রাজধানীতে নতুন দুই ‘জঙ্গি’ সদস্য আটক
রাজধানীর গুলিস্তান ও সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে পুলিশের ওপর বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মোঃ মেহেদী হাসান তামিম এবং মোঃ আবদুল্লাহ আজমীর।
রোববার (১৩ অক্টোবর) রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশ থেকে প্রকাশিত এক প্রেস রিলিজে জানানো হয়।
এসময় তাদের কাছ থেকে ১ টি ল্যাপটপ ও ৩ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
তারা দুজনেই খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যন্ত্র প্রকৌশল বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু থেকেই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ে তারা।
গতবছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ভোলার এক দুর্গম চরে তারা প্রশিক্ষণ নেয়।
২০১৯ সালের শুরুতে ফরিদ উদ্দিন রুমির ছোট ভাই জালালউদ্দিন রফিকের নেতৃত্বে একটি সামরিক শাখা প্রতিষ্ঠা করে। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় রফিকের বাসভবনে বোমা বানাতো তারা।
রফিককে গত ২৩ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসঙ্গত, এ বছর ২৯ এপ্রিল রাতে গুলিস্তানে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ওপর বোমা হামলা হলে ট্রাফিক কনস্টেবল নজরুল ইসলাম, লিটন চৌধুরী ও কমিউনিটি পুলিশ সদস্য মো. আশিক আহত হন৷
আর গত ৩১ আগস্ট মধ্যরাতে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের যাত্রাপথে বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তাতে একজন এএসআই এবং একজন কনস্টেবল আহত হন।
চলতি বছর পুলিশের ওপর আরও তিনটি হামলা ও হামলা চেষ্টার ঘটনা ঘটে। ২৬ মে মালিবাগে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) কার্যালয়ের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখা পুলিশের গাড়িতে বোমার বিষ্ফোরণ ঘটলে এসআই রাশেদা খাতুন এবং এক রিকশাচালক আহত হন।
এরপর ২৩ জুলাই খামারবাড়ি এবং পল্টনে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে একই সময় দুইটি কার্টনে বোমার সন্ধান পায় পুলিশ। পরে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়।
প্রতিটি ঘটনার পরই মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের পক্ষ থেকে হামলার দায় স্বীকার করা হলেও পুলিশ বরাবরই বলেছে, এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে এ দেশীয় উগ্রপন্থি জঙ্গিরাই।