র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস সেরা রেটিং পয়েন্ট লিটনের
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট ভালো যায়নি বাংলাদেশের। চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১০ উইকেটের বড় হার মেনে নিতে হয় ঘরের মাঠের দলটিকে। ব্যাটিং বিপর্যয়ের মাঝেও ব্যতিক্রম ছিলেন কুমার দাস। ব্যাট হাতে স্বপ্নের সময় কাটানো ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন, পরের ইনিংসেও তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। তার দারুণ এই ব্যাটিংয়ের প্রতিফলন পড়েছে র্যাঙ্কিংয়ে।
আইসিসি টেস্ট ব্যাটসম্যানের র্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিয়ার সেরা ১২ নম্বরে উঠে এসেছেন লিটন। পাশাপাশি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ রেটিং পয়েন্টের রেকর্ড গড়েছেন তিনি, ছাড়িয়ে গেছেন তামিম ইকবালকে। গত সপ্তাহের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে র্যাঙ্কিং হালনাগাদ করেছে আইসিসি। বুধবার তা প্রকাশ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে লিটনের রেটিং পয়েন্ট এখন ৭২৪। এতোদিন রেকর্ডটি ছিল তামিমের দখলে। ২০১৭ সালের আগস্টে তামিমের রেটিং পয়েন্ট হয় ৭০৯, যা ছিল বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ রেটিং পয়েন্ট সাকিব আল হাসানের, ৬৯৪।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দল ১-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ হারলেও লিটন ছিলেন দারুণ ছন্দে। চট্টগ্রাম টেস্টে ৮৮ রানের ইনিংস খেলে র্যাঙ্কিংয়ে ৩ ধাপ আগান তিনি, উঠে আসেন ১৭ নম্বরে। মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে ক্যারিয়ার সেরা ১৪১ রান করা উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান পরের ইনিংসে করেন ৫২ রান। এই দুই ইনিংসে ৫ ধাপ উন্নতি হয়ে তার।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রানের ফোয়ারা বইয়ে দিয়েছেন মুশফিকও। চট্টগ্রাম টেস্টে ১০৫ রানের ইনিংস খেলা অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন। দ্বিতীয় ইনিংসে তার ব্যাট থেকে আসে ২৩ রান। মিরপুর টেস্টে পারফরম্যান্সে ৮ ধাপ এগিয়েছেন মুশফিক। নিউজিল্যান্ডের হেনরি নিকোলসের সঙ্গে ক্যারিয়ার সেরা ১৭ নম্বরে আছেন তিনি।
মিরপুর টেস্ট দুঃস্বপ্নের মতো সময় কাটে তামিম ইকবালের। দুই ইনিংসে শূন্য রানে আউট হন অভিজ্ঞ এই ওপেনার, যা তার ক্যারিয়ারে প্রথম অভিজ্ঞতা। বাজে পারফরম্যান্সে র্যাঙ্কিংয়ে অবনতি হয়েছে তার। ৫ ধাপ পছিয়ে ৩২ নম্বরে আছেন তিনি। খারাপ সময় কাটানো মুমিনুল হক ৭ ধাপ নিচে নেমে গেছেন, ৬৪ নম্বরে আছেন তিনি। সাকিব আল হাসান আগের মতোই ৪৩ নম্বরে আছেন।
বোলিং র্যাঙ্কিংয়েও আগের অবস্থানে আছেন সাকিব। মিরপুর টেস্টে ক্যারিয়ারের ১৯তম ৫ উইকেট নেওয়া বাঁহাতি এই স্পিনার ২৯ নম্বরে আছেন। ৪ উইকেট নেওয়া এবাদত হোসেন এক ধাপ এগিয়ে ৮৪ নম্বরে আছেন।