খুশি মনে দিন শেষ করা শরিফুলের চাওয়া…
নিউজিল্যান্ড সফরে টি-টোয়েন্টি দিয়ে জাতীয় দলে অভিষেক হয় শরিফুল ইসলামের। সেই সফরে তিন ম্যাচে ২ উইকেট পাওয়া তরুণ এই পেসার ধারণা পেয়েছিলেন কিউইদের উইকেট সম্পর্কে। এবার টেস্ট খেলতে গিয়ে পেলেন ভিন্ন উইকেট। এবার ততোটা সবুজ উইকেট মেলেনি। এতে অবশ্য সমস্যা হয়নি, দাপুটে বোলিংয়ে ২টি উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি।
সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন শরিফুল। চতুর্থ ওভারেই কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথামকে ফেরানো বাঁহাতি এই পেসার পরে নেন রস টেলরের উইকেট।
৫ উইকেটে ২৫৮ রান তুলে দিন শেষ করেছে নিউজিল্যান্ড। এভাবে দিন শেষ করতে পেরে খুশি শরিফুল। তরুণ পেসারের চাওয়া দ্বিতীয় দিন দ্রুততার সঙ্গে স্বাগতিকদের অলআউট করে দেওয়া।
উইকেটের সুবিধা কাজে লাগাতে টস জিতে বোলিং নেয় বাংলাদেশ। শুরুতে সুবিধা দারুণভাবে কাজে লাগান শরিফুল ও তাসকিন আহমেদ। এই দুই পেসার দারুণ সব সুইংয়ে কিউই ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষা নেন।
প্রথম ঘণ্টায় ১৩ ওভারে নিউজিল্যান্ড মাত্র ১৫ রান। ৫ ওভারের স্পেলে তিনটি মেডেনসহ ৭ রান দিয়ে ল্যাথামের উইকেট নেন শরিফুল। প্রথম ঘণ্টার বোলিং নিয়ে তিনি বলেন, 'প্রথম ঘণ্টায় ভালো লেগেছে বোলিং করে। নতুন বলে মুভমেন্ট ছিল, সুইং করছিল; খুব উপভোগ করেছি প্রথম এক ঘণ্টা।'
এরপরই উইকেটের চরিত্র বদলে যায়, শরিফুলও তার পরিকল্পনা পাল্টে ফেলেন। বাংলাদেশ পেসারের ভাষায়, 'লাঞ্চের পর পিচ একটু ভিন্ন রকম ছিল। তখন ফ্ল্যাট হয়ে গিয়েছিল, বল সোজা সোজা যাচ্ছিল। যখন দেখলাম ফ্ল্যাট হয়ে গেছে, বল সোজা যাচ্ছে, তখন লেংন্থ একটু পিছিয়ে দিই। যেন স্কোর করা ওদের জন্য একটু কঠিন হয়।'
কনওয়েকে ফেরানোয় অধিনায়ক মুমিনুল হকের প্রশংসা করে শরিফুল জানান, দ্বিতীয় দিন তাড়াতাড়ি নিউজিল্যান্ডকে অলআউট করতে চান তারা, 'কনওয়ের উইকেট খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল, সে ভালো খেলছিল। মুমিনুল ভাই এসে ব্রেক থ্রু দিলেন। এতে দলের অনেক উপকার হয়েছে। আমরা রান রেট কমিয়ে রাখার এবং ওদের তাড়াতাড়ি অলআউট করার চেষ্টা করব।'
আরও দুই-একটি উইকেট না পাওয়ার কথা জানালেও সব মিলিয়ে খুশি শরিফুল। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা তরুণ এই পেসার বলেন, 'পারফরম্যান্সে খুশি। তবে মনের মধ্যে কিন্তু শব্দটা থাকেই, যদি আরও একটা-দুইটা উইকেট যেত, তাহলে আরেকটু খুশি লাগত। তবে দিন শেষে খুশি।'