্নভঙ্গ হয় বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে উঠলেও শিরোপার লড়াইয়ে ভারতের বিপক্ষে হেরে যায় বাংলাদেশ। ছেলেরা না পারলেও এশিয়া কাপে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ২০১৮ সালেই সালমা খাতুনের নেতৃত্বে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জেতে বাংলাদেশ।
পরের বছর অনেক আশা নিয়ে ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে গেলেও লক্ষ্য ছোঁয়া হয়নি বাংলাদেশের। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাওয়া দুটি জয় নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় মাশরাফির দলকে।
বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অর্জনটি আসে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হাত ধরে। ২০২০ সালের যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জেতে বাংলাদেশের যুবারা। চলতি বছরে নারীদের ক্রিকেটে আসে সুসংবাদ। জিম্বাবুয়েতে বাছাই পর্ব চলাকালীন আইসিসি জানায়, ২০২২ বিশ্বকাপের টিকেট পেয়েছে বাংলাদেশ। ওমিক্রনে বাছাইপর্ব বাতিল হওয়ায় র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ মেলে সালমা-জাহানারাদের।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভাবনীয় সাফল্য না পেলেও এগিয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট, প্রাপ্তির খাতায় যোগ হয়েছে অনেক অর্জনই। কিন্তু যাদের হাত ধরে বাংলাদেশের ক্রিকেট আজ এখানে, তাদের মধ্যে অন্যতম সৈয়দ আশরাফুল হক কেবল হতাশার কথাই জানালেন। সাবেক ক্রিকেটার, আন্তর্জাতিক সংগঠক ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সাবেক যুগ্ন সচিবের মতে, এগোনোর বদলে নিচের দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট।
দেশের ক্রিকেটের এই অন্তঃপ্রাণ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, 'প্রথমত, আমি আমার জীবদ্দশায় কখনও কল্পনা করিনি যে বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট খেলবে। বাংলাদেশ যে ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়েছে, এটা একটা মিরাকল। আমি ধন্য যে আমি জীবিত থাকতে বাংলাদেশকে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে দেখেছি। তবে এরপরের যতটা উন্নতি হবার কথা ছিলো, তা হয়নি। এটা নিয়ে আমি হতাশ।'
'বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে আমরা দিনকে দিন পিছিয়ে যাচ্ছি, টি-টোয়েন্টিতেও তাই। টি-টোয়েন্টিতে আমরা নাকি র্যাঙ্কিংয়ে ষষ্ঠ ছিলাম। কিন্তু আমাদের পারফরম্যান্স তো আমাদের হয়ে কথা বলে না। টেস্ট হচ্ছে ক্রিকেটের মূল। এখানে ভালো করতে না পারাটা হতাশাজনক। ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর ভেবেছিলাম ২০১৫ এর মাঝে অন্তত একটা পর্যায়ে যেতে পারব। কিন্তু আমরা আরও নিচে নেমে যাচ্ছি।' যোগ করেন তিনি।
এখন পর্যন্ত টেস্ট মর্যাদা পাওয়াটাকেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় অর্জন বলে মনে করেন দক্ষ এই সংগঠক। তার ভাষায়, 'এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অর্জন অবশ্যই টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া, আইসিসির পূর্ণ সদস্যপদ প্রাপ্তি। তবে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর সেটা ধরে রাখা বা ক্রিকেটের মানোন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত পরিকল্পনা আমরা করতে পারিনি। আমি হতাশ, বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নতি একেবারেই হচ্ছে না।'
