গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ: শীতের কারণে ভোটারের উপস্থিতি কম
চলমান গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ভোটার হার কম দেখা গেছে। নির্বাচন কমিশনের দাবি, শীতের কারণে ভোটার উপস্থিতি কম।
সকাল সাড়ে আটটা থেকে শুরু হয়ে বেলা দুইটা পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ ঘণ্টায় ভোট পড়ে মাত্র ২৫-৩০ শতাংশ।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ তথ্য দেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান।
আনিছুর রহমান বলেন, "শীতে ভোটারের উপস্থিতি কম। তবে সব মিলিয়ে ভোটের খুব ভালো পরিবেশ আছে। এখন পর্যন্ত আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ শতাংশের মধ্যে আছে। তবে সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি এখনো।"
তিনি বলেন, "গাইবান্ধাতে ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস ছিল। এখন অবশ্য বাড়ছে। ভোটারের সংখ্যাও কিছু বেড়েছে।"
তিনি আরো বলেন, "দ্বিতীয় দফায় উপনির্বাচন হচ্ছে, এটাও একটা কারণ।"
ভোটের পরিবেশ নিয়ে আনিছুর রহমান বলেন, "ভোটের পরিবেশ খুব সুন্দর। ভোটারের উপস্থিতি যদিও একটু কম। এ পর্যন্ত আমরা কোনো অনিয়ম দেখি নাই। ভোটকেন্দ্রের বাইরের এবং ভিতরের পরিস্থিতি উভয়ই ভালো।"
ইভিএমের কারণে কোথাও কোনো ত্রুটি বা সমস্যা হচ্ছে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এর আগে ভোট শুরু হওয়ার আড়াই ঘণ্টা পর নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানাও জানিয়েছিলেন শীতের কারণে ভোটার উপস্থিতি কম। আড়াই ঘণ্টার মাথায় ভোট পড়েছিল ১০ শতাংশ।
রাশেদা তখন বলেছিলেন, "১০ শতাংশের মতন ভোট প্রদান করা হয়েছে। প্রচণ্ড শীতে দুর্গম চরাঞ্চলে ৩২টা কেন্দ্র। এছাড়াও শীতের জন্য উপস্থিতি এখন একটু কম। তবে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। বেলা বাড়ার সাথে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।"
তিনি আরো বলেন, "ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা থাকার কারণে যারা অনিয়ম করার জন্য আগ্রহী থাকেন তাদের আগ্রহটা অনেক প্রশমিত হয়ে গেছে।"
বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত একটানা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ চলবে। গতবারের মতন এবারও ভোটকেন্দ্রে থাকছে সিসি ক্যামেরার ব্যবহার, যা ঢাকা থেকে মনিটর করা হচ্ছে।
গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে অনিয়মের কারণে ভোটগ্রহণের চার ঘণ্টার মাথায় ৫১টি ভোটকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে ভোট শেষের দেড় ঘণ্টা আগেই পুরো নির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করে কমিশন।
গত জুলাইয়ে সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে এ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।