এহসান গ্রুপের এমডি ও তার তিন ভাই কারাগারে
হাজার হাজার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে ১৭ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে গ্রেপ্তার এহসান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাগীব আহসান ও তার তিন ভাই—আবুল বাশার, মো. খায়রুল ইসলাম এবং মুফতি মাহমুদুল হাসানকে সাত দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিদের হাজির করা হলে বিচারক তাদের জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
পুলিশ সদর দপ্তরের এহসান গ্রুপের বিরুদ্ধে দায়ের করা অর্থ আত্মসাতের মামলার তদন্ত কাজ সিআইডির ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে।
এদিকে এহসান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাগীব আহসানকে আদালতে আনার কথা শুনে শতাধিক গ্রাহক পাওনা টাকার ফেরটের দাবি নিয়ে আদালত চত্বরে ভিড় করেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানান, অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলায় রাগীব আহসান ও তার ভাইদের ৭ দিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তদন্তে আসামিদের কাছ থেকে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেলেও তদন্তের স্বার্থে প্রাপ্ত তথ্য প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না।
র্যাব সদস্যরা রাগীব আহসান ও তার ভাই আবুল বাশারকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। মাহমুদুল হাসান ও মো. খায়রুল ইসলামকে ১০ সেপ্টেম্বর পিরোজপুর থেকে গ্রেপ্তার করে।
২০০৮ সালে মাদ্রাসা শিক্ষক ও ইমাম রাগীব এমএলএম ব্যবসা শুরু করেন এবং এহসান রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড বিল্ডার্স লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেন।
পরে এই গ্রুপের অধীনে তিনি প্রায় ১৭টি কোম্পানি চালু করেন।
ধর্মীয় বিশ্বাস ব্যবহার করে হাজার হাজার লোককে প্রতারণা করার এবং বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগৃহীত কোটি কোটি টাকার অপব্যবহারের অভিযোগ এনে।
হারুন অর রশিদ নামে এক ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস ব্যবহার করে হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করার এবং বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রাগীব ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে গত ৯ সেপ্টেম্বর পিরোজপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পিরোজপুরে শেষ দুটি মামলাসহ রাগীব আহসান ও তার তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।