ভ্যাকসিনের তৃতীয় চালান অনিশ্চয়তার মুখে
সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে আবারও করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে ভ্যাকসিন রপ্তানি স্থগিত করেছে ভারত। ফলে দেশটির সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কোভিড-১৯ ভ্যকসিনের তৃতীয় চালান অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সাথে বেক্সিমকোর চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে বাংলাদেশ সরকারের ৫০ লাখ ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পাওয়ার কথা ছিল। এপর্যন্ত দুটি চালানে ৭০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছে বাংলাদেশ।
আজ সকালে ভ্যাকসিনের তৃতীয় চালানের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "আমরা এখন পর্যন্ত এব্যাপারে কিছু জানিনা। আপনাদেরকে জানানোর জন্য নতুন কোনো তথ্য নেই আমাদের কাছে।"
তবে, স্বাস্থ্যসচিব আবদুল মান্নান গত রোববার বলেন, ভ্যাকসিনের পরবর্তী চালান আগামী ২৬ মার্চ অথবা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর শেষে বাংলাদেশে পৌঁছাতে পারে।
গত ২৫ জানুয়ারি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের ৫০ লাখ ডোজের প্রথম চালান ঢাকায় পৌঁছায়। এর আগে ২১ জানুয়ারি ভারত সরকারের উপহারস্বরূপ পাঠানো ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন ঢাকায় আসে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি এই ডোজগুলো নিয়েই দেশজুড়ে গণ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে ২২ ফেব্রুয়ারি ২০ লাখ ডোজের দ্বিতীয় চালান দেশে আসে। ৯০ লাখ ডোজের মধ্যে ইতোমধ্যেই ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
এদিকে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আবারও করোনাভাইরাস আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে দেশে।
গতকাল বুধবার দেশে রেকর্ড সংখ্যাক ২৭ হাজার ৫০২টি টেস্ট করা হয়, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৫৬৭। গত বছরের ২ জুলাইয়ের পর এটিই সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা।
দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৮০ হাজার ৮০৮ জন। গতকাল পর্যন্ত দেশে কোভিডজনিত কারণে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৭৬৩ এ।
ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৫৩ হাজার ৪৭৬, মৃত্যুসংখ্যা বেড়ে ২৫১ এ দাঁড়িয়েছে।
দেশটিতে গত ২৩ অক্টোবরের পর এটিই সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা।
ভারতে এপর্যন্ত মোট করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছেন ১ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার জন। বিগত দিনগুলোতে বৃদ্ধি পেয়েছে মৃত্যুহারও, এখন পর্যন্ত দেশটিতে কোভিডজনিত কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ১ লাখ ৬০ হাজার ৬৯২।