ব্যক্তিগত কাজ সহজ করার প্ল্যাটফর্ম 'সরলীকরণ'
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী তুষার শাহাদাত শিক্ষকতা করেন যুক্তরাজ্যে। বিদেশে বসেই তিনি সম্পন্ন করছেন ঢাকার একের পর এক ব্যক্তিগত কাজ। কখনো ডকুমেন্টস হারানো নিয়ে থানায় জিডি, আবার কখনো এডমিট কার্ড কিংবা সার্টিফিকেট উত্তোলন। কিন্তু একান্ত ব্যক্তিগত এই কাজগুলো নিজের অনুপস্থিতে কীভাবে করা সম্ভব? আসলে তার হয়ে কাজগুলো করে দিচ্ছিলো একদল যুবক।
ওদিকে এক জায়গায় জরুরি কিছু ডকুমেন্টস পাঠানোর প্রয়োজন ছিল সামিয়া মাসুদ মমর। ব্যস্ত ছিলেন বলে নিজে যেতে পারছিলেন না। তখনই একটি কমিউনিটির কথা মনে পড়ে তার। তাদের জানাতেই কাজটি হয়ে যায় দ্রুততম সময়ে।
ধরুন আপনি ঢাকার বাইরে, অথচ কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ আটকে রয়েছে ঢাকায়। হয়তো একটি জরুরি কাগজ পাঠাতে হবে নির্দিষ্ট কোনো অফিসে, কিংবা আজকের মধ্যে রিসিভ করতে হবে গুরুত্বপূর্ণ কোনো পার্সেল। এমন পরিস্থিতিতে কী করবেন? প্রচুর অর্থ খরচ করেও ঠিক আপনার হয়ে কাজটি করে দেবে, এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে উঠবে। এমতাবস্তায় আপনাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে একটি কমিউনিটি। নাম তাদের 'সরলীকরণ'।
অন্যের ব্যক্তিগত ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ বিশ্বস্ততার সাথে সম্পন্ন করেন তারা। বিনিময়ে তাদের দিতে হয় সামান্য ফি। অন্যের সবচেয়ে প্রয়োজনের মুহূর্তে বিশ্বস্ত বন্ধু কিংবা স্বজনের মত করে প্রতিনিধি সার্ভিস দেওয়াই তাদের ব্রত। এই কমিউনিটি সম্পর্কে রায়হান নামে একজন লিখেছেন, 'সরলীকরণ এমন একটি প্লাটফর্ম, যার ডিজাইন করা হয়েছে জীবনকে সহজ করে দেওয়ার জন্য।'
প্রিয়জনের প্রয়োজন থেকে জন্ম
মো. আরাফত হোসেন ঢাকায় আসেন ২০১৯ সালে, ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগে। ঢাকায় থাকার সুবাদে নিজ এলাকার পরিচিত অনেকের কাজেই নানান সময় সাহায্য করতে হতো তাকে। প্রিয়জনের কাজে কখনো যেতে হতো হাসপাতালে, কখনো বা নীলক্ষেতে। একসময় তার মনে হয়, নিজের পরিচিতদের তিনি সাহায্য করতে পারছেন বটে, কিন্তু এমনও তো অনেকে রয়েছেন, যারা বিশ্বস্ত মানুষের অভাবে নিজের ব্যক্তিগত কাজটি করাতে পারছেন না। ব্যবসায় শিক্ষার ছাত্র হিসেবে তখনই আরাফাতের মাথায় আসে এমন একটি কমিউনিটি গড়ে তোলার, যারা অন্যের হয়ে তার ব্যক্তিগত কাজটি করে দেবেন পরম মমতায়, যেন নিজের প্রিয়জনের কাজটিই করছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলে এক সন্ধ্যায় কথা হচ্ছিল আরাফাতের সঙ্গে। সরলীকরণ শুরুর দিনগুলোর গল্প করছিলেন তিনি। বললেন, 'সবার তো ঢাকায় বিশ্বস্ত লোক থাকে না। ফলে তাকে গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজ করতে হলে বহু অর্থ খরচ করে ঢাকায় আসতে হয়, অনেক সময় কয়েক দিনও লেগে যায়। ঢাকায় কেউ থাকলে যে কাজ করে দিতে পারতো সহজেই। এসব ভেবেই একটি টিম ফর্ম করার কথা ভাবলাম, যারা সাহায্য করার মানসিকতা নিয়ে অন্যের ব্যক্তিগত কাজটি করে দেবে। বিনিময়ে দিতে হবে সামান্য কিছু অর্থ।'
এমন ভাবনা থেকেই চলতি বছরের শুরুতে কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন আরাফাত। জন্ম নেয় 'সরলীকরণ কমিউনিটি'। শুরুতে অবশ্য ফেসবুক পোস্ট, সার্ভে ও ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় নিজের এই চিন্তার সম্ভাব্যতা যাচাই করে নিয়েছিলেন তিনি। ফেব্রুয়ারির ১০ তারিখ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গ্রুপে পোস্ট দেওয়ার মাধ্যমে শুরু হয় তাদের কার্যক্রম। আর প্রথম দিনই তাদের নেমে পড়তে হয় কাজে!
