শিশুদের কি কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া উচিত?
বাংলাদেশের শিশুদের করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া উচিত কি না, এ ব্যাপারে অনেক আলাপ-আলোচনার পর অবশেষে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়ায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
শুরুতে দেশের ৩০ লাখ ছেলেমেয়েকে এই টিকা দেয়া হবে বলে গত রোববার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সরকারের কাছে এই মুহূর্তে দুই ডোজ দেওয়ার উপযোগী ৬০ লাখ ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা রয়েছে। জন্ম-নিবন্ধন সনদের মাধ্যমে শিশুরা এই টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবে।
প্রাথমিকভাবে বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) থেকে মানিকগঞ্জের দুটি সরকারি স্কুলের ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ১০০ শিশু শিক্ষার্থীকে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা দেওয়া হবে।
শুধু বাংলাদেশই নয়, ইতোমধ্যে বিশ্বের অনেক দেশই ১২ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের জন্য করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কয়েকটি দেশ আবার এ ব্যাপারে অনেকখানি এগিয়েও গেছে।
যেমন ইসরায়েলের অর্ধেকেরও বেশি ১২ বছরের অধিক বয়সী শিশুরা অন্তত এক ডোজ টিকা গ্রহণ করেছে। কেউ কেউ আবার প্রথম দুই ডোজ শেষে বুস্টার ডোজও পেয়ে গেছে। এছাড়া গত জুলাই মাস থেকে তারা 'বিশেষ বিবেচনায়', অর্থাৎ জটিল ফুসফুস ও হৃদযন্ত্রের রোগে আক্রান্ত, ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদেরও, করোনাভাইরাসের টিকা দিতে শুরু করেছে।
তাই ইসরায়েলকে কেস স্টাডি হিসেবে ধরেই জানার চেষ্টা করা যায়, শিশুদের কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া আদৌ উচিত কি না।
এ ব্যাপারে সুইজারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি চিলড্রেন'স হসপিটাল বাসেলের শিশুদের সংক্রমণ রোগের বিশেষজ্ঞ নিকোল রিৎজ বলেন, 'টিকাটি কাজ করে। কিন্তু ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জন্য আমরা যেমন সতর্ক ছিলাম, বয়স আরও কম হলে সতর্কতার মাত্রাও আরও বাড়াতে হবে। সম্ভাবনা রয়েছে যে এটি হতে চলেছে এমন একটি টিকা, যেটি অন্য অনেক টিকার মতো আমরা শিশুদের জন্মের পর প্রথম বছরেই দেব।
'তবে আপনি বয়স যত কমাবেন, আপনার ততই তথ্য-উপাত্ত প্রয়োজন হবে যে টিকাটি আসলেই নিরাপদ কি না। এবং এক্ষেত্রে উপাত্ত সংগ্রহ অনেক বেশি কঠিন হবে, কেননা একজন ১৬ বছর বয়সীর চেয়ে একজন পাঁচ বছর বয়সীর আপনাকে বলার সম্ভাবনা বেশি, "আমার বুকে এক ধরনের অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে। আমি আজকে সুস্থ বোধ করছি না।"'
২০২১ সালের অক্টোবরের আগ পর্যন্ত ইসরায়েলের ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী ৫৩ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ১৬ থেকে ১৯ বছর বয়সী ৮৪ শতাংশ শিশু টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে।
কমবয়সী শিশুদের, বিশেষত যাদের অন্য কোনো রোগের ব্যাকগ্রাউন্ড নেই, তাদের টিকা প্রদান সম্পর্কে কী মনে করছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে দেশটির বেশ কয়েকজন অভিভাবক উৎসাহ দেখিয়েছেন। সন্তানদের সংক্রমণের আশঙ্কায় ভীত-সন্ত্রস্ত ছিলেন, সন্তানরা দীর্ঘদিন লকডাউনে গৃহবন্দি থাকতে থাকতে মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছিল, জুমে ক্লাস করতেও তাদের আর ভালো লাগছিল না, এ ধরনের কারণকে ওই অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের টিকা প্রদানে আগ্রহী হওয়ার প্রধান কারণ বলে উল্লেখ করেন।
বিশেষত অতি মাত্রার সংক্রমণ প্রবণ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের আবির্ভাবের পর থেকেই অভিভাবকের মনে ভয় জেগেছে যে ভবিষ্যতে হয়তো আবারও লকডাউন দেওয়া হতে পারে।
৬০ শতাংশ জনগণকে পূর্ণাঙ্গভাবে টিকা দেওয়ার পর চলতি বছরের জুনের মাঝামাঝি ইসরায়েল তাদের ঘরের মধ্যে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা তুলে নেয়। ততদিনে ৭০ বছরের বেশি বয়সী ৯০ শতাংশ ইসরায়েলিরও টিকা নেওয়া হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এর মাত্র দশদিন বাদেই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দ্রুতবেগে ছড়িয়ে পড়তে থাকার ফলে পুনরায় দেশটিতে ঘরের মধ্যে মাস্ক পরার বিধি ফিরিয়ে আনা হয়।
