উইকেটশূন্য দ্বিতীয় সেশনের পর তাইজুলের ছোবল
দুটি রিভিউ খোয়া গেলেও প্রথম সেশনটা মন্দ যায়নি বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম সেশেনে ২টি উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা তোলে ৭৩ রান। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসটা হতাশায় কাটলো বাংলাদেশের। ৩২ ওভারের এই সেশনে কোনো উইকেট পায়নি বাংলাদেশ। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ও কুশল মেন্ডিস ব্যাটে এই সেশন থেকে ৮৫ রান তোলে তারা।
৫৬ ওভারে ২ উইকেটে ১৫৮ রান তুলে দ্বিতীয় সেশন শেষ করে লঙ্কানরা। ম্যাথুস ও মেন্ডিস দুজনই ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন। কিন্তু তৃতীয় সেশনে শ্রীলঙ্কাকে ভালো শুরু করতে দিলেন না তাইজুল ইসলাম। তৃতীয় সেশনের প্রথম বলেই মেন্ডিসকে ফিরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের বাঁহাতি এই স্পিনার। ৫৭ ওভার শেষে ৩ উইকেটে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ১৫৮ রান। ম্যাথুসের সঙ্গে উইকেটে যোগ দিয়েছেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।
লাঞ্চের আগে দুই উইকেট ও দুই রিভিউ হারানোর আক্ষেপ
ম্যাচের আগেরদিনই রিভিউ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হলো মুমিনুল হককে। বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক অনেকটা অসহায়ত্ব প্রকাশ করেই বললেন, 'আমার রোবট হতে হবে, এ ছাড়া বিকল্প নেই।' আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিভিউ নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে 'অদূরদর্শী' বললেও ভুল হবে না। প্রায়ই ভুল রিভিউ নিয়ে পরে আক্ষেপ করতে দেখা যায় বাংলাদেশকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম সেশনেই দেখা গেল তেমন দুটি ঘটনা।
এরপরও অবশ্যই প্রথম সেশনে বাংলাদেশকেই এগিয়ে রাখা যায়। সাগরিকার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া টেস্টের প্রথম সেশনে শ্রীলঙ্কা রান তুলেছে ৭৩, বাংলাদেশের শিকার ২ উইকেট। দুটি উইকেটই নিয়েছেন ডানহাতি অফ স্পিনার নাঈম হাসান।
এক সেশনে ২ উইকেট নিয়েও বাংলাদেশ শিবিরে অস্বস্তি। ইনিংসের তিন রিভিউয়ের দুটিই গেছে বিফলে, দুটি রিভিউই শরিফুল ইসলামের বোলিংয়ে। প্রথম রিভিউটি তো নিজেই নিয়ে নেন তরুণ বাঁহাতি এই পেসার। পরেরটি আলোচনা করে নিয়েও লাভ হয়নি, এবারও ফল বাংলাদেশের বিপক্ষে। বাংলাদেশের হাতে আর মাত্র একটি রিভিউ জমা। শ্রীলঙ্কাও হারিয়েছে একটি রিভিউ।
সাবলীল শুরুর পরও দলকে বেশি পথ এগিয়ে দিতে পারেননি শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার ওশাদা ফার্নান্দো ও দিমুথ করুনারত্নে। অষ্টম ওভারে দারুণ এক ডেলিভারিতে লঙ্কান অধিনায়ক করুনারত্নেকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন নাঈম। ২২তম ওভারে গিয়ে দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন বাংলাদেশের ডানহাতি স্পিনার। তার অফ স্টাম্পের ঠিক বাইরে করা ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়ে লিটন কুমার দাসের হাতে ধরা পড়েন ওশাদা।
পঞ্চম ওভারে করা প্রথম ডেলিভারিতেই ফার্নান্দোকে পরাস্থ করেন শরিফুল। লঙ্কান ওপেনারের প্যাডে বল লাগতেই জোরালো আবেদন করেন তিনি। আম্পায়ার আউট না দিলে সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নিয়ে নেন শরিফুল। কিন্তু রিভিউতে দেখা যায় বল লেগ স্টাম্পের পিচ করেছে।
২৩তম ওভারে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের বিপক্ষে এলবিডব্লিউর আবেদন করেও আম্পায়ারের কাছ থেকে সাড়া পাননি শরিফুল। আলোচনার পর রিভিউ নেন অধিনায়ক মুমিনুল। এবার দেখা যায় বল অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করেছে।