কেইপিজেডে টেন্ডার পেতে হুমকি: চট্টগ্রামে যুবদল নেতা বহিষ্কার
চট্টগ্রামে কেইপিজেডে টেন্ডার পেতে আমেরিকান অ্যান্ড এফির্ড (বাংলাদেশ) লিমিটেড নামের একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানে ঢুকে প্রাণনাশের এবং ফ্যাক্টরি বন্ধ করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এবার দক্ষিণ জেলা যুবদলের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবদুল করিমকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাতে কেন্দ্রীয় যুবদলের দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেলের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের ধর্ম সম্পাদক আবদুল করিমকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতৃবৃন্দের কোনো ধরনের অপকর্মের দায়দায়িত্ব দল নিবে না। যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তার সাথে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে, গত ২৫ অক্টোবর একই ঘটনায় আনোয়ারা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এই বিষয়ে আব্দুল করিম বলেন, 'আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন। বিএনপি নেতা ইলিয়াছ কাঞ্চন ভাইসহ আমরা সেই দিন দলের কিছু লোকজনের সিভি নিয়ে চাকরির তদবির করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের প্রতিপক্ষ রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করতে এই অভিযোগ আনে।'
উল্লেখ্য, ২১ অক্টোবর আমেরিকান অ্যান্ড এফির্ড (বাংলাদেশ) লিমিটেড কর্তৃপক্ষ ইলিয়াস কাঞ্চনসহ দুজনের নাম উল্লেখ করে কর্ণফুলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে।
এই অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির মানবসম্পদ বিভাগের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শেগুফতা গনি বলেন, 'অভিযুক্তরা দুই মাস আগে খাবারের টেন্ডার দেওয়ার জন্য বাদীকে প্রস্তাব দেন। বাদী কোম্পানির পলিসি অনুযায়ী টেন্ডারের বিষয়টি জানাবেন বলে জানান। এরপর, প্রতি সপ্তাহে অভিযুক্তরা বাদীকে একাধিকবার ফোন করে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতে থাকেন। সর্বশেষ ২০ অক্টোবর, বাদীকে ফোন করে জানানো হয়, নভেম্বরের মধ্যে টেন্ডার না দিলে তাদের ক্ষতি হবে। ২১ অক্টোবর বিকেলে অভিযুক্তরা মাইক্রোবাসে এসে অবৈধভাবে ফ্যাক্টরির রিসিপশনে প্রবেশ করে অভিযোগকারী ও তার সহকর্মীদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং প্রাণনাশ ও ফ্যাক্টরি বন্ধ করার হুমকি দেয়।'