চেক প্রতারণা মামলায় নুরজাহান গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের জেল
চেক প্রতারণা মামলায় এক সময়ের ভোগ্যপণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নুরজাহান গ্রুপের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির আহম্মেদকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে চট্টগ্রামের এক আদালত।
বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক দেওয়ান হাট শাখার ৬ কোটি টাকা পাওনার বিপরীতে দায়ের করা চেকের (এনআই অ্যাক্ট) মামলায় চট্টগ্রাম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আফরোজা জেসমিন কলি বৃহষ্পতিবার এই রায় দেন।
বাদি ব্যাংকের আইনজীবী শফিউল আজম মজুমদার বলেন, চেক প্রতারণা মামলায় নুরজাহান গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে ৬ কোটি টাকার অর্থদণ্ড ও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামিরা বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
আদালতের তথ্যমতে, নুরজাহান গ্রুপের প্রতিষ্ঠান মাররিন ভেজিটেবল অয়েলস লিমিটেডের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে ৬০ কোটি টাকার বিপরীতে ১০টি চেকের মামলা দায়ের করে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক দেওয়ান হাট শাখা। এরমধ্যে ৬ কোটি টাকার বিপরীতে দায়ের করা একটি মামলায় বৃহস্পতিবার এই রায় ঘোষণা হয়।
এর আগে গত ১ আগস্ট, ১৯ জুন ও ১০ মে আরো তিনটি পৃথক চেকের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধারদের বিরুদ্ধে প্রতিটি মামলায় এক বছর করে সাজা প্রদান করে আদালত। রায় হওয়া চারটি মামলায় দুই কর্ণধারকে এক বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি সমপরিমাণ (২২ কোটি টাকা) অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
২০১১ সালে ভোজ্যতেল আমদানি করতে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক থেকে এই ঋণ সুবিধা নেন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধাররা। দীর্ঘদিনেও ঋণ পরিশোধ না করায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ১১০ কোটি টাকা পাওনার বিপরীতে ২০১৯ সালে অর্থঋণ মামলা দায়ের করে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক।
এক সময়ের ভোগ্যপণ্য ব্যবসার অন্যতম জায়ান্ট চট্টগ্রামভিত্তিক নূরজাহান গ্রুপ। ভোজ্যতেল, গম, মসলাসহ ভোগ্যপণ্যে আধিপত্যের সঙ্গে ব্যবসা করলেও আগের সেই ব্যবসা এখন আর নেই।
গত কয়েক বছর ধরে গ্রুপটির ব্যবসা সংকুচিত হলেও বাড়ছে দেনার পরিমাণ। এর মধ্যে গ্রুপটির কাছে পাঁচ ব্যাংকের দেনার পরিমাণ আড়াই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বর্তমানে গ্রুপটির ভোগ্যপণ্য আমদানির ব্যবসা সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।