ভ্যাকসিনের বাকি ডোজের ব্যাপারে সেরামের সঙ্গে সরকারের কথা বলা উচিৎ: পাপন
চুক্তির বাকি ভ্যাকসিনগুলো পেতে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা করা উচিৎ এমন মন্তব্য করেছেন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন।
"দেড় কোটি ডোজের অর্থ পরিশোধের পর ৭০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে সেরাম, এব্যাপারে সরকারের সেরামের সঙ্গে কথা বলা উচিৎ," আজ কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভ্যাকসিনের সেকেন্ড ডোজ নেওয়ার পর এসব কথা বলেন তিনি।
গত বছরের ৫ নভেম্বর সেরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকোর সাথে তিন কোটি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ডোজ কেনার ব্যাপারে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
২৫ জানুয়ারি ও ২৩ ফেব্রুয়ারি দুই চালানে মোট ৭০ লাখ ডোজ পাঠায় সেরাম। এছাড়া দুই ধাপে বাংলাদেশকে মোট ৩২ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন উপহার দিয়েছে ভারত।
এর আগে, গত ২৪ মার্চ ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির ভয়াবহ পরিস্থিতির কারণে দেশের চাহিদা মেটানোর আগে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন রপ্তানি স্থগিত করে দেশটি।
তবে, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সেসময় বলেন, বাংলাদেশ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে বলে তাকে আশ্বস্ত করেছে ভারত সরকার, প্রয়োজন অনুযায়ী ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, ভ্যাকসিন রপ্তানি বন্ধ থাকায় বাংলাদেশে টিকাদানের মাস্টারপ্ল্যান বাধার সম্মুখীন হয়েছে।
বর্তমানে দেশে ২৫ লাখেরও কম ডোজ ভ্যাকসিন মজুদ আছে। প্রতিদিন গড়ে দেড় লাখ মানুষ ভ্যাকসিন নিচ্ছেন। এ ধারা বজায় থাকলে, আগামী ১৮-২০ দিনের মধ্যেই ভ্যাকসিনের সব ডোজ শেষ হয়ে যাবে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রস্তুতকৃত অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন দিয়ে দেশব্যাপী গণ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।