মা, বাবা, বোনকে হত্যার পর ৯৯৯-এ ফোন!
![](https://tbsnews.net/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/06/20/hand-525988_1920.jpg)
"আমি ইতিমধ্যে তিনজনকে হত্যা করেছি। দ্রুত আসুন, তা না হলে আমি আরও দু'জনকে হত্যা করব"।
পুলিশের একজন ডিউটি অফিসার ৯৯৯-এ আসা ফোনটি ধরার পর অপর প্রান্ত থেকে এভাবেই এক নারীর কাঁপা কন্ঠ শোনা যায়।
পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং রাজধানীর কদমতলীর মুরাদপুর এলাকা থেকে মা-বাবা ও বোনকে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগে মেহজাবিন ইসলাম মুন নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করে।
শনিবার সকালে মুরাদপুর এলাকার বাড়িটি থেকে মাসুদ রানা (৫০), তার স্ত্রী মৌসুমি ইসলাম (৪০) ও মেয়ে জান্নাতুলের (২০) লাশ উদ্ধার করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, "পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। মাসুদ রানা বাড়িতে স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক জামাতাকে নিয়ে থাকতেন"।
"প্রাথমিকভাবে আমরা জেনেছি, আটককৃত মেয়েটিই তার বাবা-মা, স্বামী এবং বোনকে বিষ প্রয়োগ করে। এতে তার মা, বাবা এবং বোনের মৃত্যু হয়েছে।"
"গুরুতর অবস্থায় তার স্বামীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে"।
পরে অভিযুক্ত মেহজাবিনই তার বাবা-মা ও বোনকে হত্যা করে ৯৯৯-এ কল করে বলে জানান ডিসি।
ডিসি ইফতেখারুল ইসলাম আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ জানতে পারে যে, তার বাবার অনুপস্থিতিতে মেহজাবিনের মা তাকে দিয়ে খারাপ কাজ করাতে বাধ্য করতেন। মেহজাবিন প্রতিবাদ করলেও তাতে কাজ হয় নি। মেহজাবিনের বিয়ের পর তার ছোট বোনকে দিয়েও তাদের মা একই কাজ করান। এছাড়া মেহজাবিনের স্বামীর সাথে তার বোনের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। এসব কারণেই মেহজাবিন তাদের হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেহজাবিনের স্বামী শফিকুল ইসলাম বলেন, তার স্ত্রী তাকে এক কাপ চা খেতে দেয়; এরপরেই তিনি অচেতন হয়ে পড়েন।
ইফতেখারুল জানান, মেহজাবিনের বাবা মাসুদ রানা ওমান প্রবাসী। সেখানে তিনি আরেকটি বিয়ে করেছেন; মাস তিনেক আগে তিনি দেশে ফিরেন।