'১০ তারিখে ফেসবুকে পোস্ট দেই যে, আমরা আগামীকাল থেকে কার্যক্রম শুরু করবো। কিন্তু সেদিনই এক ভাই কল দিয়ে বললেন, 'আপনারা যে সার্ভিস শুরু করছেন, সেটা তো আমার লাগবে! যেদিন শুরু সেদিনই সার্ভিস শুরু করতে হয়েছিলো।'
শুরুর দিনগুলোর গল্প জানালেন আরাফাত। বললেন, প্রতিষ্ঠার প্রথম দিন থেকে শুরু করে আজ অবধি অগণিত সেবা তারা দিয়েছেন এবং প্রশংসিত হয়েছেন সর্বত্র।
বিশ্বস্ততায় ব্যক্তিগত কাজ
অল্প দিনে অনেকের সাড়া পেয়ে যখন মনে হলো মানুষের জন্য কাজ করতে পারছেন, আরাফাত 'সরলীকরণ' নামে ফেসবুক পেইজ খুলে ফেললেন। প্রাথমিকভাবে তাদের কার্যক্রম ছিল শুধুই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-কেন্দ্রিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীর নানান প্রয়জনে সেবা নিতেন। রেজিস্ট্রার ভবন থেকে দিনের পর দিন দৌঁড়ে সার্টিফিকেট উত্তোলন, হাসপাতাল থেকে রিপোর্ট সংগ্রহ, অন্যের হয়ে পার্সেল গ্রহণ কিংবা পাঠানো, দিন দিন কার্যক্রম বাড়তে লাগলো তাদের। সেবা পেয়ে সরলীকরণের ফেসবুক গ্রুপে নিজের সন্তুষ্টির কথা লিখতে লাগলেন অনেকে। 'সরলীকরণ' হয়ে উঠলে এক বিশ্বস্ত বন্ধুর নাম।
আরাফাতের মতে, শুরুতে বিশ্বাস অর্জনই ছিল সবচেয়ে জরুরি। সরলীকরণের কাজগুলো একান্ত ব্যক্তিগত বলেই প্রয়োজন ছিল এই ভরসা অর্জনের। তবে এ কাজে যে সরলীকরণ সফল হয়েছে, তা ফেসবুক গ্রুপে সেবা গ্রহণকারীদের রিভিউ দেখলে সহজেই অনুমান করা যায়। সরলীকরণের প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রেও বিশ্বাসযোগ্যতাকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন আরাফাত। যারা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের সাথে জড়িত, নিয়োগের ক্ষেত্রে তাদের দিয়েছেন অগ্রাধিকার। জানালেন, সহানুভূতিই তাদের সম্বল। আর তাই তাদের স্লোগান- 'আপনার বিশ্বস্ত সহযোগী'।
যেভাবে পাওয়া যায় সেবা
'সরলীকরণ' নামে ফেসবুক পেইজের মাধ্যমেই মূলত সেবা নিয়ে থাকেন আগ্রহীরা। পেইজেই মিলবে তাদের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর এবং ই-মেইল ঠিকানা। সম্প্রতি খোলা হয়েছে ওয়েবসাইট। পেইজ কিংবা হোয়াটসঅ্যাপ ইনবক্সে ম্যাসেজ করলে সরলীকরণের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে সম্ভাব্য খরচের হিসাব। সরলীকরণ ডট কম ওয়েবসাইট থেকেও পাওয়া যাবে সেবা।
আরাফাত জানালেন, সরলীকরণ দিয়ে থাকে কাস্টমাইজড সেবা। অর্থাৎ, সেবা গৃহীতা শর্ত দিয়ে দিতে পারবেন, সে অনুযায়ী তারা কাজ করবেন। কুরিয়ার সার্ভিসের কাজ যেখানে শেষ, সেখান থেকেই শুরু সরলীকরণের। 'কুরিয়ার তো কাস্টমাইজড না, আমাদের বিষয়টা হচ্ছে সময়। একজন কল করে বললো, একটা ডকুমেন্ট পাঠাতে হবে অমুক জায়গায়, ঠিক জুম্মার পরে। এখন কুরিয়ারগুলো তো ব্যক্তিগত সময় সুযোগ-সুবিধা দেখবে না, যেটা আমাদের দিয়ে সম্ভব। আমাদের যেভাবে বলা হবে, সেভাবেই কাজটি হবে। কেউ কিন্তু হুট করে কাউকে বলতে পারে না, যে ভাই, আপনাকে টাকা দেবো, আমার কাজটা করে দেন। কিন্তু আমরা যেহেতু আনুষ্ঠানিকভাবে কাজটি শুরু করেছি, আমাদের বলতে পারে,' যোগ করেন আরাফাত।
