শরিফুলে মুগ্ধ, এবাদত-খালেদের ‘ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি’ দেখে অবাক ডোনাল্ড
বয়সভিত্তিক ক্রিকেট হলেও সেটা ছিল বিশ্ব আসর। আর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে যেভাবে বোলিং করেছিলেন শরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ পেসারকে মনে ধরেছিল অ্যালান ডোনাল্ডের। তরুণ পেসারকে আগে থেকেই চেনা বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচের। তবে তার জন্য বড় বিস্ময়ের নাম এবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদ।
বাংলাদেশের এই দুই পেসারের টানা বোলিং করে যাওয়ার সামর্থ্য দেখে রীতিমতো অবাক দক্ষিণ আফ্রিকার এই কোচ। খেলোয়াড়ী জীবনে আগ্রাসী বোলিংয়ে ব্যাটসম্যানদের কাছে 'যম' হয়ে ওঠা ডোনাল্ডের মতে, দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট ম্যাচে এবাদত ও খালেদ যেভাবে বোলিং করেছেন, সেটা ছিল অসাধারণ।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার ছিল তৃতীয় দিনের অনুশীলন। দারুণ সেশনের পর সংবাদমাধ্যমকে শরিফুলকে নিয়ে ডোনাল্ড বলেন, 'ওয়ানেডে সিরিজে শরিফুলকে দেখে সত্যিই আমি মুগ্ধ। দক্ষিণ আফ্রিকাতে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে আমি তাকে দেখেছি। সে অসাধারণ ছিল। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জয়ের ওই আসর থেকেই তার অনেক সম্ভাবনা দেখা হচ্ছিল।'
এবাদত ও খালেদের খুব বেশি টেস্ট ম্যাচ খেলা হয়নি। এবাদত ১৪টি ও খালেদ ৫টি টেস্ট খেলেছেন। বোলিং কোচের দায়িত্ব নেওয়ার এই কদিনে এই দুজনকে কেমন দেখলেন, এমন প্রশ্নে জবাবে ডোনাল্ড বলেন, 'আমার জন্য সবচেয়ে বড় চমক ছিল এবাদত ও খালেদ। তাদের প্রাণশক্তি (ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি) দেখে আমি চমকে গেছি। ফাস্ট বোলিং করতে অনেক সাহস লাগে, নিবেদনের কথা তো বলতেই হবে। ফিটনেস তো আছেই। টেস্ট ম্যাচে দুই পেসার ও স্পিনার আমি আগে কখনও দেখিনি। কিন্তু তারা যেভাবে সব সামলে নিয়েছে, বিশেষ করে ডারবানে; সত্যি তা দুর্দান্ত ছিল।'
এবাদত ও খালেদের প্রশংসা করে প্রোটিয়া এই কোচ আরও বলেন, 'বোলাররা আমাদের খেলায় রেখেছিল। কিন্তু ব্যাটিং বিপর্যয়ের পাগলাটে ওই আধা ঘণ্টা, যা আমাদের পিছিয়ে দেয়। এ ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট ম্যাচে যেভাবে বোলিং করেছি আমরা, সেটা অসাধারণ চেষ্টা ছিল। আমি যা দেখেছি, তাতে আমি আনন্দিত। আমার মনেহয়, প্রতিটি অনুশীলন সেশনে আমাদের যে আলোচনা হয়েছে এবং এখান থেকে আমরা যা শিখছি, সেটা যথেষ্ট। আমরা যে পথে এগোচ্ছি, তাতে আমি সন্তুষ্ট।'