বেবিটিউব: লক্ষ্য যাদের শিশুর জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট!
স্কুল-হোমওয়ার্কের ঝক্কি সামলে পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া জাফিরের দিনের কিছু সময় কাটে বেবিটিউবে ট্র্যাভেল ভ্লগ বানিয়ে। বছরখানেক আগেও যার কার্টুন কিংবা টেলিভিশনের প্রতি ভীষণ ঝোঁক ছিলো, বেবিটিউবের সংস্পর্শে এসে তা অনেকখানিই কমে গেছে। জাফিরের মা সোনিয়া ইসলামও এ জায়গাতে একেবারে নিশ্চিন্ত। ছেলের পড়াশোনা বেড়েছে, নতুন কিছু জানার আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে- সেটি নিয়েই খুশি তিনি। নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে সন্তানের পড়াশোনার পাশাপাশি অন্যান্য দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বেবিটিউবের কাছে কৃতজ্ঞ সোনিয়া ইসলাম।
সোনিয়া ইসলামের মতো এমন অনেক অভিভাবক রয়েছেন, যাদের লক্ষ্য সন্তানের হাতে নিরাপদ ইন্টারনেট তুলে দেয়া। কিন্তু চাইলেই কি সবসময় শিশুর জন্য সুস্থ নেটমাধ্যম পাওয়া সম্ভব? এক্ষেত্রে সোনিয়ার মতো অনেক অভিভাবকের ভরসার জায়গা তৈরি করতে এগিয়ে এসেছে বেবিটিউব। বেবিটিউব হলো এক ধরণের ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ। চলন-বলন অনেকটা ইউটিউবের মতো হলেও বেবিটিউবের লক্ষ্য একটাই- শিশুদের সুস্থ ইন্টারনেটের সাহচর্যে নিয়ে আসা।
ইন্টারনেটের যুগে শিশুদের ইন্টারনেট থেকেই সরিয়ে রাখা কার্যত অসম্ভব ব্যাপার। দিবারাত্র ফোনে মুখ গুঁজে রেখে কেউ হয়তো কার্টুন দেখছে আবার কেউবা গেমস খেলে যাচ্ছে। শিশুর বয়স যতই হোক, নিত্য ফোন নিয়ে বসে থাকাকে কেন্দ্র করে অভিভাবকের দুশ্চিন্তার কোনো কমতি থাকে না।
যেহেতু অভিভাবকদের পক্ষে শিশুরা কী দেখছে তা সবসময় পাহারা দিয়ে রাখা সম্ভব হয় না। তাই তাদের দুশ্চিন্তা দূর করতে শিক্ষামূলক ও নিরাপদ ইন্টারনেট কন্টেন্ট নিয়ে এগিয়ে এসেছে 'বেবিটিউব'। সুস্থ বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে ২০২১ সাল থেকে আমাদের দেশে কাজ করে যাচ্ছে ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপটি। গান, খেলাধুলা, গেমিং, ট্র্যাভেল, সংবাদ ও রাজনীতি, কৌতুক, কার্টুন, ছড়া-কবিতা, পোষা-প্রাণী, টেকনোলজি, লাইফ-স্টাইল সংক্রান্ত ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরির আড়াই হাজারের বেশি ভিডিও কন্টেন্ট এখানে শিশুদের জন্য রয়েছে।
শিশুদের জন্য ভিডিও কন্টেন্টের কথা উঠলেই প্রথমে মাথায় আসে, কন্টেন্ট আদতে নিরাপদ তো! কারণ আমাদের দেশে ইন্টারনেট তুলনামূলকভাবে সহজলভ্য হয়ে পড়ায় কন্টেন্ট হিসেবে কী প্রকাশ করা হচ্ছে তা যাচাইয়ের বালাই সবসময় থাকে না। ২০২২ সালের আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৫ বছরের ঊর্ধ্বে ৩০.৬৮% শিশু ইন্টারনেট ব্যবহার করে। যার মধ্যে ৫৭.৬১ শতাংশ শিশুর অবস্থান ঢাকাতেই।
করোনা মহামারি শুরুর কারণে অনলাইন ক্লাসের চক্করে শিশুদের মোবাইল কিংবা ইন্টারনেট ব্যবহারের হার বেড়ে গিয়েছে। শিশুরা যাতে নিজেদের পরিধির মধ্যেই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে তার জন্যই উদ্ভব বেবিটিউবের। মোট কথা, অভিভাবকের উৎকণ্ঠা দূর করতেই আগমন ঘটেছে অ্যাপটির।
বেবিটিউবের পথচলার গল্প
