'ওয়ার্ক ফ্রম হোম'- এর কারণে বদলে যাচ্ছে ছোট শহরগুলোর চেহারা
২০২০ সাল। পাঁচ মাসের কঠোর লকডাউনের শেষদিকের কথা। ইতোমধ্যেই চিলির ৭০ লাখ মানুষের শহর সান্তিয়াগোতে লকডাউনের সিংহভাগ সময় কাটিয়ে ফেলেছেন গনজালো ফুয়েনজালিদা। কিন্তু এক পর্যায়ে তার ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল। ঘরে বসে কাজের পাশাপাশি শহুরে জীবনযাপনে তিক্ত-বিরক্ত হয়ে উঠলেন তিনি।
অথচ গ্রাহকদের অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদ পাইয়ে দিতে কাজ করা চিলি নেটিভো নামক ট্র্যাভেল কোম্পানির মালিক তিনি। নিজেও সবসময়ই চাইতেন পরিবারের সঙ্গে প্রকৃতির সান্নিধ্যে কাটাতে। তাই ২০২০ সালের ডিসেম্বর তিনি পরিবারসমেত এক মাসের অনুসন্ধানী ভ্রমণে হাজির হলেন চিলির রাজধানী থেকে ৭৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে, সক্রিয় আগ্নেয়গিরির পাদদেশে, বনবেষ্টিত রিসোর্টের শহর পুকোনে।
এর মাস তিনেক পরের কথা। ফুয়েনজালিদা পুকোনেই লেক ভিলারিকার পাশে একটি বাড়ি ভাড়া নিলেন। স্ত্রীকে সঙ্গে করে সেখানেই এখন থাকেন তিনি। তাদের অবসর সময় কাটতে লাগল বাইক ও প্যাডলবোর্ডিং চালিয়ে, কিংবা পাহাড়ে চড়ে। তাদের সাত বছর বয়সী ছেলেটা স্কুলে যেতে লাগল পাশের শহর ভিলারিকাতেই। সেখানে ফুয়েনজালিদা নিজেও দুই মিটার বাই তিন মিটারের একটি অফিস ভাড়া করলেন নিজের কাজের স্বার্থে।
দীর্ঘ দশ মাস কাটানোর পর এমন রোমাঞ্চকর জীবনে ভালোই অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন ফুয়েনজালিদা। তবে একঘেয়ে লাগছে না কিছুই। তার সরল স্বীকারোক্তি এই যে, "সবদিক দিয়েই আমাদের জীবন এখন আগেকার চেয়ে অনেক ভালো।"
তবে বলাই বাহুল্য, বড় শহর থেকে ছোট শহরে স্থানান্তরের এই যাত্রাটা কোনো অংশে কম চ্যালেঞ্জিং ছিল না। ৫৬ বছর বয়সী ভদ্রলোক জানান, এখানে তিনি যে ইন্টারনেট স্পিড পান, তা সান্তিয়াগোর ধারেকাছেও নয়। তাই ঘরে বসে অফিসের কাজ সামলানো দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে তার জন্য।
তাছাড়া যানজট থেকেও পুরোপুরি মুক্তি পাননি তিনি বা তার পরিবার। ছোট শহর হলে কী হয়েছে, গ্রীষ্মকালীন ভ্রমণের মৌসুমে এখানেও গিজগিজ করে পর্যটকরা। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে প্রয়োজন পড়ে স্বাভাবিকের চেয়েও কয়েকগুণ বেশি সময়।
ফুয়েনজালিদা একা নন। তার মতো আরও অন্তত ৩ লক্ষ ৮০ হাজার মানুষ শুধু মহামারির প্রথম মাসেই চিলির রাজধানী ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন তুলনামূলক ছোট কোনো শহরে। অধিকাংশই বেছে নিয়েছেন পুকোনের মতো শহরগুলোকে, যেখানে খোলামেলা জায়গা অনেক, আর প্রাকৃতিক সম্পদও অফুরন্ত।
আর এই একই ধরনের ফেনোমেনন দেখা গেছে চিলি ছাড়াও গোটা বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই। চাকরিজীবী বা কর্মীরা, যাদেরকে সশরীরে অফিসে উপস্থিত হয়ে কাজ করতে হয়নি, তারা খরুচে শহরে জীবনকে সাময়িকভাবে বিদায় বলে চলে গিয়েছেন এমন কোনো ছোট শহরে, যেখানে জীবনযাত্রা পরিচালনার ব্যয় তুলনামূলক কম।
বড় শহরের সমস্যা?
