মহাখালীর কড়াইল বস্তিতে টিকাদান শুরু
মহাখালীর কড়াইল বস্তিতে কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে আজ (১৬ নভেম্বর)। ঢাকার সবচেয়ে বড় এই বস্তিতে প্রায় তিন লাখ লোকের বাস।
আজ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে টিকাদান শুরু হয়। বস্তিতে ইতোমধ্যে প্রায় ২৫টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এখানকার বাসিন্দাদেরকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দেওয়া হচ্ছে।
টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে রয়েছেন গার্মেন্টস কর্মী, গৃহকর্মী এবং রিকশাচালকেরা। তবে, বুথে পুরুষদের তুলনায় নারীদের সংখ্যা বেশি।
গত রাতে বস্তির বাসিন্দারা স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছ থেকে টিকা কার্ড সংগ্রহ করেন। আজ সকালে এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট নিয়ে বুথে সারিবদ্ধ হতে দেখা গেছে তাদেরকে। টিকার জন্য অন-স্পট নিবন্ধন করা হচ্ছে এসব বুথে।
বিভিন্ন হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই টিকাদান কাজে সাহায্য করছেন।
বনানীর একটি বাড়িতে কর্মরত গৃহকর্মী ফাহিমা আক্তার (২২) টিকা নেওয়ার জন্য তার কাজ থেকে দুই ঘণ্টার ছুটি নিয়েছেন। তিনি বলেন, "টিকা নেওয়া আমাদের জন্য দরকারি। এটি ছাড়া আমরা অন্য মানুষের বাড়িতে কাজ করতে পারি না। লাইনে দাঁড়ানো থেকে টিকা নেওয়া পর্যন্ত সময় লেগেছে মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিট।"
মোশারফ বাজার বুথ থেকে টিকা নেন ফাহিমা। এই বুথ থেকে এখন পর্যন্ত ১৫০ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৮০ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে নারী গ্রহীতাদেরকে। টিকাপ্রাপ্তদেরকে দুই মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট টাস্কফোর্সের সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক বলেন, "বস্তির বাসিন্দারা সপ্তাহের বেশিরভাগ দিনই বাইরে কাজ করে থাকেন। তাই তাদের সুবিধার জন্য আমরা শুক্রবারে টিকা নেওয়ার ব্যবস্থা রাখব।"
এদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, অন্যান্য বস্তির বাসিন্দারাও শীঘ্রই করোনা প্রতিরোধী টিকা পাবেন। সোমবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ ঘোষণা দেন।