ইউটিউবের বিকল্প হিসেবেই মূলত যাত্রা শুরু বেবিটিউবের। অন্তরালে দু'জন ব্যক্তি- শামীম আশরাফ ও সাজ্জাদুল ইসলাম। দুজনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নির্মিত হলো ভিডিও শেয়ারিং সাইট। শিশুদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে বলেই অ্যাপের নাম বেবিটিউব।
প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী শামীম আশরাফ বলেন, 'বেবিটিউব শুরুর আগে আমরা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করতাম। সেখানে অভিভাবকদের সাথে কথা বলার পর জানতে পেরেছিলাম শিশুরা অপরাধমূলক কার্যক্রম, কিশোর গ্যাং এর সাথে জড়িয়ে পড়ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে। ফেসবুক, ইউটিউব বা টিকটকে তাদের বিপুল আসক্তি চলে এসেছে। তখন আমরা টিম সহ আলোচনা করলাম, শিশুদের জন্য এমন কিছু শুরু করা যায় কিনা। সেভাবেই শুরু হয়েছে বেবিটিউব।'
শিশুদের জন্য সুস্থ ইন্টারনেটের লক্ষ্যে সৃষ্ট বেবিটিউবে বিজ্ঞাপন থাকলেও তার মাত্রা ইউটিউবের তুলনায় অনেকখানি কম। প্রতিষ্ঠাতা শামীম আশরাফের মতে, বেবিটিউবে গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেয়ার সুযোগ নেই। কিছু স্থানীয় প্রতিষ্ঠানই বিজ্ঞাপন দিতে সক্ষম এখানে। তাই হঠাৎ করে শিশুর সামনে প্রাপ্তবয়স্কদের বিজ্ঞাপন চলে আসার মাত্রাও শূন্য।
বর্তমানে ২ হাজার ৭০০টির বেশি ভিডিও কন্টেন্ট রয়েছে বেবিটিউবে। ৪৭৭৯ জন চ্যানেল খুলেছে এখানে। তবে শিশুর বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে এমন উষ্কানিমূলক কন্টেন্ট কিংবা মিথ্যা তথ্য সম্বলিত কন্টেন্ট সর্বদা পরিহার করা হয় বেবিটিউবে। বেবিটিউবের একটি প্রশিক্ষিত দল সর্বদা এগুলো তত্ত্বাবধান করে থাকেন। ২২ জনের একটি দল সর্বদা নিয়োজিত আছে এর সাথে। তাছাড়া সারা দেশ জুড়ে ৬৮ জন প্রতিনিধি যুক্ত রয়েছে বেবিটিউবের সাথে।
বাহারি কন্টেন্টের মেলা!
বেবিটিউবে প্রকাশিত আধেয় কী বাস্তবিকভাবেই শিশুদের সুস্থ ইন্টারনেট এনে দিচ্ছে? আসলেই কী ভিডিওগুলো শিশুদের বিকাশে ও অবসর যাপনে সাহায্য করছে?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে চলে গেলাম বেবিটিউবের অ্যাপে। অ্যাপে ঢুকতেই দেখা গেলো সেখানে নানান রকমের রঙিন ক্যাটাগরির রঙিন সব ভিডিও। আর মজার ব্যাপার হচ্ছে এখানে অধিকাংশ কন্টেন্ট ক্রিয়েটরই শিশু। তারা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী বিভিন্ন রকমের ভিডিও বানাচ্ছে।
কোন জাতীয় ভিডিও সবচেয়ে বেশি দেখা হয় তা যাচাই করতে গিয়ে দেখা গেছে, কার্টুন জাতীয় ভিডিওগুলোর দর্শক সবচেয়ে বেশি। তবে কার্টুনগুলো নিছক কার্টুন নয়। এর মধ্যে রয়েছে নানান রকমের ছড়া, গান কিংবা গল্প। এই যেমন- জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের 'খুকি ও কাঠবিড়ালী' কবিতা। অ্যানিমেশনের মাধ্যমে কবিতাটিকে উপস্থাপন করেছে বেবিটিউব টিম। যার মাধ্যমে দর্শক যারা আছে তারা কেবল আনন্দই পাবেন না, পাশাপাশি অনেককিছু শিখতেও পারবেন।
