শাযরেহ হকের দায়ের করা ৩ মামলায় জামিন পেলেন ট্রান্সকম গ্রুপের ৫ কর্মকর্তা
অর্থ আত্মসাৎ, সম্পত্তি দখল ও কোম্পানির শেয়ার অবৈধভাবে হস্তান্তরের অভিযোগে ট্রান্সকম গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যানের মেয়ে শাযরেহ হকের করা ৩টি পৃথক মামলায় ঢাকার একটি আদালত গ্রুপটির পাঁচ কর্মকর্তাকে জামিন দিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাসা ও কার্যালয় থেকে এসব মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ওই কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করে।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শান্তা আক্তারের আদালত তিন হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
কর্মকর্তারা হলেন ট্রান্সকম গ্রুপের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ল-এর নির্বাহী পরিচালক মো. ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া, কর্পোরেট ফাইন্যান্স-এর পরিচালক কামরুল হাসান ও আবদুল্লাহ আল মামুন, সহকারী কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক এবং ব্যবস্থাপক (কোম্পানি সচিব) আবু ইউসুফ মো. সিদ্দিক।
মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই গ্রেপ্তার পাঁচজনকে আদালতে হাজির করে আবদুল্লাহ আল মামুনের পাঁচ দিনের রিমান্ড এবং বাকি চারজনের প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড চায়।
আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত প্রত্যেককে জামিন দেন।
এদিকে শাযরেহ হক ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও তার বড় বোন সিমিন রহমান, গ্রুপটির বর্তমান চেয়ারম্যান ও তার মা শাহনাজ রহমান, এবং সিমিন রহমানের ছেলে ও ট্রান্সকম-এর ট্রান্সফরমেশন প্রধান জারিফ আয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি মূল্যের সম্পত্তি এবং কোম্পানির শেয়ার নিয়ে বিরোধের জেরে মামলা করেছেন।
মামলার নথিতে উল্লেখ করা নম্বর ব্যবহার করে সিমিন রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
মামলার নথিতে বলা হয়েছে, সিমিন ও তার সহযোগীরা জাল দলিল ব্যবহার করে তার বাবা লতিফুর রহমানের প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ অবৈধভাবে আত্মসাতের চেষ্টা করেছেন।
বাদী তার মা ও বোনের বিরুদ্ধে অসমভাবে এফডিআর বণ্টনের অভিযোগ করেছেন। বাকিদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতে সহায়তা করার অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার নথিতে আরও বলা হয়েছে, বাদীকে জানানো হয়েছিল তার বাবা তাকে চার হাজার ২৭০টি শেয়ার, তার ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে চার হাজার ২৭০টি শেয়ার এবং তার বড় বোন সিমিনককে ১৪ হাজার ১৬০টি শেয়ার হস্তান্তর করেছেন।
কিন্তু বাদী কখনোই হস্তান্তর দলিলে স্বাক্ষর করেননি বলে দাবি করেছেন। তার বাবাও জীবিতাবস্থায় কখনও হস্তান্তর দলিলে স্বাক্ষর করেননি বলে দাবি করেছেন বাদী।
বাদী শাযরেহ হক আরও অভিযোগ করেন, আসামিরা এসব নথি জাল করেছেন।