মুরগির দাম কেজিতে ৩০-৪০ টাকা কমাবে: ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরকে প্রতিশ্রুতি ৪ বড় উৎপাদকের
পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের চারটি বড় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান পাইকারি বাজারে মুরগির দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান এএইচএম সফিকুজ্জামান চার মুরগি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কাজী ফার্মস লিমিটেড, আফতাব বহুমুখী ফার্মস লিমিটেড, সিপি বাংলাদেশ এবং প্যারাগন পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি লিমিটেডের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান।
ভোক্তা অধিকার প্রধান বলেন, 'এই কোম্পানিগুলো তাদের খামারের গেট থেকে প্রতিকেজি মুরগি ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকায় পাইকারিতে বিক্রি করবে। এখন ২২০–২৩০ টাকায় ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে।'
তিনি আরও বলেন, ভোক্তা পর্যায়ে দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, 'আমরা বাজার মনিটর করব। আশা করি দাম কমবে।'
কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো বাজারে মোট মুরগির চাহিদার ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত সরবরাহ করে।
এর আগে বুধবার (২৩ মার্চ) এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেছিলে, ব্রয়লার মুরগির প্রতি ইউনিটের দাম কোনোভাবেই ২০০ টাকার বেশি হতে পারে না। যদিও রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ভোক্তাদের কাছ থেকে ২৮০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তার টিম প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিতে সরকারের কাছে আটটি প্রস্তাব পেশ করেছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, কোনো বাজারে অনিয়ম হলে সংশ্লিষ্ট বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার গতকাল দাবি করেছেন, সারা দেশ থেকে ঢাকায় আনার সময় প্রতিদিন ৫-৭ হাজার মুরগি মারা যায় এবং সেগুলো ঢাকার রেস্টুরেন্টগুলোতে সরবরাহ করা হয়।
পবিত্র রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে ভেজাল রোধে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
এর আগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে একটি বাজার প্রতিবেদন পাঠিয়ে দাবি করে যে শিল্প পর্যায়ে প্রতিটি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা এবং প্রান্তিক খামারিদের ক্ষেত্রে এ খরচ ১৬০ টাকা।
বাজার পর্যবেক্ষকরা জানান, ব্রয়লার মুরগি সাধারণ মানুষের জন্য একটি সাশ্রয়ী প্রোটিনের উৎস, কিন্তু ৪৫-৯০ দিনের মধ্যেই তা ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। এ সময়ে ব্রয়লারের দাম প্রায় ১২০ টাকা বেড়ে গেছে।
এক মাসের মধ্যে গরুর মাংসের দাম ৬৭৫-৭০০ টাকা থেকে বেড়ে ৭৮০-৮০০ টাকা হয়ে যাওয়ায় ইতিমধ্যেই তা সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে।