ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিম্নবিত্তের মাংসের হাট, বিক্রি প্রায় ১০ লাখ টাকা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে বসেছে কোরবানির মাংসের অস্থায়ী হাট। রোববার (১০ জুলাই) বিকেলে শহরের মঠের গোড়া ও টি.এ. রোডে এ হাট বসে।
এই হাটে বিভিন্ন স্থান থেকে মাংস নিয়ে আসেন কসাইরা। যেসব নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা কোরবানি দিতে না পারেননি, তারা এই হাট থেকে গরু-মহিষের মাংস কিনেছেন।
কয়েকজন বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মৌসুমী কসাইরা গরু কাটাকাটি করে যেসব মাংস পেয়েছেন সেগুলো এই হাটে বিক্রি করেছেন। এছাড়া ছিন্নমূল নারী-পুরুষরাও বিভিন্ন বাসা-বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা মাংস বিক্রি করেছেন হাটে। আর নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা বাজারের চেয়ে কিছুটা কম দামে এসব মাংস কিনেছেন।
প্রতি কেজি মাংস বিক্রি হয়েছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা দামে। কেউ কেউ আরও বেশি দামে বিক্রি করেছেন। হাটে তিন শতাধিক বিক্রেতা আসেন মাংস নিয়ে। এ হাটে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাংস বেচাকেনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নয়নপুর এলাকার রাফিয়া বেগম জানান, তার স্বামী নেই। দুই ছেলে অটোরিকশা চালায়। কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য নেই, সেজন্য মাংসের হাট থেকে মাংস কিনতে এসেছেন। কিন্তু দর-দামে না মেলায় নিম্নবিত্তের হাট থেকেও মাংস কিনতে পারেননি তিনি।
সরাইল উপজেলার রসুলপুর গ্রামের রিকশা চালক সফর আলী জানান, কোরবানি দিতে না পারায় মাংসের হাট থেকে কেজি দুয়েক মাংস কিনতে এসেছেন তিনি। বাজারের চেয়ে এখানে দাম কিছুটা কম বলে জানান তিনি।
মাংস বিক্রেতা মো. কালু মিয়া জানান, কয়েকজন মিলে গরু কাটাকাটি করে কিছু মাংস পেয়েছেন। সেগুলো এই হাটে বিক্রি করেছেন। দাম কম হওয়ায় মাংস কিনে নিম্নবিত্তরাও খুশি বলে জানান তিনি।