এবার কক্সবাজারে হাতি মেরে মাটিচাপা
কক্সবাজারের চকরিয়ায় হারবাংয়ের পাহাড়ি উপত্যকা থেকে মাটি চাপা দেওয়া একটি এশিয়ান হাতি উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। শনিবার দুপুরে বন বিভাগের কর্মকর্তারা হাতিটির খোঁজ পান।
স্থানীয় একটি সূত্র দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানিয়েছে, দুইদিন আগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করে হাতিটিকে হত্যা করে মাটিচাপা দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, "চকরিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাতিটি মারা গেছে। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা হাতির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করেছি।"
বন বিভাগের ইমারজেন্সি রেসপন্স টিমের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে টিবিএসকে বলেন, "হারবাং বিটের চুরাখলা মজিদ মুড়ার দক্ষিণ পশ্চিম পাশে ধান ক্ষেতে একটি হাতিকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মেরে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়।
"এ নিয়ে ধান ক্ষেতের মালিকের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের কাটাকাটি হয়। বিষয়টি গতকাল রাতে জেনেই সকালে অনুসন্ধান দল পাঠাই আমরা। তারা দুপুরে হাতিটির সন্ধান পায় মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায়।"
এর আগে শুক্রবার সকালে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের পূর্ব চাম্বল এলাকার একটি ধান ক্ষেত থেকে আরেকটি হাতির মরদেহ উদ্ধার করে বন বিভাগ।
এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে সারা দেশে পাঁচটি হাতির মরদেহ পাওয়া গেল। এগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম অঞ্চলে তিনটি এবং কক্সবাজার ও শেরপুর থেকে একটি করে হাতির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সাল থেকে ২০২১ এই ছয় বছরে দেশে মোট ৬৯টি হাতির মৃত্যু হয়েছে।
তবে বন্যপ্রাণী গবেষক নাসির উদ্দিন বলেন, গত দুই বছরেই দেশে ৩৮টি হাতি মারা গেছে। এর মধ্যে ২০২০ সালে ২২ টি ও ২০২১ সালে ১৬ টি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অধিকাংশ হাতিই খাবারের খোঁজে পাহাড় থেকে লোকালয়ে নেমে আসলে মানুষের হাতে হত্যার শিকার হয়।