সম্রাটের জামিন বাতিল চেয়ে দুদকের আপিল
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সম্রাটের জামিন বাতিল চেয়ে (২৯ আগস্ট) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদন করে দুদক।
এর আগে সোমবার সকালে আদালত থেকে তার আপিলের অনুমতি নেওয়া হয়।
দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
এর আগে গত ২২ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে ১০ হাজার টাকার মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।
সম্রাটের আইনজীবী এহসানুল হক গণমাধ্যমকে জানান, ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জামিন কার্যকর থাকবে।
সর্বশেষ এ জামিন পাওয়ার পর সম্রাট তার ওপর থাকা চারটি মামলায়ই জামিন পেয়েছেন। ফলে তার ছাড়া পেতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানান আইনজীবী।
চলতি বছরের ১০ এপ্রিল একটি মানি লন্ডারিং মামলা এবং অস্ত্র নিজের অধীনে রাখার মামলায় জামিন পান সম্রাট।
এরপর ১১ এপ্রিল তাকে মাদক মামলায় জামিন দেওয়া হয়। জ্ঞাত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো: আসিফুজ্জামান তাকে জামিন দেন মে মাসের ১১ তারিখ।
চারটি মামলায় জামিন পেয়ে তিনি ১১ মে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের কারাগার থেকে মুক্তি পেলেও চিকিৎসার জন্য হাসপাতালেই ছিলেন।
২০১৯ সালে সম্রাটের বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মামলার জামিন আদেশ বাতিল করতে ১৬ মে দুদক হাইকোর্টে আবেদন করে। ১৮ মে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বে হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন বাতিল করে তাকে ৭ দিনের মধ্যে বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
পরবর্তীতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন সম্রাট।
আপিলের শুনানি শেষে ২৩ মে চেম্বার বিচারক এম ইনায়েতুর রহিম সম্রাটের আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান।
জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর ২৬ আগস্ট তিনি প্রথমবার জনসমক্ষে হাজির হন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হাজার হাজার যুবলীগ নেতা-কর্মী নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রোডে যান সম্রাট।