পাবনায় বিদেশি নাগরিকদের ভাড়াবাড়ি লকডাউন
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত এক বেলারুশ নাগরিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে ঢাকায় এসেছেন। বুধবার রাত ১০টার পর তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে ঈশ্বরদীর নারিচা এলাকায় রাশিয়ানদের ভাড়াকৃত 'হাউস-২' লকডাউন করা হয়েছে।
ওই বেলারুশ নাগরিকের বাড়িতে প্রকল্পে কর্মরত ১৫-১৬ জন বিদেশি নাগরিক বসবাস করছেন বলে জানা গেছে। বাড়িটির গেট তালাবদ্ধ করে রাতেই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিহাব রায়হান লকডাউনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঈশ্বরদী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শফিকুল ইসলাম শামীম জানান, রূপপুর প্রকল্পের রাশিয়ান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান 'অর্গানস্ত্রয়'-এ কর্মরত এক বেলারুশ নাগরিক করোনা পরীক্ষার জন্য বুধবার রাতে ঢাকায় গিয়েছেন। তার গলা ব্যথা, কাশি ও কিছু সমস্যা ছিল।
ওই প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক ডা. সের্গেই মারজভসও রোগীর সঙ্গে কথা বলেছেন। আগে তার গলায় একটি অপারেশন হয়েছিল। ডা. সের্গেই মারজভস ধারণা করছেন, এ কারণেও তার গলা ব্যথা হতে পারে। ঈশ্বরদীতে করোনা পরীক্ষার কোনো কিট না থাকায় বাইরে না বের হয়ে তাকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবীর জানান, ওই বিদেশির বিষয়ে ঢাকায় আইইডিসিআর-এ কথা বলা হয়েছিল। ঈশ্বরদী এসে নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার কথা। কিন্তু সেই সময় না দিয়ে রাতেই অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনি ঢাকায় গিয়েছেন। ওই রাতেই তার বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ওই বিদেশি সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে ঈশ্বরদীতে আসেন। দেশে যাওয়ার জন্য তিনি কয়েক দিন আগে ঢাকায় গিয়েছিলেন। কিন্তু বিমান যোগাযোগ বন্ধ হওয়ায় তিনি কয়েক দিন ঢাকায় থেকে ফিরে আসেন। গলা ব্যথা ও কাশি ছাড়াও আর কোনো উপসর্গ ছিল কি না জানা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিহাব রায়হান নারিচা এলাকার ওই বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। ওই বাড়িতে বসবাসরত অন্যান্য বিদেশিকে রূপপুর প্রকল্পে কাজে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
এছাড়া তাদের প্রকল্পে প্রবেশের সিকিউরিটি পাস বন্ধ করা হয়েছে।