শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার
দুটি আলাদা ঘটনায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করেছে প্রশাসন।
শনিবার (২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ২১৪ তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য।
তারা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিভাগ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজিব সরকারের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত সাত জনকে এক সেমিস্টারের জন্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান নাঈমকে ছুরিকাঘাত করায় আরেক ছাত্রলীগ নেতাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সিন্ডিকেট সূত্রে জানা যায়, সাত শিক্ষার্থীকে এক সেমিস্টার বহিষ্কারের পাশাপাশি বিভিন্ন পরিমাণ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। ত্রিশ কার্যদিবসের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করলে তাদেরকে আরও এক সেমিস্টার বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয় সভায়। অন্যদিকে ভবিষ্যতে এধরনের কোন মারামারি কিংবা সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে স্থায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদস্য আশরাফ কামাল আরিফ, অ্যাপ্লাইড সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাহবুব আল আমিন, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার আহমদ রানা, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন মিয়া, একই অনুষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারী সজীব, বাংলা বিভাগ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাওসার আহমেদ সোহাগ এবং ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী মো. রিশাদ ঠাকুর।
এরা সবাই শাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
এছাড়া ফরেস্ট্রি এন্ড এনভারনমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান নাঈমকে ছুরিকাঘাত করার ঘটনায় শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আবদুর রশিদ রাসেলকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।
গত (২৩ মার্চ ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে রাজীব সরকারকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র ও জিআই পাইপ দিয়ে মাথা ও পিঠে আঘাত করে শাখা ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেনের অনুসারীরা। এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়।