অন্যের হয়ে কাজ করার জন্য কেমন ফি গ্রহণ করে সরলীকরণ? 'আমরা যে ফি নিয়ে থাকি, সেটা কাজ ভেদে আলাদা হয়। একশো টাকা থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। আবার বাড়তেও পারে। অনেক সময় আমাদের ফি বাদেও অন্য অনেক খরচ হয়। কারো হয়তো হলে বকেয়া টাকা বাকি, কারো কাজের ক্ষেত্রে অফিসে ফি জমা দিতে হয়। এগুলো আগে জানিয়ে দেওয়া হয়,' বললেন প্রতিষ্ঠাতা আরাফাত হোসেন।
যেহেতু অন্যের ব্যক্তিগত কাজ তার হয়ে, তার মত করেই করতে হয়– তাই এসব ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করেন তারা। আরাফাত জানালেন, সার্টিফিকেট তুলতে হলে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের কাছে ক্ষমতা অর্পণ করতে হয়। তারা সেই ক্ষমতাবলে উক্ত ব্যক্তির হয়ে তার কাগজপত্র তুলে থাকেন। অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে সেবা গৃহীতার পরিচয় নিশ্চিত হতে নাম্বার, ঠিকানা, ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য ও ছবি চাওয়া হয়। কাজের ক্ষেত্রে সাবধানতাই সরলীকরণের মূলমন্ত্র।
সেবায় সবাই খুশি
সরলীকরণ ফেসবুক গ্রুপে বঞ্চিতা চাকমা লিখেছেন, 'আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৪-৭৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলাম। আমার মেয়েও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল। সে বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করায় তার মূল সনদ উত্তোলন জরুরি হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় তাকে সর্বাত্মক সহযোগীতা করায় সরলীকরণকে আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে আশীর্বাদ ও শুভকামনা রইল।'
আরেক সেবা গৃহীতা মহিব উল্লাহ মহিব লিখেছেন, 'আমার ছোট্ট একটি প্রতিষ্ঠান থাকায় প্রায় আমাকে বাধ্য হয়ে ঢাকা যেতে হয়। টাকা আর সময় দুটোই অধিক হারে ব্যয় করে ক্লান্ত শরীর নিয়ে আবার গ্রামে ফিরতে হয়, ৬-৭ ঘন্টার জার্নি শেষে পরের দিনের অফিস করা হয় না অনেক সময়। অথচ কিছু কাগজ চালাচালি করা ছাড়া আর কোনো কাজই নেই। এ নিয়ে সমস্যা যখন চরমে তখনই সমাধানের হয়ে আসে সরলীকরণ। ধন্যবাদ সরলীকরণ, ঢাকার বুকে বিশ্বস্ত হাত হয়ে টিকে থাকুন দীর্ঘ সময়।'
শুধু সেবা গ্রহণকারীরা নয়, যারা সেবা দিয়ে থাকেন, তারাও খুশি কাজ করতে পেরে। একদিকে সেবা করতে পারছেন মানুষের, অন্যদিকে ছাত্র জীবনে কিছুটা হলেও আয় করতে পারছেন কাজ করে। ঢাবির শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আফসার উদ্দিন সরলীকরণে সাথে যুক্ত প্রায় শুরু থেকেই। নিজের সুবিধা মতো সময়ে কাজ করা যায় বলে বেশ উপভোগই করছেন তিনি। এটা তাকে অর্থনৈতিকভাবেও বেশ সাহায্য করে বলে জানালেন।
মোহাম্মদ ইমাম হোসেন পড়েন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে। নিজে সরলীকরণের সদস্য হিসেবে বেশ উপভোগ করেন কাজ। জানালেন, ইতোমধ্যে সরলীকরণ অনেকটাই সফল। 'সবারই অনেক হেল্প হচ্ছে। আমরা বেশ সফল। আমরা যে কাজ করছি, সেটা অনেক টাকা দিয়েও করানো সম্ভব নয়। আমরা সরলীকরণের সদস্যরা অনেক বেশি আন্তরিকতার সাথে কাজ করি,' যোগ করেন তিনি।