১ সেপ্টেম্বর ইসরায়েলের পাবলিক স্কুলগুলো খুলে দেওয়া হলে শিশুদের কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ার হার উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে থাকে। মাত্র এক মাসের কিছু বেশি সময়ের মধ্যেই, দেশটির কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়া মোট জনসংখ্যার ৫৪ শতাংশ ছিল শূন্য থেকে ১৯ বছর বয়সী শিশুরা।
কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শিশুদের টিকা প্রদান করা হলে স্কুলে সশরীরে উপস্থিত হওয়া সত্ত্বেও কোভিড-১৯ সংক্রমণ ও ঝুঁকি বিস্তারের হার হ্রাস পাবে।
'আমি বিশ্বাস করি – এবং আমি এমনটা বরাবরই বলে এসেছি – আমাদের উচিত শিশুদের টিকা প্রদান করা। এতে করে মহামারি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে,' বলেন ইসরায়েলের ইউনিভার্সিটি অভ হাইফার স্কুল অব পাবলিক হেলথের অধ্যাপক, মহামারি বিশেষজ্ঞ ম্যানফ্রেড গ্রিন।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা জানতাম এটি একটি খুবই সংক্রমণ-প্রবণ রোগ। কিন্তু ডেল্টার কারণে এটির সংক্রমণের প্রবণতা আরও বেড়ে গেছে।'
তিনি জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের আশাবাদের কথাও মনে করিয়ে দেন যে একটি জনগোষ্ঠীর ৬০ থেকে ৭০ শতাংশের মধ্যে যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জন্মায়, তবে মহামারিকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। কিন্তু তার মতে, এখন জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বুঝতে পেরেছেন যে শতাংশের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি করতে হবে। শিশুদের ভ্যাকসিনেট করা হলেই একটি জনগোষ্ঠীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাহীনের পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
গ্রিন আরও বলেন, শিশুরা যেহেতু এখন স্কুলে জমায়েত হচ্ছে, তাই তারা এখন আরও বেশি পরিমাণে ছড়িয়ে দিতে পারে রোগটিকে। যদি তারা সংক্রমিত হয়ও, তবু তাদের উপসর্গহীন থাকা বা খুব সীমিত পরিমাণে উপসর্গ দেখানোর সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে সব শিশুই এত সহজে রোগটিকে প্রতিরোধ করতে পারবে।
যুক্তরাষ্ট্রে জুনের শেষ থেকে আগস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের আবির্ভাবের পর, শিশু-কিশোরদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরিমাণ পাঁচগুণ বৃদ্ধি পায়। ইসরায়েলে আবার অক্টোবরে অতি গুরুতর অবস্থায় থাকা মোট রোগীদের ০ দশমিক ২ থেকে ০ দশমিক ৫ শতাংশ ছিল শূন্য থেকে ১৯ বছর বয়সী শিশু। সব মিলিয়ে মহামারি শুরুর পর থেকে দেশটিতে শূন্য থেকে ১৯ বছর বয়সী ১২ জন শিশু মারা গেছে।
এছাড়া শিশুদের সংক্রমিত হওয়ার অনেকদিন পরও প্রলম্বিত উপসর্গ দেখানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এসব উপসর্গের অন্যতম মাথাব্যথা ও ক্লান্তি, এবং এ ধরনের রোগ পরিচিত 'লং কোভিড' হিসেবে।
যদিও বিভিন্ন প্রতিবেদনের মধ্যে কমবেশি ফারাক রয়েছে, তবে পাঁচ থেকে ১৭ বছর বয়সী ২,৫৮,৭৯০ জন শিশুকে নিয়ে করা একটি সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাজ্যে কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়া ১,৭৩৪ জন শিশুর মধ্যে ২ থেকে ৪ শতাংশের মধ্যে দীর্ঘকালীন উপসর্গ দেখা গেছে। এদিকে ইসরায়েলে একটি একই ধরনের গবেষণা থেকে দেখা গেছে, তিন থেকে ১৮ বছর বয়সী ১৩,৮৬৪ জন শিশু, যারা কোভিড-১৯ থেকে সেরে উঠেছে, তাদের মধ্যে ১১ শতাংশের দীর্ঘকালীন উপসর্গ দেখা গেছে। এসব উপসর্গের মধ্যে রয়েছে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটা এবং কোনো কাজে মনোযোগ বসাতে কষ্ট হওয়া। গবেষণা নিবন্ধের লেখকদের মতে, প্রলম্বিত লকডাউন ও স্কুল বন্ধ থাকারও এসব উপসর্গের উপর প্রভাব থাকতে পারে।
গ্রিনের মতে, এসব বিষয়কে বিবেচনায় আনলে, পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকা প্রদান করা খুবই যুক্তিসঙ্গত। এবং যদি অতীতে কোনো রোগের ইতিহাস না থাকে, তারপরও সম্ভব হলে আরও কমবয়সী শিশুদেরও টিকা প্রদান করা যেতে পারে।
ইসরায়েলের ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের টিকা প্রদানের ফলাফলের আলোকে তিনি বলেন, 'টিকার বেশ ভালো সুরক্ষা দেওয়ার রেকর্ড রয়েছে। পাশাপাশি টিকার গুরুতর ও প্রতিকূল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার পরিমাণও খুব তাৎপর্যপূর্ণ নয়।'