আবার রোকনুজ্জামান খানের 'হাট্টিমাটিম টিম' ছড়া তো আমরা সবাই কম বেশি জানি। এই ছড়াটিকেও তারা কার্টুনের মাধ্যমে তুলে ধরেছে শিশুদের জন্য। নানান রকম কবিতা ছাড়াও এখানে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ সহ মুক্তিযুদ্ধের গল্প। এছাড়াও এখানে ভিডিওর মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে ভাষা আন্দোলনের গল্প। এগুলো ছাড়াও ইউটিউবের মতো এখানে অনেকে নানান রকমের ভ্লগ আপলোড করে। বিভিন্ন এলাকার ঐতিহ্যবাহী খাবার, আকর্ষণীয় স্থান, বিভিন্ন মেলা কিংবা কেউ কোথাও ঘুরতে গেলে সে সংক্রান্ত ভ্লগও এখানে পাওয়া যায়।
বেবিটিউবে প্রকাশিত কন্টেন্টের মধ্যে অন্যতম হলো শিশুদের ড্রয়িং শেখানো। গল্পে গল্পে শিশুদের বিভিন্ন ছবি আঁকার ভিডিও এই অ্যাপটিতে পাওয়া যায়। সংখ্যার মাধ্যমে ছবি আঁকা, ফল, ফুল, পাখি, মাছ, দৃশ্য সহ বিভিন্ন বস্তুর ছবি আঁকা এখানে শেখানো হয়। শুধু তাই নয়, এখানে শিশুদের শরীর সুস্থ রাখার জন্য বিভিন্ন ডাক্তারের পরামর্শ সংক্রান্ত ভিডিও পাওয়া যায়। যেখানে পরামর্শ প্রদান করেন ডাক্তাররাই। এমনকি প্রাথমিক চিকিৎসার খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে ভিডিও এখানে পাওয়া যায়।
রয়েছে আয়ের সুযোগ
কন্টেন্ট প্রস্তুতের জন্য বেবিটিউবের নিজস্ব দল রয়েছে। ইউটিউবের মতো এখানেও কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য রয়েছে সহজ শর্তে আয় তথা মনিটাইজেশনের সুযোগ।
তবে মনিটাইজেশনের জন্য পূরণ করতে হবে বেশ কিছু শর্ত। প্রথমত, ৩০০ সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত, ভিউয়ের সংখ্যা ৩০০০ হতে হবে। সবশেষে চ্যানেলে ২০টি ভিডিও থাকতে হবে। এই তিনটি শর্ত যথাযথভাবে পূরণ করতে পারলেই খোলা সম্ভব হবে আয়ের খাতা।
এখানে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে অনেক শিশু নিজেদের গান, ছবি আঁকা, আবৃত্তি, ক্র্যাফটিং কন্টেন্ট হিসেবে বেবিটিউবে আপলোড করেন। এমনই একজন রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী হৃদি। বন্ধুর কাছ থেকে সে সন্ধান পায় বেবিটিউবের। বেবিটিউব সম্পর্কে পরিপূর্ণভাবে জানার পর শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে কন্টেন্ট আপলোড করা। কোথাও ঘুরতে গেলে কিংবা নিজে কিছু তৈরি করলে সেসব নিয়েই ভিডিও তৈরি করে সে। অন্যরা যখন তার কাজের সুনাম করে তাতেই অনেক উৎসাহ পায় হৃদি।
এ বিষয়ে হৃদির মা শারমিন ইসলাম জানান, 'হৃদি একসময় কার্টুনের পোকা ছিল। করোনার মধ্যেও সে প্রচুর কার্টুন দেখতো। এখন কার্টুন দেখা একেবারে কমিয়ে দিয়েছে হৃদি। এখন বেবিটিউবে সময় দেয় সে। কে কোন কাজ করছে, কী বিষয়ে কাজ করছে সেগুলোই বেশি দেখে এখন।'
বেবিটিউবকে শিক্ষামূলক ও নিরাপদ বলে মনে করেন হৃদির মা শারমিন ইসলাম। তিনি বলেন, 'ইউটিউবে দেখতে দেখতে অনেকসময় দেখা যায় নেগেটিভ কিছু চলে আসে। কিন্তু বেবিটিউবে সেসব কিছু নেই। হৃদি যখন বেবিটিউব দেখে আমি অনেকসময় খেয়াল করি ও কী দেখছে। এখানে খারাপ কিছু না থাকায় নিঃসন্দেহে বেবিটিউবের উপর ওকে ছেড়ে দেয়া যায়।'
শিশুদের জন্য সেমিনার ও কর্মশালা
শিশুদের জন্য ইউটিউব কিডস নামে যে আলাদা ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ রয়েছে তার সঙ্গে বেবিটিউবের পার্থক্য আছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী শামীম আশরাফ। তিনি বলেন, 'ইউটিউব কিডস বাংলাদেশের শিশু-কিশোরদের জন্য আলাদা কন্টেন্ট তৈরি করে না। আমরা দেশীয় কন্টেন্ট তৈরি করছি, শিশুদের জন্য ভাবছি এবং তাদের জন্যই গবেষণা করছি। আমাদের এখানে শিশুদেরই একটি দল রয়েছে। আমরা তাদের পছন্দের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করি। প্রতি মাসে তাদের জন্য চা উৎসব, পিঠা উৎসব এমন ধরণের উৎসব আয়োজন করি। ইউটিউব কিডস আসলে এগুলো করে না। ইউটিউব কিডসে সব ধরণের কন্টেন্ট পাওয়া যায় না। এখানে আমাদের ক্রিয়েটররা স্বাধীনভাবে কন্টেন্ট আপলোড করতে পারছে।'
