২৫ এপ্রিল পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে টোল উঠেছে ৬৬০ কোটি টাকা
উদ্বোধনের দিন থেকে গত ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে যানবাহন পারাপারের টোল বাবদ মোট ৬৬০ কোটি টাকা আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার রাজধানীর সেতু ভবনে সেতু বিভাগ এবং বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান মন্ত্রী।
সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে ঈদুল ফিতরে ঈদ যাত্রা স্বস্তির হলেও কোরবানীর ঈদে চ্যালেঞ্জ বাড়বে বলে সভায় মন্তব্য করেন মন্ত্রী। কোরবানীর ঈদযাত্রায় স্বস্তি নিশ্চিত করতে এখন থেকেই উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।
সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদাউস ছাড়াও বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে এ পর্যন্ত টোল আদায় হয়েছে ৬৬০ কোটি টাকা। সেতু বাস্তবায়নে সরকারের কাছ থেকে নেয়া ঋণের ৩১৬ কোটি টাকা ইতোমধ্যেই ফেরত দেয়া হয়েছে। আগামী জুনে চলতি অর্থবছরের অবশিষ্ট অর্থের কিস্তি ফেরত দেয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পদ্মা সেতুতে মোটর সাইকেল চলাচল উন্মুক্ত করে দেয়ার পর ছয় দিনে মোট ৭৭,৫২৯টি মোটরসাইকেল সেতুটি অতিক্রম করেছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। আর এতে টোল বাবদ আয় হয়েছে ৭৭.৫৩ লাখ টাকা।
গত বছরের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরদিন সেতুতে যান চলাচল শুরু হয়। ওই দিন রাতে সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই তরুণ নিহত হলে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
গত ১৮ এপ্রিল একনেকের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদ উপলক্ষে পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেন। সভা শেষে বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ঈদুল আযহার জন্য প্রস্তুতি শুরুর নির্দেশ
এবারের ঘরমুখো ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হয়েছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, কর্মস্থলে ফেরার যাত্রাও এখন পর্যন্ত স্বস্তিদায়ক রয়েছে। তিনি বলেন, যানজট নিয়ে যে জটিলতা, দুর্ভাবনা এবার একেবারে কম থাকলেও দুর্ঘটনার দুর্ভাবনা তেমন কমেনি।
এত সেতু, এত রাস্তা করা হলেও দুর্ঘটনা সূচকে সেভাবে ইতিবাচক অগ্রগতি হচ্ছে না মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, "আমরা হাল ছাড়ছি না। কাজটা চ্যালেঞ্জিং। তবে এটা অতিক্রম করা সম্ভব।"
সেতুমন্ত্রী বলেন, "এবারের ঈদে সম্মিলিত প্রয়াস ছিল, রাস্তা ছিল ভালো, পাসঅ্যাবল ও ইউজঅ্যাবল। যে কারণে ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হয়েছে। বিআরটি প্রকল্প এলাকায় যানজটের আশঙ্কা থাকলেও সেটা হয়নি।"
তবে আগামী ঈদযাত্রায় গরুর হাট, পশুবাহী গাড়ি ও বৃষ্টির মত অনুষঙ্গ যোগ হওয়ায় স্বস্তি ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করা কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। সে লক্ষ্যে এখন থেকেই প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।