বাংলাদেশের ক্রিকেটে অবদান রাখতে পারায় তৃপ্ত সৈয়দ আশরাফুল হক। কিন্তু যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেটা পূরণ না হওয়ায় বারবার হতাশার কথাই বলে গেলেন তিনি, 'তৃপ্তির জায়গাটা তো আছেই। বাংলাদেশ জিতলেই ভালো লাগে। তবে যেটা বললাম, যেভাবে অগ্রসর হওয়া উচিত সেভাবে হতে পারিনি। অর্থের কোনোদিন কমতি ছিলো না। তারপরও কেন পারলাম না, কেন হলো না, এর জবাব আমার কাছে নেই।'
একাত্তর ও একাত্তর-পরবর্তী ক্রিকেটের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে তিনি বলেন, '১৯৭৭ সালে যখন এমসিসি বাংলাদেশ সফর করে, তখন থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমাদের পথচলা। ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত আমাদের ক্রিকেট নানা উত্থান-পতন দেখেছে। আমাদের ক্রিকেটটা মূলত শুরু হয়েছে ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর৷ কেননা এর আগে এশিয়া কাপ ছাড়া আমাদের তেমন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা হতো না।'
স্বাধীনতা পূর্ব সময়েই ক্রিকেটে নাম লেখান রাকিবুল হাসান। ১৯৭১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৮ বছর বয়সে ব্যাটে 'জয় বাংলা' স্টিকার লাগিয়ে পাকিস্তানের হয়ে খেলতে নেমেছিলেন বাংলাদেশের কিংবদন্তি এই ক্রিকেটার। বাংলাদেশ দল নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সাবেক এই অধিনায়ক, সেটা পূরণ হয়নি বলে তাকেও হতাশা প্রকাশ করতে দেখা গেল।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে তিনি বলেন, 'সে সময়ে আমরা যখন ক্রিকেট খেলতাম, অনেক মানসম্পন্ন ক্রিকেটার ছিল। ক্রিকেট ভালোবেসে খেলতাম, আমরা সবাই ছাত্র ছিলাম ভালো ভালো স্কুলের। আমি খেলোয়াড় না হলে সচিব হতাম। আমি বেশ ভালো ছাত্র ছিলাম। তখনই আমরা জানতাম, এ দেশের ক্রিকেটের একটা লিগ্যাসি আছে। পাকিস্তানে যখন বিদেশি দল আসতো, একটা টেস্ট ম্যাচ ঢাকায় হতো। জনপ্রিয়তার কারণে এখানে খেলা রাখা হতো।'
'স্বাধীনতার পরে অনেক জটিলতা ছিল। এটা ব্যয়বহুল খেলা, সমাজতান্ত্রিক কাঠামোতে এই খেলা যায় না। এমন রিউমার ছিল, আমরা এর বিরুদ্ধে আন্দোলনও করেছি। স্বাধীনতার পরে দুই বছর ক্রিকেট হয়নি। তো ওই সময় থেকেই আমরা স্বপ্ন দেখতাম। কারণ ক্রিকেটটা শারীরিক খেলা নয়। এটা পাওয়ার গেম নয়। অন্য খেলায় আমরা বিশ্বমানে যেতে পারিনি, ক্রিকেটে পেরেছি। কারণ এটা মানসিক খেলা, বুদ্ধির খেলা, স্কিলের খেলা। তাহলে এখানেই আমাদের সোনার খনি আছে বলে মনে করতাম। আমি বলেছিলাম ক্রিকেট বাংলাদেশের খেলা হবে ক্রিকেট।' যোগ করেন রাকিবুল হাসান।
সেই স্বপ্ন পুরোপুরি পূরণ না হওয়ায় হতাশ রাকিবুল হাসান। তিনি বলেন, 'এই সময়ে এসে বলতে হয়, কিছু এগিয়েছে, কিছু পিছিয়েছে। আরও অনেক উন্নতি করা উচিত ছিল। সব মিলিয়ে আমি বলব ক্রিকেট আগাচ্ছে। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আমি যে জায়গায় দেখতে চেয়েছিলাম, ঠিক সেখানে নেই বাংলাদেশের ক্রিকেট। আমাদের ধারাবাহিকতাটা ওভাবে হচ্ছে না।'
'আমি খুশি হতাম যদি দেখতাম টেস্টে আমরা ছয় নম্বরে। ওয়ানডেতে যদি আমরা পাঁচ-ছয়ের মধ্যে থাকতাম, তাহলে খুব খুশি হতাম। বলা যেত স্বপ্নের জায়গায় আছে বাংলাদেশ। আজ যখন আমি কথা বলছি, টি-টোয়েন্টি পুরো ক্রিকেটকে গ্রাস করছে। অর্থের মোহে ভালো ভালো খেলোয়াড়রা অবসরে চলে যাচ্ছে। এতে ক্রিকেট ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এটা আমার শঙ্কা। আশা করব সেটা না হোক। তবে আমাদের ক্রিকেট এগিয়েছে, আরও হয়তো আগাবে। তবে যা প্রত্যাশা করেছিলাম, অতোটা এগোয়নি। পাঁচ বছর পর আমরা কোথায় থাকতে চাই, ১০ বছর পর কোথায় থাকতে চাই; সেই রোডম্যাপ করে চলতে হবে। না হলে কিন্তু আমাদের খোড়াতে হবে।' যোগ করেন রাকিবুল হাসান।