মহামারিকালে কাজ আর বসবাসের জায়গা মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। ফলে এখন এমন সব জায়গায়ও বাস করা যাচ্ছে, যেখানে আগে নির্দিষ্ট পেশার মানুষদের থাকার বাস্তবিক কোনো সুযোগই ছিল না।
এভাবে অনেক ছোট শহরে 'রিভার্স ব্রেইন ড্রেইন' ঘটছে। এছাড়াও ওইসব ছোট শহর বা মফস্বলে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বৃদ্ধির বদলে তরুণ, যুবক বা মধ্যবয়স্ক কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়ছে। আর এসবের হাত ধরে, নগদ টাকারও প্রবেশ ঘটছে। চাঙ্গা হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে নানা ধরনের শিল্প।
তবে নতুন এ ফেনোমেনন যে ছোট শহরগুলোর জন্য কেবল ইতিবাচক পরিবর্তনই আনছে, তা কিন্তু নয়। এর মাধ্যমে বদল আসছে আবাসন বাজারে, ফলে শহরে আগে থেকে বসবাসরত শ্রমজীবী শ্রেণীদের জন্য কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে বর্ধিত মূল্যে বাড়ি ভাড়া দেওয়া। বড় শহরের অনেক সমস্যার অনুপ্রবেশ ঘটছে ছোট শহরগুলোতে, যেগুলোর জন্য তারা একদমই প্রস্তুত ছিল না।
শেষোক্ত এই সমস্যাগুলো বেশি দেখা যাচ্ছে আমেরিকার ইন্টারমাউন্ট ওয়েস্ট অঞ্চলে, যেখানে রয়েছে সর্বমোট তিনটি অঙ্গরাজ্য : আইডাহো, ইউটাহ ও মন্টানা। ২০২০ ও ২০২১ সালে এই অঙ্গরাজ্যগুলোই সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি দেখেছে।
অক্সফোর্ড ইকোনমিক্স সম্প্রতি আইডাহোর বোইজিকে অভিহিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বাড়িমালিকদের জন্য সবচেয়ে অসাশ্রয়ী শহর হিসেবে। সিয়াটল ও স্যান ফ্রান্সিসকোর মতো হাই-কস্ট উপকূলীয় শহরগুলো থেকে আগত রিমোট কর্মীদের কারণেই এই ঘটনার সৃষ্টি। ২ লক্ষ ৩৫ হাজার মানুষের আবাসস্থল এই শহরে বাড়ির মূল্যের মধ্যমা ৫,৩৪,৯৫০ ডলার, যা শহরবাসীর উপার্জনের মধ্যমার দশগুণ বেশি।
একই ধরনের একটি গবেষণা করেছে ফ্লোরিডা আটলান্টিক ইউনিভার্সিটিও। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ইউটাহর তিন প্রতিবেশী শহর – অগডেন, প্রোভো ও সল্ট লেক সিটি – বর্তমানে রয়েছে আমেরিকার সবচেয়ে অতিমূল্যের আবাসন বাজারের তালিকায়।
সল্ট লেক সিটিতেই বাস করেছেন ইউনিভার্সিটি অব ইউটাহর গবেষক এবং গেটওয়ে অ্যান্ড ন্যাচারাল অ্যামেনিটি রিজিয়ন (জিএনএআর) ইনিশিয়েটিভের প্রতিষ্ঠাতা, ডানিয়া রিউমোর। তিনি বলেন, "আগে আমরা এটাকে বলতাম স্মল লেক সিটি। কিন্তু এখন এখানে সত্যি সত্যিই একটি বিগ সিটির মতো মনে হচ্ছে। সমাজের গতিপ্রকৃতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে।"
বড় শহরের অন্যান্য সমস্যা, যেমন গৃহহীনতা ও বায়ু দূষণও ঊর্ধ্বমুখী বলে জানান রিউমোর। আবাসন বাজারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন পরিষেবা শিল্পের ব্যবসায়ও কর্মচারীদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে, কেননা তারা এসব এলাকায় বাড়ি ভাড়া করে থাকতে পারছে না।
"গত এক বছর ধরে যে শিফটিং ঘটছে, তার ফলে আমরা এই সমাজে সামগ্রিক ধনবৃদ্ধির প্রবণতা দেখতে পাচ্ছি," তিনি বলেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে নতুন বাসিন্দাদের অনেকে এখনো তাদের আগেকার উপার্জনই করছে, কিন্তু তাদের আবাসন খরচ কমেছে। এভাবেই ছোট শহরগুলোর পুরনো বাসিন্দা ও নতুন বাসিন্দাদের মধ্যে সম্পদের এক বিরাট ফারাক তৈরি হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ ব্যবধান হয়তো আরো বাড়বে বৈ কমবে না।