শিক্ষকদের সাধুবাদ
ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ছাত্র হিসেবে উদ্যোক্তা হওয়ার সুপ্ত বাসনা আরাফাতের ছিল। নিজের চারপাশে বাস্তবতার নিরিখে নানান কিছুর মধ্যে থেকে সরলীকরণের ভাবনা তিনি জানান মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মাদ তানভীর আলম হিমেলকে। এই শিক্ষকের দিক নির্দেশনা ও অনুপ্রেরণায় ধীরে ধীরে এগিয়ে নেন কার্যক্রম।
নিজের ছাত্রের এমন উদ্যোগে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক। বললেন, 'ও (আরাফাত) প্রথম থেকেই আমার সাথে আইডিয়াটি শেয়ার করেছিল। আমাদের শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, সবজায়গাতেই তো কাজের ধীরগতি আছে। সবকিছু মিলিয়ে অনেকগুলো কারণে সবার সুযোগ হয় না নিজের কাজ করার।'
'আমাকে যখন বললো যে স্যার আমরা এমন একটা সার্ভিস দিচ্ছি, শিক্ষার্থীদের জন্য, পরবর্তীতে ঢাকা শহর কাভার করবো। আমার তখন মনে হলো এটা খুব যুগোপযোগী। সবারই তো নিড ছিল, সেটা আরাফাত সুন্দর আইডেন্টিটিফাই করতে পেরেছে,' বললেন তিনি।
বিভাগের শিক্ষকেরা সবসময়ই শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হতে উদ্ধুদ্ধ করেন বলেও জানালেন অধ্যাপক তানভীর। বললেন, 'শিক্ষার্থীদের মধ্যেও স্পৃহা থাকে। তবে সকলেই তা হতে পারে না নানান সমাজবাস্তবতায়। সবচেয়ে বড় কথা, যদি সোশ্যাল রিকগনিশন আসে, আমরা অনেক উদ্যোক্তা পাবো।'
নিজের বিভাগ থেকে সবসময় অনুপ্রেরণা পেয়েছেন বলে স্বীকার করলেন আরাফাত। বললেন, তার অনেক শিক্ষকই তাকে উদ্যোক্তা হতে উৎসাহিত করেছেন। বিভাগের বিভিন্ন প্রেজেন্টেশনে 'সরলীকরণ' কে উপস্থাপন করেও প্রশংসিত হয়েছেন সবসময়।
ভবিষ্যৎ ভাবনা
ঢাকার মধ্যে অনেককেই নানান ধরনের সেবা দিলেও এখন পর্যন্ত মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই তারা সক্রিয় রয়েছেন। তবে ঢাকায় নিজেদের কার্যক্রম আরও গুছিয়ে নিয়ে আস্তে আস্তে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও দেশের অন্যান্য প্রান্তে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন সরলীকরণের সদস্যরা।
'অন্যান্য ক্যাম্পাসে যাওয়ার আগে ঢাবি ক্যাম্পাসে স্ট্রংলি টিম ম্যানেজমেন্ট করতে হবে। মোটামুটি কয়েকটি ক্যাম্পাস থেকে অনেকে আগ্রহী হয়েছেন। তবে আমরা ইনফরমালভাবে সেবা দিলেও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও যাইনি। পরিকল্পনা নিশ্চয়ই রয়েছে,' জানালেন তারা।
কার্যক্রম শুরু করেছিলেন ১২ জনকে নিয়ে। এরপর কাজের সংখ্যা বাড়ায় নতুন করে সদস্যদের যুক্ত করা হয়েছে। এর সকলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সেশনের শিক্ষার্থী। সামনে সংখ্যাটি বাড়বে বলে জানালেন তারা। 'আমাদের টিম অনেক বড়। সব হলে আমাদের সদস্য রয়েছে। মেয়েদের হলে আছে, আপুদের জন্য। মোহাম্মদপুর, উত্তরা, মিরপুরেও আছে৷ অন্যান্য ক্যাম্পাসে যখন যাবো, তখন অন্য ক্যাম্পাসেও আমাদের প্রতিনিধি থাকবে। তবে সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদেরই আমরা যুক্ত করবো,' এভাবেই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানালেন আরাফাত।