এসডিজি অর্জনে সহায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু ইউএনডিপির এক্সেলেটর ল্যাবের
জার্মান করপোরেশন প কাতার ফান্ড ফর ডেভলপমেন্টের (কিউএফএফডি) অর্থায়নে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) সম্প্রতি (২৮ এপ্রিল) এক্সেলেটর ল্যাব-বাংলাদেশ নামে একটি নতুন উদ্যোগের উদ্বোধন করেছে। এটি এসডিজি অর্জনে চ্যালেঞ্জ সমূহকে হ্রাস করার মাধ্যমে, এই প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এ উপলক্ষ্যে ভার্চুয়াল এক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান বলেন, 'ইউএনডিপির এক্সিলারেটর ল্যাবের মতো একটি বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক বাংলাদেশকে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনে এবং ২০২৬ সালের মধ্যে এলডিসি গ্রাজুয়েশনে সহায়তা করবে।'
আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সচিব ও পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটির (পিপিপিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা আফরোজ। তিনি বলেন, 'এসডিজি অর্জনে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পিপিপিএ ও ইউএনডিপির এক্সেলারেটর ল্যাব যৌথভাবে এসডিজি অর্জনে নতুন ধারা যোগ করতে পারে।'
আলোচনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, 'ইউএনডিপি সব সময়ই বাংলাদেশের উন্নয়নে সরকারের সাথে কাজ করে আসছে। নতুন চালু হওয়া এই এক্সিলারেটর ল্যাব বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, বৈষম্য এবং কোভিডের ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জসহ অন্যান্য আরও অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।'
এক্সিলারেটর ল্যাব এসডিজি অর্জনের চ্যালেঞ্জগুলো হ্রাস করার জন্যগৃহীত সকল উদ্যোগকে সমন্বিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, 'আইসিটির সহায়তায় আমরা এই মহামারির ফলে সৃষ্ট নতুন জীবনযাত্রার সাথে খাপ খাইয়ে নিচ্ছি। ইউএনডিপির এক্সেলারেটর ল্যাব মহামারির কারণে সৃষ্ট ডিজিটাল ডিভাইড হ্রাস করতে আমাদের সহায়তা করতে পারে।'
আলোচনাটি সঞ্চালনা করেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক) জুয়েনা আজিজ বলেন, 'এসডিজি অর্জনের প্রক্রিয়ার সাথে ইউএনডিপির মতো উন্নয়ন অংশীদারদের সাথে থাকাটা অবশ্যই জরুরি। ইউএনডিপির এক্সেলারেটর ল্যাব তাদের নতুন প্রযুক্তি, নতুন ধারণা ইত্যাদির মাধ্যমে এসডিজি অর্জনে সহায়তা করবে।'
আরও বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের উপ-আবাসিক প্রতিনিধি নুয়্যেন ভ্যান এবং এক্সেলারেটর ল্যাব নেটওয়ার্কের টিম লিডার জিনা লুকেরেলি।
বলে রাখা ভালো, ২০১৯ সালে ইউএনডিপি এসডিজি উন্নয়নের চ্যালেঞ্জগুলোর ভিত্তিতে বিশ্বের বৃহত্তম এবং দ্রুততম লার্নিং নেটওয়ার্ক, এক্সিলারেটর ল্যাবগুলো শুরু করে। ৭৮টি দেশের ৯১টি ল্যাব নিয়ে শুরু হওয়া এই নেটওয়ার্ক এখন বাংলাদেশসহ ১১৫টি দেশের ৯১টি ল্যাবের মাধ্যমে তাদের কাজ পরিচালনা করছে। শুধুমাত্র ২০২০ সালেই ল্যাবগুলো ১৭টি এসডিজি অর্জনে প্রায় ১৭০০টিরও বেশি তৃণমূলভিত্তিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।