সম্ভাবনার নতুন দুয়ার:
যুক্তরাষ্ট্রে করোনাকালীন এই বাসস্থান পরিবর্তনের ট্রেন্ডটির প্রতি মোটামুটি একটা নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হলেও, আটলান্টিকের ওপারের অভিমত ঠিক উলটো। বয়সের মধ্যমা ৪২ বছর নিয়ে ইউরোপ হলো বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্কদের মহাদেশ।
গত বেশ কয়েক দশক ধরেই, নিম্ন জন্মহার এবং লন্ডন, প্যারিস ও মাদ্রিদের মতো বড় শহরগুলোতে গণনগরায়ণের ফলে ছোট শহরগুলোর অবস্থা ক্রমশ সংকুচিত হয়ে পড়ছিল। মহামারি এসে ওইসব শহরকে যেন খানিকটা হলেও আশার আলো দেখিয়েছে।
"ইউরোপে অনেক মফস্বল অঞ্চলকে বাঁচানোর এক অভূতপূর্ব সুযোগ এসেছে," বলেন স্টকহোম ভিত্তিক কনসালটেন্সি ফার্ম ফিউচার প্লেস লিডারশিপের সিইও মারকাস অ্যান্ডারসন। তার প্রতিষ্ঠানটি রিমোট ওয়ার্ক এবং বাসস্থান পরিবর্তনের ধরন নিয়ে গবেষণা করেছেন।
"তাদের (ছোট শহরগুলো) অনেকেই দেউলিয়া হবার পথে। কার্যকর শহর বা প্রশাসন হিসেবে তাদের টিকে থাকার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। তবে মহামারি এসে তাদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত করেছে। কারণ তারা এখন ঠিক সেইসব মানুষকেই আকৃষ্ট করতে পারছে, যাদেরকে তাদের আকৃষ্ট করা প্রয়োজন : যাদের বাচ্চাকাচ্চা রয়েছে, কিংবা যারা পরিবার শুরু করার কথা ভাবছে।"
আয়ারল্যান্ড এমন একটি দেশ যেখানে শহর ও গ্রামের বিভাজন আধিপত্য চালায় তাদের রাজনীতিতেও। দেশটি ইউরোপের অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে ভালোভাবে গ্রহণ করেছে নতুন আসা সুযোগকে। গত মার্চে তারা এক নতুন গ্রাম্য উন্নয়ন নীতিমালার মাধ্যমে ডাবলিনকে বিকেন্দ্রীকরণের জোরদার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সমাজ উন্নয়ন মন্ত্রী হেথার হামফ্রেস বলেন, "আয়ারল্যান্ডে গত কয়েক দশকের মধ্যে এটিই সবচেয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী ও বদল আনার মতো নীতিমালা।"
তাদের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে ২.৭ বিলিয়ন ইউরো খরচ করে পুরো দেশজুড়ে সুপারফাস্ট ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে দেওয়ার, যাতে করে প্রাণ ফিরে পাবে অনুন্নত ও ধুঁকতে থাকা গ্রামগুলো। এছাড়া আঞ্চলিক প্রশাসনগুলোর জন্য লাখ লাখ ইউরো আর্থিক সহায়তা প্রদানের পরিকল্পনাও তারা করেছে, যাতে করে খালি পড়ে থাকা জায়গাগুলোতে ৪০০-র বেশি রিমোট ওয়ার্কিং ফ্যাসিলিটি গড়ে তোলা যায়। ঘরে বসে কাজ করাকে সমর্থন জানায় এমন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে কর ছাড়ও দেবে তারা।
এশিয়ার সবচেয়ে বয়স্ক দেশ জাপান। তাদের জনগোষ্ঠীর বয়সের মধ্যমা ৪৭ বছর। তারাও গত এপ্রিলে একই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। টোকিওভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরতদের গ্রামে চলে গিয়ে রিমোট ওয়ার্ক করার বিনিময়ে তারা প্রত্যেককে ১০ লাখ ইয়েন (৮,৭২৫ ডলার) করে প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছে। এর কারণ, বর্তমানে দেশের ৩০ শতাংশ মানুষই বাস করে টোকিওতে, যে কারণে মানুষের চাপে চিঁড়েচ্যাপটা হবার দশা শহরটির। এছাড়া যারা গ্রামে গিয়ে নতুন আইটি ব্যবসা চালু করবে, তাদেরকে ৩০ লাখ ইয়েন পর্যন্ত প্রণোদনাও দেবে জাপানি সরকার।
মহামারি শেষে কী হবে?
