হেফাজতে মৃত্যু: আজিমপুরে সুমনের লাশ দাফন করেছে পরিবার
হাতিরঝিল থানা হেফাজতে নিহত সুমন শেখের মরদেহ অবশেষে সোমবার (২২ আগস্ট) তার পরিবার গ্রহণ করেছে। রাতে পুলিশের উপস্থিতিতে রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয় তাকে।
মৃত্যুর প্রায় ৪৪ ঘণ্টা পর সোমবার বিকেলে সুমনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল মর্গ থেকে লাশ গ্রহণ করেন সুমনের বাবা পেয়ার আলী।
এর আগে, সোমবার বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সুমনের পরিবারের সদস্যরা হাতিরঝিল থানায় লাশ হস্তান্তর ও কিছু আইনি বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসেন।
পুলিশ বা সুমনের পরিবারের কেউই এই আলোচনার বিষয়ে গণমাধ্যমকে কিছু জানায়নি।
তবে কবরস্থানে উপস্থিত সুমনের শ্যালক মোশাররফ সাইফুল সাংবাদিকদের জানান, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে আইনি পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সুমনের স্ত্রী জান্নাত আক্তার আজিমপুর কবরস্থানে শেষবারের মতো স্বামীর লাশ দেখতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন; পরে তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জান্নাতের বোন শাহনাজ আক্তার ফোনে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, তার বোন স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই অসুস্থ ছিলেন এবং আজিমপুরে যাওয়ার সময় তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়।
"পুলিশের নির্যাতনের বিষয়ে আদালত আমাদের অভিযোগ নেয়নি", দাবি করেন শাহনাজ।
শনিবার ও রোববার সুমনের পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা বিচারের দাবিতে থানার সামনে রাস্তায় অবস্থান নেন।
তবে পুলিশের দাবি, সুমন আত্মহত্যা করেছেন।
রোববার রাতে সুমনকে রাখা হাতিরঝিল থানার ডিটেনশন রুমের সিসিটিভি ক্যামেরার বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজ গণমাধ্যমকে দেয় পুলিশ।
ফুটেজে সুমনকে নিজের ট্রাউজার খুলে রুমের গ্রিল দিয়ে ভেন্টিলেটরে উঠতে দেখা গেছে। সে সময় কর্তব্যরত পুলিশকে সেখানে দেখা যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ভেন্টিলেটরের সঙ্গে ট্রাউজার দিয়ে গলায় ফাঁস দেন সুমন।
শনিবার (২০ আগস্ট) ভোর ৩টা ৩২ থেকে ৩টা ৩৭ মিনিট পর্যন্ত সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে এ ঘটনা ধরা পড়ে।