ইসরায়েলে ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সী যারা ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা পেয়েছে, তাদের মধ্যে প্রতি ৩,০০০ থেকে ৬,০০০ জনের মধ্যে একজনের মায়োকার্ডাইটিস দেখা গেছে। এটি একটি বিরল ধরনের হৃদযন্ত্রের পেশির প্রদাহ।
তবে গ্রিন বলছেন, 'প্রায় সবসময়ই' এ রোগটি নিরাময়যোগ্য, যদিও আক্রান্ত শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন পড়তে পারে।
তাছাড়া টিকার এসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াকে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ফলাফলের সঙ্গে তুলনা সাপেক্ষেও দেখতে হবে। ইসরায়েলের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, ১৬ বছরের বেশি বয়সীরা যদি কোভিড-১৯ সংক্রমণের শিকার হয়, তাহলে তাদের মায়োকার্ডাইটিসের আশঙ্কা আরও বেশি বেড়ে যায়।
তবে ইসরায়েলের জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মধ্যে কেউ কেউ শিশুদের টিকা প্রদানের ব্যাপারে তাদের উদ্বেগের কথাও জানিয়েছেন।
তেল আবিব ইউনিভার্সিটির স্বাস্থ্য নীতিমালা বিশেষজ্ঞ এবং ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোভিড-১৯ উপদেষ্টা প্যানেলের সদস্য আদি নিভ-ইয়াগোদা বলেন, '১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের টিকা প্রদানের বিষয়টি বেশ কিছু নৈতিক, সামাজিক এবং চিকিৎসাবিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট সমস্যা ও প্রশ্নের অবতারণা ঘটায়।
'একদিকে, পাঁচ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের টিকা প্রদান করা কোভিড-১৯ এর মৃত্যুর হার ও করোনা মহামারির মাত্রা হ্রাসে সহায়ক হতে পারে। কিন্তু অন্যদিকে, টিকা প্রদানের ফলে শিশুদের ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যহানির সম্ভাব্য ঝুঁকিও রয়ে যায়।'
একই কথা বলেছেন ইউনিভার্সিটি চিলড্রেন'স হসপিটাল বাসেলের নিকোল রিৎজ। তিনি বলেন, 'আপনারা ছোট ছোট শিশুদের টিকা দিচ্ছেন কি তাদের বাঁচানোর জন্য, নাকি সমাজকে বাঁচানোর জন্য?'
তার মতে, শিশুদের উপর কোভিড-১৯ রোগের প্রভাব যদি সীমিত থাকে, তাহলে স্থূলতা, শ্বাসযন্ত্রীয় রোগ বা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত খুব কম সংখ্যক শিশুই টিকা থেকে সরাসরি উপকৃত হবে। কিন্তু শিশুদের মাঝে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির একমাত্র সুফল যদি হয় তাদের দাদা-নানাদের সুরক্ষিত রাখা, 'তাহলে টিকাটির সম্পূর্ণরূপে নিরাপদ হওয়া উচিত।'
১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী কিশোরদের কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ বিষয়ক প্রতিষ্ঠান সিডিসির একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের দিকেও নির্দেশ করেন রিৎজ। প্রতিবেদনটিতে ফলো-আপ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা গ্রহণ করা ৮৯ লাখ কিশোরের।
দেখা গেছে, তাদের মধ্যে টিকা গ্রহণের পর ৯,২৪৬ জনের তীব্র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অর্থাৎ প্রতি এক হাজার জনের মধ্যে একজন এ ধরনের অভিযোগ করেছে। তবে মজার ব্যাপার হলো, এ ধরনের অভিযোগ যারা করেছে, তাদের ৯০ শতাংশের মাঝেই নিছকই 'অগুরুতর' পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন ঝিমুনি ও মাথাব্যথা দেখা গেছে। বাকি ৯ দশমিক ৩ শতাংশের মাঝে প্রকৃতপক্ষেই গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন বুকে ব্যথা, বমি, জ্বর ও মায়োকার্ডাইটিস দেখা গেছে। তবে মায়োকার্ডাইটিসের ফলে এখনও কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
অর্থাৎ, শিশুদের করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া উচিত নাকি অনুচিত, এ প্রসঙ্গে এখনও কোনো নিশ্চিত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে যেহেতু দেশের ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের টিকা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েই গেছে, তাই সেটি মাত্র এক মাস আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া বাংলাদেশের শিশুদের কতটা সুরক্ষিত রাখতে পারে, সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা।
- সূত্র : বিবিসি