জাপানসহ বিশ্বজুড়ে যে প্রশ্নটি এখন সবার মনে তা হলো : যারা মহামারিকালে গ্রামে বা ছোট শহরে চলে গিয়েছে, মহামারির সমাপ্তি ঘটলেও কি তারা সেখানেই রয়ে যাবে? নাকি ফিরে আসবে শহুরে জীবনে?
অ্যান্ডারসনের বিশ্বাস, সঠিক ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে এই সুযোগের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য। কারণ রিমোট কর্মীরা তো শুধু ঘরে বসে কাজই করে না। তারা কাজ করে কফি শপ, ক্যাফে, কো-ওয়ার্কিং স্পেস ও কমিউনিটি সেন্টারেও। আবার এসব জায়গা তাদের প্রয়োজন হয় বিনোদন বা সামাজিকতা রক্ষার্থেও।
"এই শহরগুলোর এখন প্রয়োজন এমন সব মিটিং স্পেস গড়ে তোলা, যেখানে জনগণ ও নেটওয়ার্কগুলো পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে, একে অন্যের থেকে শিখবে, এবং একসঙ্গে নিজেদের উন্নতি ঘটাবে," অ্যান্ডারসন জানান। "ছোট শহরগুলোকে এখন কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয়ে উঠতে হবে বড় শহরগুলোর মতোই। কারণ বড় শহরগুলোতে জনগণ, কোম্পানি এবং নতুন নতুন উদ্ভাবনের জন্য অনেক সুযোগ ছিল।"
সব মিলিয়ে অ্যান্ডারসনের বিশ্বাস, যারা বড় বড় মেট্রোপলিটন এলাকা থেকে ছোট শহরে তাদের নতুন বাড়িতে এসে উঠেছে, তারা সেসব নতুন বাড়িতেই থেকে যাবে। তবে তারা তাদের আগেকার শহরের সঙ্গেও একটা যোগাযোগ রাখবে। সেজন্য হয়তো তারা সেখানে ছোট কোনো ফ্ল্যাট বা কো-লিভিং স্পেসের ব্যবস্থা করবে।
ব্যাপারটিকে তিনি এভাবে ব্যাখ্যা করেন, "আমরা এমন একটা পরিস্থিতি পার করে এসেছি, যেখানে আমাদের সামনে করণীয় ছিল এটা নয়তো ওটা। কিন্তু এখন আমরা চাইলে দুই জায়গাতেই থাকতে পারি।"
রিউমার অবশ্য জানান, যুক্তরাষ্ট্রে তিনি হাতেনাতে প্রমাণ পেয়েছেন যে বড় শহরের যেসব কর্মী গত বছর ছোট ছোট রিসোর্ট শহরে চলে এসেছিল, তারা এ বছর আবার জায়গা পাল্টাচ্ছে। তবে সবাই যে আগের জায়গাতেই ফিরে যাচ্ছে, তেমন নয়।
"যখন আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনি ইউটাহ শহরে বাস করতে চান না, কিন্তু সল্ট লেকের খুব ভালো আউটডোরও রয়েছে, তখন আপনি ভাববেন, 'আমার আসলে সিয়াটল বা সিলিকন ভ্যালির বদলে ওখানে শিফট করা উচিত।'"
এদিকে চিলির ফুয়েনজালিদার কোনো পরিকল্পনা নেই খুব শীঘ্রই পুকোন শহরে তার নতুন জীবনকে বিদায় বলার। ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসে এমন বেশ বড় একটি সম্প্রদায়ের সঙ্গে তিনি ভাব জমিয়ে ফেলেছেন, ইন্টারনেট সমস্যারও কিছু বিকল্প সমাধান বের করেছেন, এবং বনের ভেতর নতুন বাড়ি ও অফিস তৈরির জন্য একখণ্ড জমিও কিনেছেন।
"আমরা এমন একটি পরিবার যারা প্রকৃতির সঙ্গে খুব ভালোভাবে সম্পৃক্ত। ঠিক এরকম একটি জীবনই আমরা চেয়েছিলাম।"
- সূত্র: বিবিসি