অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে করোনার নমুনা পরীক্ষা শুরু করেছে ব্র্যাক
করোনাভাইরাস পরীক্ষার দ্রুত ফলাফল প্রদানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অ্যান্টিজেন টেস্ট কার্যক্রম শুরু করেছে ব্র্যাক। শনিবার থেকে ঢাকায় ১৫টি এবং চট্টগ্রামে ১টি বুথ নিয়ে সর্বমোট ১৬টি বুথের মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু হয়।
সংস্থাটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, 'ব্র্যাক ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বুথের (কিওস্ক) মাধ্যমে আরটি-পিসিআর টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে আসছে। এর সঙ্গে এখন যুক্ত হলো র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট।'
এছাড়া দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নতুন করে বৃদ্ধি পাওয়ায় এই কার্যক্রম বিস্তারের পরিকল্পনা করেছে ব্র্যাক। পর্যায়ক্রমে ঢাকায় সর্বমোট ৩২টি এবং চট্টগ্রামে ৪টি বুথের মাধ্যমে অধিক সংক্রমণ এলাকায় কার্যক্রমটি বিস্তৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরও বলা হয়, 'শনি থেকে বৃহস্পতিবার প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে এবং প্রতিটি বুথে প্রতিদিন প্রায় ১৫০টি করে নমুনা পরীক্ষা সম্ভব হবে।'
অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে নমুনা পরীক্ষায় সময় লাগবে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট।
ব্র্যাকের বুথের মাধ্যমে করোনা পরীক্ষার জন্য অবশ্যই প্রত্যেক সেবাগ্রহীতাকে অনলাইনে coronatest.brac.net এই লিংকে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে এবং ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস 'নগদ'-এ 'বিল পে' অপশন-এর মাধ্যমে সরকার নির্ধারিত ১০০ টাকা ফি পরিশোধ করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, 'ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে নমুনা পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে সহায়তা করতে সারা দেশে বর্তমানে ৪১টি বুথে নমুনা সংগ্রহ করছে ব্র্যাক, যার নমুনা আরটি-পিসিআর পদ্ধতির মাধ্যমে সরকার নির্ধারিত ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার পর ফলাফল প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ৫টি বুথে শুধুমাত্র বিদেশগামী যাত্রীদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।'
ব্র্যাকের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা কর্মসূচির পরিচালক মোর্শেদা চৌধুরী বলেন, 'করোনাভাইরাসের প্রথম ধাক্কায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা প্রস্তুত হতে কিছুটা সময় পেলেও দ্বিতীয় ধাক্কাটা এসেছে খুব দ্রুতগতিতে। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণের হার কমিয়ে রাখার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি লক্ষণযুক্ত ব্যক্তিদের করোনাভাইরাস পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের আলাদা করে আইসোলেশনে নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। আমি আশা করছি,র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে আসা এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য একটি ভূমিকা পালন করবে, যাতে করে খুব দ্রুত রোগ শনাক্ত করা যাবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থাপনা দেওয়া যাবে।'