দুই হাজারিতে তৃতীয় দ্রুততম লিটন
অপার সম্ভাবনা নিয়ে জাতীয় দলে অভিষেক হয় লিটন কুমার দাসের। সাত বছর আগের সেই সময়ে বলা হতো, 'বাংলাদেশ ক্রিকেটের ব্যাটিং ভবিষ্যত হতে যাচ্ছেন তিনি।' আবার ব্যাট হাতে খারাপ সময়ে লিটনকে নিয়েই বলা হয়েছে, 'পারফরম্যান্স করতে না পারলে প্রতিভা দিয়ে কী হবে?'
নিন্দুকের এসব সমালোচনা গায়ে মাখেননি নিজেকে গুটিয়ে রাখতে পছন্দ করা লিটন। নিজেকে ভেঙে গড়েছেন, বদলে ফেলেছেন অনুশীলনের ধরন। তাতে মিলেছে ছন্দ, ব্যাটে বইছে রানের ফোয়ারা। বিশেষ করে টেস্টে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান বিশ্ব ক্রিকেটেই এখন উদাহরণযোগ্য।
উইকেটে নামলেই রানের দেখা পান লিটন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৮৮ রানের ইনিংস খেলা বাংলাদেশ ব্যাটসম্যান মিরপুর টেস্টে আরও সাবলীল। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে চোখ জুড়নো সব শটে তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় ইনিংসেও দলের দুঃসময়ে ত্রাতা তিনি।
শেষ দিনে ম্যাচ বাঁচানোর লড়াইয়ে ৪৮ রান করে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গেছেন তিনি। আর এই রান করা পথে একটি মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন লিটন। টেস্টে ২ হাজার রান পূর্ণ হয়েছে ডানহাতি উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যানের।
বাংলাদেশের অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে ২ হাজার টেস্ট রানের মাইলফলকে পৌঁছালেন লিটন। দুই হাজারি ক্লাবে তিনি তৃতীয় দ্রুততম। ৪৭ ইনিংসে এই মাইলফলক ছুঁয়ে বাংলাদেশের দ্রুততম মুমিনুল হক। দ্বিতীয় দ্রুততম তামিম ইকবালের লেগেছিল ৫৩ ইনিংস। ৫৬ ইনিংসে ২ হাজারে পৌঁছালেন লিটন।
২ হাজার থেকে ৪১ রান দূরে থাকতে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামেন লিটন। ৩৮তম ওভারে লঙ্কান স্পিনার প্রাভিন জয়াবিক্রমার বল কভারে ঠেলে এক রান নিয়ে ঠিকানায় পৌঁচে যান তিনি।
মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৪১ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন লিটন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৮ রানে অপরাজিত আছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। এই টেস্টে এখন পর্যন্ত তার রান ১৮৯, যা তার ক্যারিয়ার সেরা টেস্ট। আগের সেরা ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে। গত ডিসেম্বরে চট্টগ্রামে ১১৪ ও ৫৯ রানের দুই ইনিংসে ১৭৩ করেন তিনি।