ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই আদালত ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বর্জন আইনজীবীদের
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের অপসারণ দাবিতে তাদের আদালত আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন আইনজীবীরা। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে সাধারণ সভা করে এ সিদ্ধান্ত নেয় জেলা আইনজীবী সমিতি।
এর আগে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে টানা ছয় কার্যদিবস দুই বিচারক এবং আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণ দাবিতে সকল আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করে আইনজীবী সমিতি। পরবর্তীতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠক করে গত ১৫ জানুয়ারি থেকে আলোচিত দুই বিচারক ছাড়া বাকিদের আদালতে ফিরে যান আইনজীবীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, আমরা যে দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছিলাম, তা এখনও পূরণ হয়নি। তাই দুই বিচারকের আদালত বর্জন কর্মসূচির মেয়াদ আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আইনজীবীদের দাবির বিষয়টি নিয়ে সার্বিক সিদ্ধান্ত নিতে সমিতির সভাপতিকে প্রধান করে ২১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরবর্তী করণীয় বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে।
উল্লেখ্য, গেল বছরের ১ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ আইনজীবীরা মামলা দাখিল করতে গেলে, বিচারক মোহাম্মদ ফারুক মামলা না নিয়ে আইনজীবীদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য এবং মিথ্যাচার করেন বলে অভিযোগ করেন আইনজীবীরা।
এ ঘটনায় তারা ২৬ ডিসেম্বর সমিতির সভা করেন। সভায় ১ জানুয়ারি থেকে বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এরপর জেলা ও দায়রা জজের ইন্ধনে আদালতের কর্মচারীরা গত ৪ জানুয়ারি আইনজীবীদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও কর্মবিরতি দেন, এতে আইনজীবীদের সম্মানহানি করা হয়েছে অভিযোগ তুলে এবং আদালতের নাজির মোমিনুলের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে জাল স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি বাণিজ্য চলছে উল্লেখ করে তাদের তিনজনের অপসারণ দাবিতে তিন কার্যদিবস আদালত বর্জন কর্মসূচি দেয় আইনজীবী সমিতি। তবে দাবি আদায় না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় আরও তিন কার্যদিবস আদালত বর্জন করেন আইনজীবীরা।