ডারবান টেস্টে আম্পায়ারিং নিয়ে বাংলাদেশের অভিযোগ
বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার ডারবান টেস্টে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত মুমিনুল হকের দলের গেছে। এখন পর্যন্ত রিভিউয়ের পর সাতবার সিদ্ধান্ত বদলাতে হয়েছে দুই অন-ফিল্ড দুই আম্পায়ারকে। 'ক্লোজ কল'-এর বেশিরভাগই বাংলাদেশের বিপক্ষে গেছে। প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় ইনিংসের ৪৪তম ওভার পর্যন্ত এলবিডব্লিউর রিভিউয়ে চারটি আম্পায়ার্স কল হয়েছে, এর তিনটিই বিপক্ষে গেছে বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের পাওয়া তিন উইকেটের দুটিই এসেছে রিভিউ নিয়ে।
আরেকটি রিভিউ ভয়ে নেয়নি বাংলাদেশ, নিলেই মিলতে পারতো উইকেট। কিন্তু অধারাবাহিক আম্পায়রিংয়ের কারণে রিভিউটি নেওয়া হয়নি বলে জানালেন বিসিবির পরিচালক ও বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। চতুর্থ দিনের খেলা শেষে আম্পায়ারিং নিয়ে অভিযোগ করে জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক জানান, বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত বিপক্ষে না গেলে বাংলাদেশের লক্ষ্য ২৭৪ এর জায়গায় ১৮০ রান হতো।
খালেদ মাহমুদ বলেন, 'অবশ্যই আমি মনে করি আম্পায়ার একটা বড় ভূমিকা পালন করেন। একটা টেস্ট ম্যাচে একটা সিদ্ধান্তের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। সকাল থেকে সবাই দেখেছেন আম্পায়ারিং, এটা তো লুকানোর কিছু নেই। কিছু সিদ্ধান্ত আমাদের বিপক্ষে গিয়েছে। যেটা আগে যদি পেতাম, তাহলে হয়তো ২৭০ তাড়া না করে এখন ১৮০ তাড়া করতাম।'
ডারবান টেস্টের দুই অন-ফিল্ড আম্পায়ার আদ্রিয়ান হোল্ডস্টোক ও মারাইস ইরাসমাসের প্রতি সম্মান জানালেও তাদের কিছু সিদ্ধান্তে নাখোশ খালেদ মাহমুদ। তার ভাষায়, 'আম্পায়াদের রেসপেক্ট। তারা মাঠে বিচারক। আমাদের মেনে নিতে হবে সব সময়ই। আমরা একটা রিভিউ নিলে উইকেট পেতাম, ভয়ে নেওয়া হয়নি আসলে। এত অধারাবাহিক আম্পায়ারিং অনেক দিন পর দেখলাম সত্যি কথা বলতে।'
বেশিরভাগ দেশেই করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো অবস্থায়। তুলে দেওয়া হয়েছে অনেক বিধিনিষেধ। তবে ক্রিকেটের বদলে যাওয়া নিয়ম এখনও আগের মতোই আছেন। এখনও আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলো স্থানীয় ম্যাচ অফিসিয়ালদের দিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে সাকিব আল হাসান হাসান মনে করেন নিরপেক্ষ আম্পায়ার ফেরানোর সময় চলে এসেছে।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে একটি টুইটও করেছেন পারিবারিক কারণে টেস্ট সিরিজের বাইরে থাকা অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। সাকিবের সঙ্গে একমত খালেদ মাহমুদও। তিনি বলেন, 'এখন তো সারা বিশ্বই খুলে গেছে (কোভিড বিরতির পর)। নিরপেক্ষ আম্পায়ার দেওয়ার ব্যাপারটা আশা করি আইসিসি দেখবে।'
দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়েছে ২০৪ রানে। প্রথম ইনিংসের ৬৯ রানের লিড পাওয়ায় বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ২৭৪ রান। এই লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে দুঃস্বপ্নের শুরু হয়েছে বাংলাদেশের। ৮ রানেই তিন উইকেট হারানো সফরকারীরা ১১ রান তুলে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেছে। শেষ দিনে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৬৩ রান, হাতে আছে ৭ উইকেট।