কেজিতে ৪০ টাকা কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম, তবে ভোক্তারা সন্তুষ্ট নন
ব্যবসায়ীদের সাথে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বৈঠকের দুই দিন পর দেশের বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতিকেজিতে ৪০ টাকা কমেছে। দুদিন আগে প্রতিকেজি ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হলেও শনিবারে তা বিক্রি হয়েছে ২৪০ টাকা দরে।
আরো দাম কমার ইঙ্গিত দিয়ে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেছেন, আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে ব্রয়লারের দাম কেজিতে ২২০-২৩০ এর মধ্যে চলে আসবে।
শনিবার পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি ব্র্যয়লার মুরগি ২১০ টাকা এবং উৎপাদনকারী পর্যায়ে ১৯০-১৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
মনজুর মোহাম্মদ বলেন, মুদি বাজারের সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে এবং দামে তেমন কোনো কারসাজি নেই। তবে সবজির বাজারে পাইকারি ও খুচরা বাজারের মধ্যে বেশ কিছু স্থানে পার্থক্য পেয়েছি এবং সেখানে জরিমানা করাসহ সতর্ক করে দিয়েছি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম কমলেও সে তুলনায় ক্রেতা বাড়েনি।
ভোক্তারা জানান, নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের অনেকেই খাবারের তালিকা থেকে ব্রয়লার মুরগি বাদ রাখছেন। দাম কেজিতে ২০০ টাকার নিচে আসলে তখন কেনা যাবে বলে মতপ্রকাশ করেন।
ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি দেশি মুরগির দাম কেজিপ্রতি ৬৮০ টাকা থেকে কমে ৬৫০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ৩৭০ টাকা থেকে কমে ৩৫০ টাকা দরে এবং লাল লেয়ার মুরগি ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার পোলট্রি খাতের চার প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠক করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বৈঠকে শীর্ষস্থানীয় চার প্রতিষ্ঠান খামার পর্যায়ে ১৯০-১৯৫ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রির ঘোষণা দেয়।
মুরগির দাম কমলেও রাজধানীর বাজারগুলোয় ডিমের দাম প্রতি ডজনে ১৩০ টাকা থেকে বেড়ে ১৪০ টাকা হয়েছে। কিছু কিছু বাজারে এবং পাড়া মহল্লার দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা দরে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন ডিমের দাম ২/১ দিনের মধ্যে কমে আসবে।
গরুর মাংসের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও, খাসীর মাংসের দাম কিছুটা কমেছে। শনিবার গরুর মাংসের প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা, এবং খাসীর মাংস ১,১০০ টাকা থেকে কমে কেজিতে ১০৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।