ইডেন কলেজের ১৯ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা
ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বহিষ্কৃত ১২ ছাত্রলীগ নেত্রীসহ মোট ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) লালবাগ থানায় এ মামলা দায়ের করেন স্থগিত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিতু আক্তার।
লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মোর্শেদ গণমাধ্যমকে খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলাটি তদন্তের জন্য পরিদর্শক শাহ আলমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বরখাস্ত কমিটির সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার সঙ্গে রিতু আক্তারের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলে জানা গেছে।
মামলার নথিতে আসামিদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে মারধর ও জখম, খুনের চেষ্টা, চুরি, ক্ষতিসাধন এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার আসামিদের মধ্যে বহিষ্কৃত ১২ ছাত্রলীগ নেত্রী হলেন- জেবুন্নাহার শীলা, সোনালী আক্তার, সুস্মিতা বাড়ই, কল্পনা বেগম, জান্নাতুল ফেরদৌস, আফরোজা রেশমি, মারজানা উর্মি, সানজিদা পারভীন চৌধুরী, এসএম মিলি, সাদিয়া জাহান সাথী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা খানম বিথী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক সামিয়া আক্তার বৈশাখী।
অন্য আসামিরা হলেন- শেখ সানজিদা, রূপা দত্ত, মারিয়া, শারমিন, মনিকা তঞ্চঙ্গ্যা মিমি, মায়েদা বেগম মায়া ও তানজিলা আক্তার।
ওসি আরও জানান, সাম্প্রতিক সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলার তদন্ত চলছে।
এর আগে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইডেন মহিলা কলেজ শাখার সাময়িক বহিষ্কৃত সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলাটি করেন ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস।
মামলার তথ্য অনুযায়ী, অসুস্থতার কারণে জান্নাতুল ফেরদৌসকে ১৩ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তিনি ২২ সেপ্টেম্বর কলেজে ফিরে আসেন।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর আসামি জেসমিন ও রাজিয়ার নির্দেশে আসামি আনিকা তাবাসসুমসহ অন্যরা তার কক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা ও একটি ল্যাপটপ ছিনিয়ে নিয়ে ভাঙচুর করে।
জান্নাতুলের অভিযোগ, পরদিন (২৫ সেপ্টেম্বর) আয়েশা হলের সামনে আসামি জেসমিন তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হকি স্টিক দিয়ে আঘাত করে। পরে সে ও অভিযুক্ত মিম তাকে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। এরপর জান্নাতুল মারা গেছে ভেবে দুই আসামিই চলে যায়।