বাংলাদেশে এক সন্দেহভাজন ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগীর মৃত্যু
ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন সন্দেহভাজন ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগী মারা গেছেন।
এক মাস আগে ৬৫ বছর বয়সী ওই লোকের শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়। কোভিড-পরবর্তী জটিলতা নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি ডায়াবেটিস আক্রান্তও ছিলেন বলে জানিয়েছেন বারডেম হাসপাতালের রেসপাইরেটরি মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের প্রধান- অধ্যাপক এম দেলোয়ার হোসেন।
'ওই রোগী তিন দিন আগে মারা যান। তাকে আমরা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগী হিসেবে সন্দেহ করছি। আরও পরীক্ষার জন্য তার নমুনা পাঠানো হয়েছে,' বলেন তিনি।
গত ১৭ই মে কোভিড পরবর্তী জটিলতা নিয়ে সাতক্ষীরা থেকে আরও একজন রোগী ভর্তি হয়েছেন বারডেম হাসপাতালে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়। এরও আগে ১১ মে আরও একজন সন্দেহভাজন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
তবে বর্তমানে ভর্তি থাকা রোগী ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত কি না, নিশ্চিত হতে ৭২ ঘণ্টা সময় প্রয়োজন।
এদিকে, এই ভাইরাস প্রতিরোধক ওষুধ প্রস্তুতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশবাসীকে আতঙ্কিত না হবার অনুরোধ জানিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও অপ্রয়োজনে কোভিড রোগীকে স্টেরয়েড দেবার কারণে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ঝুঁকি বাড়ছে বাংলাদেশে।
চলতি মাসের শুরুর দিকেই ভারতের চিকিৎসকরা 'মিউকরমাইকোসিস' নামক এক বিরল ও বিপজ্জনক ছত্রাক সংক্রমণের অস্তিত্ব খুঁজে পান, যা 'ব্ল্যাক ফাঙ্গাস' নামেও পরিচিত।
এই মুহূর্তে যারা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের অনেকেই হয়তো কোভিড রোগী ছিলেন কিংবা মাত্রই কোভিড থেকে সুস্থ হয়েছেন। কোভিড-১৯ এর প্রভাবে যাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ইতোমধ্যেই দুর্বল হয়ে পড়েছে অথবা শারীরিক নানা সমস্যা, বিশেষত ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তারাই এবার এই নতুন রোগের শিকার হচ্ছেন।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারতজুড়ে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হাজার হাজার রোগী পাওয়া গেছে। ভারতের দুটি রাজ্য ইতোমধ্যেই একে মহামারি হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে এবং কেন্দ্রীয় সরকার এটিকে 'গুরুতর রোগ' হিসেবে অভিহিত করেছে।