আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা: নির্বাচনে কোথাও কোনো সমস্যা দেখতে চায় না ইসি
নির্বাচনের সময় দেশের কোথাও যেন কোনো ধরনের সমস্যা সৃষ্টি না হয় সে লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সংস্থাকে তাদের দায়িত্বের বিষয়ে অবহিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
আজ বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আড়াই ঘণ্টাব্যাপী অন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, "আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সব এজেন্ডা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের বার্তা হলো– একটি সুষ্ঠু, সুন্দর, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে যার যে দায়িত্ব, তারা যেন তা যথাযথভাবে পালন করে। যাতে করে নির্বাচনের সময় কোথাও কোনো ধরনের সমস্যা সৃষ্টি না হয়।"
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নির্বাচন কমিশনকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে বলেও জানান ইসি সচিব।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় নির্বাচনের ক্ষণ গণনার শুরু থেকে তফসিল ঘোষণার আগে ও পরে, নির্বাচনের দিন এবং ভোটের শেষ সময় পর্যন্ত যার যা করণীয় তা যেন সঠিকভাবে পালন করা হয় এবং কাজে যেন কোনো ধরনের সমস্যা তৈরি না হয়– সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ইসি সচিব জানান, সংবিধানে যে সময় উল্লেখ রয়েছে, তারমধ্যেই নির্বাচন করতে ইসি বদ্ধ পরিকর। এ আয়োজনকে সুষ্ঠু ও সুন্দর করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দপ্তর, বিভাগের প্রধানদের নিয়ে পর্যায়ক্রমে সভা হচ্ছে। ইতোমধ্যে আইন শৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা বাহিনী প্রধানদের নিয়ে সভা হয়েছে। এরই ধারবাহিকতায় বুধবার সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সচিব. মহাপরিচালক, দপ্তর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে।
তিনি জানান, "জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, তথ্য, শিক্ষা, সড়ক পরিবহন, নৌ পরিবহন, প্রাথমিক শিক্ষা, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাসহ সব বিভাগকে কার কী করণীয়– তা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে নির্বাচনের সময় কোথাও কোনো ধরনের সমস্যা সৃষ্টি না হয়। কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা, যাতায়ত, গণমাধ্যম, প্রচারণা, পররাষ্ট্র, পযবেক্ষক, বিদেশি পযবেক্ষক, ঋণ খেলাপিসহ সব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "স্ব স্ব মন্ত্রণালয়, বিভাগের যা কিছু করণীয় আছে তা অবহিত করা এবং নতুন বিধি বিধানের আলোকে কী করার রয়েছে, তাদের জানানো হয়েছে। নির্বাচনের ক্ষেত্রে যার যেটা করণীয়, তা ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী বাস্তবায়ন করবে। ইসি তাদের ওপর কিছু নির্দেশনা দিয়েছে যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নির্বাচন আয়োজন করা যায়।"
আন্তঃমন্ত্রণালয় এই সভায় চার নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জনপ্রশাসন, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবসহ ৩৯টি বিভাগ, সংস্থার প্রতিনিধিরা সভায় বক্তব্য রাখেন।
সংলাপ নয়, পরামর্শ থাকলে শুনবে ইসি
আগামী ৪ নভেম্বর নিবন্ধিত ৪৪টি দলকে নির্বাচন কমিশনে আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ইসি সচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেন, "নির্বাচন কমিশন কোনো সংলাপের আয়োজন করেনি। ইসিতে নিবন্ধিত দলগুলোর সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বা ২ জন মনোনীত প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির লক্ষ্যে ইসি যেসব কার্যক্রম নিয়েছে, তা অবহিত করা হবে এবং তাদের কোনো পরামর্শ থাকলে সেটা শোনা হবে।"