টেনিস কিংবদন্তির আড়াই বছরের কারাদণ্ড
ঋণ শোধ না করার পরিকল্পনা সাজিয়ে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছিলেন জার্মান টেনিস কিংবদন্তি বরিস বেকার। কিন্তু তার পরিকল্পনা কাজে আসেনি, চালাকি করে ধরা পড়ে গেছেন। যার পরিণতিও ভালো হলো না। সম্পত্তি গোপন করে এমন প্রতারণার অভিযোগে সাবেক নাম্বার ওয়ান এই টেনিস তারকাকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন লন্ডনের একটি আদালত।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) আদালতের রায়ে দোষী প্রমাণিত হন বেকার। চলতি মার্চের শুরুতে ব্রিটিশ দেউলিয়া আইনে মোট চারটি অভিযোগে দোষী প্রমাণিত হন ছয়বারের গ্র্যান্ড স্লামজয়ী এই জার্মান টেনিস তারকা।। ২৫ লাখ পাউন্ড মূল্যের সম্পত্তি গোপন করেছিলেন তিনি।
বিভিন্ন খবরে জানা যায়, স্পেনের মায়োর্কা শহরের একটি বিলাসবহুল এস্টেটের ওপর ৩০ লাখ পাউন্ড ঋণ নিয়েছিলেন বেকার। কিন্তু পরে তা পরিশোধ না করে ২০১৭ সালে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেন তিনবারের উইম্বলডনজয়ী এই খেলোয়াড়। তবে ধরা পড়ে যান দুই স্ত্রীর একাউন্টে নগদ অর্থ পাঠিয়ে।
এর আগেও বেকারের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ২০০২ সালে জার্মানিতে কর ফাঁকির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলেও সেবার তাকে স্রেফ সতর্ক করা হয়। কিন্তু এবার আর রেহাই মিললো না কিংবদন্তি এই টেনিস খেলোয়াড়ের।
অবশ্য ৫৪ বছর বয়সী বেকারের সাজা কম ভোগ করার সুযোগ রেখেছে আদালত। তার সাজার অর্ধেক সময় তাকে কারাগারে থাকতে হবে। বাকি সময় তিনি চাইলে আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিয়ে জামিনে থাকতে পারবেন।
১৯৮৫ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জেতেন বেকার, উইম্বলডনের শিরোপা নিজের করে নেন। টেনিস ইতিহাসের সবচেয়ে কম বয়সী এবং প্রথম অবাছাই খেলোয়াড় হিসেবে পুরুষ এককের শিরোপা জেতেন তিনি। রেকর্ডটা এখনও তার দখলে। তিনবার উইম্বলডন ছাড়াও দুবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ও একবার ইউএস ওপেনের এককে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন বেকার।