সুন্দরবনে অপরাধ কমাতে ড্রোন ব্যবহারের পরিকল্পনা বনবিভাগের
সুন্দরবনে অপরাধ কমাতে ড্রোনের সাহায্যে মনিটরিংয়ের পরিকল্পনা করছে বনবিভাগ। এছাড়া লোকালয়ে বাঘের প্রবেশ ঠেকাতে সুন্দরবনের পাশে নেট দিয়ে বেড়া দেয়ার উদ্যোগও নেয়া হয়েছে।
ইতোমধ্যে সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে এ দু’টি পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির বনবিভাগ, যাতে সুফলও মিলেছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেছেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সুন্দরবনসহ উপকূলীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা বাড়ানোর সকল পদক্ষেপ নেয়া হবে। সুন্দরবনে প্রতিটি চরে একটি করে পুকুর খননের উদ্যোগ নেয়া হবে।
সূত্র মতে, সুন্দরবনে গাছ কাটা, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরা এমনকি রয়েল বেঙ্গল টাইগার শিকার এ রকম নানা অপরাধ চলে আসছে। রয়েছে জলদস্যু ও বনদস্যুদের তৎপরতাও। এসব অপরাধ দমনে টহলের পাশাপাশি ড্রোন দিয়ে সুন্দরবন মনিটরিংয়ের পরিকল্পনা করছে বন বিভাগ। ড্রোন পরিচালনায় কর্মীদের দেয়া হবে প্রশিক্ষণ।
বন অধিদপ্তরের উপ-প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, সুন্দরবনে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, বন্যপ্রাণি নিধন রোধ, দস্যুতা নির্মূল, অবৈধ জেলেদের শনাক্ত করে প্রতিরোধ করতে ড্রোন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
একাধিক বন কর্মকর্তা জানান, মাঝেমধ্যেই খাবারের খোঁজে লোকালয়ে চলে আসে বাঘ। পরিসংখ্যান বলছে, গেল দুই দশকে এমন ১৪টি বাঘ পিটিয়ে হত্যা করেছে সুন্দরবনের উপকূল গ্রামবাসী। এ কারণে লোকালয় সংলগ্ন এলাকাগুলোতে বেড়া দেয়ার উদ্যোগও নিয়েছে বন বিভাগ।
সুন্দরবন একাডেমি খুলনার উপদেষ্টা রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, সুন্দরবন সংরক্ষণে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। ড্রোন দিয়ে সুন্দরবন অভ্যন্তরে কি হচ্ছে, না হচ্ছে সে সব বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব।
"সুন্দরবনের ভেতরে বাঘের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে পারি, আর যদি তার খাদ্যের নিশ্চিয়তা দিতে পারি তাহলে বাঘ আর লোকালয়ে আসবে না। বাঘ লোকালয়ে আসছে কি না, সেটা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আগে থেকেই অবহিত হওয়া সম্ভব।"
বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. মদিনুল আহসান বলেন, "নতুন একটি প্রকল্প সরকারের কাছে উপস্থাপন করেছি। যাতে সুন্দরবনের বাইরে বাঘ বেরিয়ে আসতে না পারে। সে জন্য সুন্দরবন লাগোয়ায় জাল স্থাপন করা হবে। এছাড়াও সুন্দরবন পর্যবেক্ষণে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের বিষয়টি থাকবে প্রকল্পে।"