শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু করার বিষয়ে সরকারের যেসব নির্দেশনা মেনে চলতে হবে
আগামী ১২ সেপ্টেম্বর পুনরায় চালু হতে যাচ্ছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যবিধি এবং অন্যান্য সুরক্ষা ব্যবস্থার উল্লেখ করে আন্ত-মন্ত্রণালয়ের সভায় একটি নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনির উপস্থিতিতে আজ এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নির্দেশিকাগুলো হলো-
১. আগামী ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখ থেকে সব পর্যায়ের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং মাদ্রাসাসমূহে শ্রেণিকক্ষের পাঠদান শুরু হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন/ কর্তৃপক্ষ সার্বক্ষণিক তদারকি করবে;
২. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের লক্ষ্যে জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা করতে হবে;
৩. এ বছরের এবং আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের এবং প্রাথমিকের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ক্লাস হবে। বাকি শ্রেণিগুলোর শিক্ষার্থীদের ক্লাস সপ্তাহে একদিন করে হবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় পরে তা পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে;
৪. এ বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্লাস কিছুদিন পরেই শেষ হয়ে গেলে নবম ও একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ক্লাস হবে;
৫. পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী এবং অষ্টম শ্রেণির জেএসসি/ জেডিসি পরীক্ষার প্রস্তুতি থাকবে। পরিস্থিতি অনুকূল হলে পরীক্ষা নেওয়া হবে;
৬. প্রাক-প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস আপাতত বন্ধ থাকবে;
৭. যে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে তা শিক্ষা কার্যক্রমের ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করতে হবে;
৮. বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ব্যবস্থা করতে হবে;
৯. কোন স্থানে করোনা সংক্রমণের অবনতি/বিশেষ অবস্থার সৃষ্টি হলে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসন/শিক্ষা বিভাগকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে;
১০. বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ খোলার বিষয়ে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে; এবং
১১. ১২ বছরের উর্ধ্বের শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদানের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।