চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে চিন্ময় অনুসারীদের সংঘর্ষ, আইনজীবীকে হত্যা
চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় এক আইনজীবী নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আইনজীবীর নাম সাইফুল ইসলাম আলিফ (৩৫)। তিনি জেলার লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে।
আজ বিকেলে সাড়ে ৩টার দিকে আহত অবস্থায় আলিফকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক টিবিএসকে বলেন, 'আলিফের মাথায় জখম ছিল।'
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার মো. তাসলিম উদ্দিন টিবিএসকে বলেন, 'ওই আইনজীবীকে নিহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। ময়নাতদন্তের পর তার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।'
প্রত্যক্ষদর্শী মো. হাসান নামে এক আইনজীবী বলেন, পুলিশ ও আইনজীবীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী আলিফকে বিক্ষোভকারীরা কোপায়। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এর আগে জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগে রাষ্টদ্রোহ মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে আজ দুপুরে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় ইসকন সর্মথকরা বাধা দেন।
তারা চিন্ময়কে বহনকারী প্রিজনভ্যানটি ঘেরাও করে আটকে রাখেন। পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে চাইলেও তারা পথ অবরোধ করে রাখেন। তারা প্রিজনভ্যানটির চাকাও পাংচার করে দেন। পরে সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিচার্জ করে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ সময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এতে কয়েকজন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শী আরো কয়েকজন জানান, আলিফকে আদালতের মূল ফটকের প্রবেশমুখের বিপরীতে রঙ্গম কনভেনশন হলের পাশের গলি থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিলে তারা এই গলিতে অবস্থান নেন। মূলত এই গলি মেথর পট্টি হিসেবে পরিচিত। এখানে পরিচ্ছন্নকর্মীরা বসবাস করেন, যারা বেশিরভাগই হিন্দু ধর্মাবলম্বী। এই গলিতে অবস্থান নেওয়া বিক্ষোভকারীদের হাতে দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র দেখা গেছে।