মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য জ্বালানি আমদানিতে ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় করেছে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেছেন, করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশ জ্বালানি আমদানিতে ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় করেছে।
মঙ্গলবার এক ওয়েবিনারে তিনি বলেন, 'করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি ও অন্যান্য আমদানি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে গত তিন বছরে বাংলাদেশকে জ্বালানি আমদানিতে ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় করতে হয়েছে।'
'জ্বালানি নিরাপত্তায় বঙ্গবন্ধুর দর্শন: অর্জন ও প্রয়োগ' শীর্ষক ওয়েবিনারটি বাংলাদেশ এনার্জি সোসাইটি (বিইএস) আয়োজন করে।
তৌফিক-ই-এলাহী জ্বালানি খাতের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জ্বালানি উৎসের বহুমুখীকরণ ও স্বনির্ভরতার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন।
তিনি বলেন, 'একক কোনো জ্বালানির ওপর নির্ভর করে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না। পরিবেশকে প্রাধান্য দিয়ে কয়লা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'
সরকার সৌরবিদ্যুৎ দিয়ে দিনের চাহিদার একটা বড় অংশ পূরণের কথা ভাবছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে বাসসের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বলেছেন, গ্যাস সম্পদের যৌক্তিক ব্যবহার, নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার এবং গ্যাস ও কয়লাভিত্তিক অবকাঠামো নির্মাণ স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করবে।
আগামীকাল জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবসের প্রাক্কালে দেওয়া বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি এটি স্মার্ট, সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করবে।'
এছাড়াও পরিবেশবান্ধব ও বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার, জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহার এবং জ্বালানির অপচয় রোধ জাতির টেকসই উন্নয়ন অর্জনকে ত্বরান্বিত করবে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'দেশের গ্যাসক্ষেত্রগুলোতে উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে আমরা নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান এবং বিদ্যমান গ্যাসক্ষেত্রগুলোর উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়েছি।'
এসব কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সুন্দলপুর, শ্রীকাইল, রূপগঞ্জ, ভোলা উত্তর, জকিগঞ্জ ও ইলিশা—মোট ছয়টি নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে বলে জানান তিনি।