বেবিটিউবে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হওয়ার জন্য কোনো শর্ত আছে নাকী জানতে চাইলে শামীম বলেন, 'প্রথম কথা, ইতিবাচক মনমানসিকতা থাকতে হবে। খারাপ কোনো কন্টেন্ট তৈরি করা যাবে না। থাম্বনেইল থাকতে হবে। মোট কথা, অ্যাডাল্ট কোনো কন্টেন্ট থাকা যাবে না। কন্টেন্ট ক্রিয়েটর তার কন্টেন্ট বেবিটিউবের পরে অন্য কোনো সাইটে ব্যবহার করতে পারবে, কিন্তু ইউটিউবের কোনো কন্টেন্ট বেবিটিউবে ব্যবহার করা যাবে না। অবশ্যই নিজস্ব ক্রিয়েশন হতে হবে।'
মানুষের কাছাকাছি পৌঁছানোই এই মুহূর্তে বেবিটিউবের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। এই মাধ্যমটির কথা এখনো অনেকের কাছেই অজানা। তাই মানুষের কাছে বেবিটিউব নিয়ে যথাযথ বার্তা পৌঁছানো সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
যদিও মানুষের কাছাকাছি পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন ধরণের ক্যাম্পেইনের উদ্যোগ নিয়েছে বেবিটিউব। বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেবিটিউব ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আয়োজন করা হয়েছে সেমিনার। এছাড়া নিজেদের ব্যাপ্তি বিস্তৃতির জন্য ২০২২ সালের মার্চ মাসে কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য আয়োজন করেছে এওয়ার্ড অনুষ্ঠান। তাছাড়া শিশুদের মধ্যে নিরাপদ প্রযুক্তি নিয়েও কর্মশালা আয়োজন করেছে।
বেবিটিউব এখন পর্যন্ত দর্শকদের কাছ থেকে ভালোই সাড়া পাচ্ছে। শুরু হওয়ার পর থেকে অনেক শিশুই এখন বেবিটিউবের সাথে কাজ করতে আগ্রহী। শামীম আশরাফ বলেন, 'বাচ্চারা যখন শোনে যে এই মাধ্যমটি তাদের জন্য, তখন তারা নিজে থেকেই কাজ করতে চায়। তাছাড়া আমরা স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য বিভিন্ন ট্রেনিংও করাই।'
গুগল প্লে স্টোরে খুঁজলেই অ্যাপটির সন্ধান পাওয়া যাবে। এখন পর্যন্ত অ্যাপটি ত্রিশ হাজারের বেশিবার ডাউনলোড করা হয়েছে।
২০২১ সালে বেবিটিউব তাদের কাজের জন্য সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এটুআই অর্থাৎ অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট প্রকল্প থেকে অনুদান পেয়েছেন। তবে শামীম আশরাফের মতে, কারিগরী দিক থেকে তাদের আরো অগ্রসর হতে হবে, তবেই তারা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারবেন।
বেবিটিউব নিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনা জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠাতা শামীম আশরাফ জানান, 'আমরা বাংলাদেশের শিশু-কিশোরদের জন্য একটা প্ল্যাটফর্ম করতে চাই। যেখানে তারা সুস্থ মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠবে। এছাড়াও আমাদের দেশীয় কোনো সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম নেই, যা আছে সব বাইরের। তাই দেশীয় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছি।'