নতুন করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়াচ্ছে তবে মানুষকে অসুস্থ করছে কম: গবেষণা
পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বারবার নিজেকে বদলানো নতুন করোনাভাইরাস আগের চেয়ে দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়ালেও তা মানুষকে তুলনামূলক কম অসুস্থ বানাচ্ছে বলে একটি গবেষণায় উঠে এসেছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার লা ঝল্লা ইনস্টিটিউট ফর ইউমিউনোলজি অ্যান্ড দ্য করোনাভাইরাস ইমিউনোথেরাপি কনসোর্টিয়ামের গবেষক এরিকা ওলমান স্যাফায়ার বলেন, "মানুষকে আক্রান্ত করার ক্ষেত্রে ভাইরাসের এই ধরণটা বেশ আগ্রাসী।"
যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগীদের ওপর চালানো এই গবেষণার ফলাফল সেল নামে একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়।
এই ভাইরাসটির জেনেটিক সিকোয়েন্স করে দেখা যায়, মিউটেশনের মধ্য দিয়ে পরিবর্তিত হওয়া নতুন গঠনের এই ভাইরাসটি আগের ভাইরাসের জায়গা দখল করে নিচ্ছে।
গবেষকরা শুধু জিনোম সিকুয়েন্সই করেননি, তারা মানুষ ও প্রাণির ওপর এবং ল্যাবের মধ্যে নানা ভাবে ভাইরাসটির পরীক্ষা চালিয়েছেন যাতে দেখা গেছে, ভাইরাসের এই প্রকারভেদটা অন্যগুলোর তুলনায় বেশি সংক্রামক।
স্যাফায়ার বলেন, "আমরা জানি যে নতুন এই ভাইরাসটি আগের গুলোর সমন্বয়ে এই অবস্থায় এসেছে। এটা যতোটা খারাপ, তা প্রথম দেখায় মনেই হয় না।"
এখন গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখছেন, ভাইরাসটির তীব্রতা সম্পর্কে এবং এটিকে কীভাবে ভ্যাকসিন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে সম্পর্কে। বর্তমান যে ভ্যাকসিনগুলো প্রস্তুতির বিভিন্ন পর্যায়ে আছে সেগুলো ভাইরাসের শুরুর দিককার শ্রেণিগুলোর জন্য বানানো।
গবেষকরা ভাইরাসের নতুন এই মিউটেশনের নাম দিয়েছেন G614. তারা দেখিয়েছেন কীভাবে এই নতুন ধরণের ভাইরাস ইউরোপ এবং আমেরিকার D614 করোনাভাইরাসকে সরিয়ে এখন সংক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।
এই গবেষকদলের সদস্য তাত্ত্বিক জীববিজ্ঞানী বেটে কোরবার বলেন, "আমাদের গ্লোবার ট্র্যাকারের ডেটা অনুযায়ী, ভাইরাসের D614 প্রকারভেদের চেয়ে G614 প্রকারভেদ আরও দ্রুত ছড়ায়। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, এই ভাইরাসরটি আগের তুলনায় আরও বেশি সংক্রামক। তবে রোগের মারাত্মক দশার ক্ষেত্রে এটার প্রভাবের কোনো প্রমাণ আমরা পাইনি।"