আবরারের মৃত্যু: আনিসুল হকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ
ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র নাইমুল আবরারের (১৪) মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় প্রথম আলোর উপ সম্পাদক ও কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হকসহ পাঁচজনের অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বাকি চারজন হলেন কিশোর আলোর সহকারী সম্পাদক মহিতুল আলম, প্রথম আলোর হেড অব ইভেন্ট কবির বকুল, নির্বাহী শুভাশীষ প্রামানিক ও নির্বাহী শাহ পরাণ তুষার।
ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম বুধবার এই আদেশ দেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক আসিফ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেছেন। তারা যদি আত্মসমর্পণ না করেন কিংবা পুলিশ যদি তাদের গ্রেপ্তার করতে না পারে, তাহলে তাদেরকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হবে। তারপরও তারা আত্মসমর্পণ না করলে তাদের অনুপস্থিত দেখিয়ে বিচারকাজ শুরু হবে।'
ক্রোক সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন বিচারক।
নাইমুল আবরার গত বছরের ১ নভেম্বর কিশোর আলোর এক অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান।
আবরারের মৃত্যুর পাঁচদিন পর, ৬ নভেম্বর তার বাবা মুজিবুর রহমান প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে মামলা করেন।
আবরারের বাবা অভিযোগ করেন, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে কিশোরদের মাসিক সাময়িকী কিশোর আলোর বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান চলাকালে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আবরার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। অনুষ্ঠানের জন্য স্থাপন করা বিদ্যুৎসংযোগ ছিল অরক্ষিত। ঘটনাস্থলের খুব কাছে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থাকলেও আবরারকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নেওয়া হলে ৪টা ৫১ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এদিকে, ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার দশ আসামির মধ্যে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে, ১০ জানুয়ারি মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল আলীম মামলাটি তদন্ত করে ১০ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এরপর ওই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।