আবারও কারাগারে ক্যাসিনো সম্রাট
বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ও ক্যাসিনো কিংপিন ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে আজ আবারও কারাগারে পাঠিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।
জ্ঞাত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জনের মামলায় মঙ্গলবার (২৪ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এ আত্মসমর্পণ করেন সম্রাট। তিনি জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে দেন।
গত ১১ মে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের মামলায় প্রাথমিকভাবে জামিন পান তিনি। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে তার জামিন মঞ্জুর করা হয়।
তার বিরুদ্ধে থাকা চারটি মামলার মধ্যে ১০ এপ্রিল একটি মানি লন্ডারিং মামলা এবং অস্ত্র রাখার মামলায় জামিন পান সম্রাট। ১১ এপ্রিল তিনি মাদক মামলায় জামিন পান।
চারটি মামলায় জামিন পেয়ে গত ১১ মে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএসএমইউ) হাসপাতালের কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
মুক্তির পরও তিনি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালেই ছিলেন।
পরে ১৬ মে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে করা একটি মামলায় জামিন আদেশ বাতিলের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করে।
গত ১৮ মে নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বে দুই সদস্যের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন বাতিল করে সাত দিনের মধ্যে বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন সম্রাট।
২৩ মে আপিলের শুনানি শেষে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারক এম ইনায়েতুর রহিম সম্রাটের আবেদন হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত না করে ৩০ মে শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান।
২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর সম্রাটের অবৈধভাবে ২.৯৫ কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। তদন্ত শেষে তিনি ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর চার্জশিট দাখিল করেন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর অবৈধ জুয়া র্যাকেটের সাথে যোগসূত্রিতার অভিযোগে কুমিল্লা থেকে সম্রাটকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
পরে র্যাব কাকরাইলের ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে সম্রাটের অফিসে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, ইয়াবা ট্যাবলেট, বিদেশি মদের বোতল ও দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া উদ্ধার করে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত বন্য প্রাণী সুরক্ষা আইনে ক্যাঙ্গারুর চামড়া রাখার দায়ে সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়। তাকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
পরে তার বিরুদ্ধে রমনা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও অস্ত্র আইনে আরও দুটি মামলা দায়ের করা হয়।