২০০ টাকার ওষুধ ৬০০ টাকায় বিক্রি
![](https://tbsnews.net/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/06/09/vokta_odhikar.jpg)
চট্টগ্রামে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে ওষুধ বিক্রি করার দায়ে ৭টি প্রতিষ্ঠানকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
সোমবার চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ, পাঁচলাইশ ও চকবাজার এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে ৭ প্রতিষ্ঠানকে মোট ৭০ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ ও নকল চেরি ধ্বংস করা হয়। ভোক্তা অধিকারের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
অভিযানকালে মোহাম্মদপুর এলাকার পপুলার ফার্মেসিকে ২০০ টাকার ওষুধ ৬০০ টাকায় বিক্রয় করায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই প্রতিষ্ঠানকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ করায় আরও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ওই ওষুধ ধ্বংস করা হয়।
আরেকটি অভিযোগের ভিত্তিতে বায়েজিদ থানার আল মাশাফি ফার্মেসিকে ১২০ টাকার ওষুধ ১৮০ টাকায় বিক্রয় করায় ১০ হাজার টাকা, বিসমিল্লাহ্ ফার্মেসিকে ২২০ টাকার স্যাভলন ৫০০ টাকায় বিক্রয় করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।
নিত্যপণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় অক্সিজেন মোড় বাজারের হাজী সিরাজ স্টোরকে ৫ হাজার টাকা ও জাহাঙ্গীর স্টোরকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
চকবাজার এলাকার কর্ণফুলী ফার্মেসিকে বেশি দামে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে প্যারাসিটামল ও হেক্সিসল সংরক্ষণ এবং উৎপাদন মেয়াদবিহীন কাটা ওষুধ সংরক্ষণ করায় ১০ হাজার টাকা, পাঁচলাইশ থানা মোড়ের জহির ফল বিতানকে নকল চেরি বিক্রয় করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে নকল চেরি ধ্বংস করা হয়।
এসময় ভোক্তাসাধারণকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে পণ্য ক্রয় করতে, মাস্ক-গ্লাভস পরিধান করতে অনুরোধ করা হয়। পাশাপাশি কোন বিক্রেতা যদি অধিক মূল্যে পণ্য বা ওষুধ বিক্রয় করে অথবা বিক্রয়ের প্রস্তাব করে তবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের হটলাইন নম্বর ১৬১২১ এ অভিযোগ জানাতে বা তথ্য দিতে অনুরোধ করা হয়।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা এবং চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।